lifestyle:- হঠাৎ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
ABB 16 জুন ২০২৪ রবিবার ✅
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। কিছু কিছু ব্লগ লিখতে বসলে অনেক বেশি ভালো লাগে। তেমনি আজকের একটি ব্লগ। আশা করি আপনাদের সবার আজকের ব্লগটি অনেক বেশি ভালো লাগবে।
গত কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম হযরত আমানুসা বিমানবন্দরে যেতে হলো। আসলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তার একমাত্র কারণ হলো যাওয়ার পথের রাস্তা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে পতেঙ্গা সি বিচের পাশ দিয়ে , রাস্তা দিয়ে অনেক বেশি সুন্দর।
এবং রাস্তার পাশ থেকে সাগর দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারণে এক কথাতেই রাজি হয়ে গেলাম। প্রত্যেকবার যাওয়ার সময় অনেক জনকে নিয়ে যাই। কিন্তু এই বছর কাউকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। মূল কথা আসা যাক, আসলে এক বছর পর আমার খালাতো ভাই দুবাই থেকে আসতেছে। হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বলল তাকে আনার জন্য।
প্রথমত সবাইকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐদিন অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। ঐদিন আবার ঘূর্ণিঝড় হওয়ার কথা ছিল। সব মিলিয়ে এলোমেলো একটি অবস্থা। যার কারনে একাই চলে গেলাম তাকে আনার জন্য। প্রথমত সকালে বের হওয়ার একটু আগেই খবর পেলাম, তিন ঘন্টার জন্য বিমান আসতে দেরি হবে। পরে গাড়ি নিষেধ করে দিলাম। তিন ঘন্টা পর আসতে বললাম গাড়িকে।
এরপর তিন ঘন্টা পর আমরা দুপুর তিনটায় রওনা দিলাম। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে খুবই ভয় লাগতেছিল। কিন্তু কি আর করার চলে গেলাম চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু পতেঙ্গা পৌঁছানোর পর দেখলাম সাগরের ঢেউ গুলো অনেক বড় বড়। যা দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল , কিন্তু সাগরের উত্তাল খুব খারাপ ছিল। সাগরের ঢেউ অনেক বড় হওয়ার কারণে যে কেউই ভয় পেয়ে যাবে।
এরপর চলে গেলাম চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে গিয়ে দেখি প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ির মধ্যে বসে ছিলাম অনেকক্ষণ পর্যন্ত। গাড়ি থেকে বের হয়ে এয়ারপোর্ট এর ভিতরে চলে গেলাম। সেখানে বড় ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম । দীর্ঘ দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পর বের হলো। তার বিভিন্ন মালামাল পেতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে বের হতে অনেক দেরি হয়ে গেলো। কিন্তু বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষা করতে ভীষণ খারাপ লাগতেছিল।
বড় ভাই বের হওয়ার আগের মুহূর্তগুলো খুবই হৃদয়বিদারক ছিল। বিভিন্ন মানুষগুলো যখন প্রবাস থেকে আসতেছে এবং নিজের আত্মীয় পরিজনকে দেখতেছে, তখন অনেক আবেগঘন হয়ে পড়তেছে। এই মুহূর্তটা দেখে চোখের জল চলে আসার মতো। মাঝে মাঝে যাদের ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখলে অনেক বেশি খুশি হচ্ছিল। মনে হচ্ছে যেন ছাতক পাখির মত হয়ে রয়েছে সন্তানদের দেখার জন্য। এই মুহূর্তগুলো খারাপ লাগলেও খালাতো ভাইকে পেয়ে আমি সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম। পরে আমরা খুবই তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসি। বিদেশ থেকে কেউ আসলে ঐ দিন টা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। খালাতো ভাই হচ্ছে মূলত সোনিয়ার বড় ভাই তা বলতে ভুলে গেলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | Lifestyle |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1802172279599813098?t=46kPui94SIurOkZNTNtcdA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সেদিন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ছিল তার জন্য হয়তো ফ্লাইট অনেকটা দেরি হয়েছে। আপনার বড় ভাই সুস্থভাবে আপনাদের কাছে পৌঁছে এসেছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাই হোক সবার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ সুস্থভাবে পৌঁছে এসেছেন তিনি, এটাই আমাদের জন্য অনেক বেশি কিছু।
মানুষ তখনই বিমানবন্দরে যায় যখন কোন প্রিয়জন মানুষকে রিসিভ করেন। অথবা প্রিয়জন মানুষকে বিদায় দেওয়ার সময় য়াওয়া হয়। এই মুহূর্তগুলো খুবই কষ্টের যখন প্রিয় কাউকে বিদায় দেওয়া হয়। কিংবা কেউ বিদেশ থেকে আসলে রিসিভ করা হয় তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে। এই মুহূর্তটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলে ভালো লাগলো।
আসলেই প্রিয় কাউকে বিদায় দেওয়াটা অনেক কষ্টের। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
দুবাই ফেরত খালতো ভাইকে আনার জন্য চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। কোথাও যাওয়ার সময় ঝড় বৃষ্টি হলে খুবই ভয় লাগে। তাছাড়া চট্টগ্রাম হল সাগরের কিনারে, তাই ঝড় তুফান হলে একটু প্রবলেমই থাকে। মাঝেমধ্য খবরের মধ্যে দেখি পতেঙ্গা বিচে অনেক বড় বড় ঢেউ আসে। এগুলো দেখতে আবার কিন্তু খুবই ভালো লাগে। যেমনটা আপনিও বললেন। যাই হোক আপনার ভাইকে নিয়ে ঠিকঠাক ভাবে বাড়িতে পৌঁছেছেন, শুনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আসলে ঐদিন যেহেতু ঘূর্ণিঝড় ছিল তাই ঢেউ টা একটু বেশি ছিল। আর দেখতে কিন্তু এমনিতে ভালো লাগছিল আমার ভয়ঙ্করও লাগছিল।
বিমানবন্দর জায়গাটা এরকমই। কারো জন্য আনন্দের আবার কারো জন্য দুঃখের। কেউ তাদের প্রিয়জনকে বিদায় দেয় আর কেউ তাদের গ্রহণ করে। যাইহোক চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। যদিও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আমার কখনো যাওয়া হয়নি তবে ওই পথ দিয়ে একবার অন্য এক জায়গায় গিয়েছিলাম তখন বাহির থেকে দেখেছি। রাস্তার পাশে পতেঙ্গা সী বিচে সৌন্দর্যটা সত্যি মনমুগ্ধকর। আপনার খালাতো ভাইকে আনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
আসলে ওই দিন একেবারেই সুন্দর মুহূর্ত কাটানো হয়নি। বৃষ্টির কারণে সবকিছুই গোল মেলে হয়ে গিয়েছিল। তবুও কিছুটা ভালো লেগেছিল। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপুর বড় ভাইকে আনার জন্য আপনি বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন সেই অনুভূতি আপনি আজ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সেদিন ঘূর্নিঝড় হওয়ার দিন ছিল।আর এজন্য ই সমুদ্র এতো উত্তাল ছিল ঝড়ের কারনে আপনি একাই তাকে আনতে এয়ারপোর্টে গেলেন।অপেক্ষার প্রহর যেনো শেষ ই হয়না।এয়ারপোর্টের ভেতরে আনুষঙ্গিক কাজগুলো সারতে একটু বেশীই সময় লেগে যায়। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
এয়ারপোর্ট এর ভিতরের কাজগুলো সারতে একটু সময় লাগে এটা ঠিক কথা।
এয়ারপোর্ট থেকে কাউকে রিসিভ করতে গেলে ভীষণ আনন্দ লাগে, কিন্তু এয়ারপোর্টে গিয়ে কাউকে বিদায় দিলে ভীষণ কষ্ট হয়। তাই আমি বাংলাদেশে এসে ছুটি শেষ করে যখন সাউথ কোরিয়াতে ফিরে যেতাম, তখন বাসা থেকে কাউকে সাথে করে নিতাম না। যাইহোক আপনার খালাতো ভাইকে রিসিভ করতে গিয়েছিলেন,জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার খালাতো ভাইকে রিসিভ করতে যাওয়ার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছেও ভালো লেগেছে।