আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, এপ্রিল ২০/২০২৪

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগের কথা আমি আর তুহিন ভাই গিয়েছিলাম উপরে মাছ ধরার জন্য। দিনটা ছিল শীতের দিন তাই আমরা দুপুরের দিকে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। যেহেতু শীতের দিনে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম আর সেটাই ছিল আমাদের অনেকটা বড় একটা ভুল কাজ। আসলে শীতের দিনে মাছ ধরার বিষয়টা খুবই কষ্টের। কষ্ট করেও সহজে মাছ ধরতে পারা যায় না শীতের দিনগুলোতে। তাই আমাদেরকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল সেদিন মাছ ধরতে।

যেহেতু আমাদের বেশ কয়েকটা পুকুর রয়েছে তাই আমরা চাইলেই যখন তখন সেখানে মাছ ধরতে যেতে পারি। যদিও জাল দিয়ে মাছ ধরার থেকে বরশি দিয়ে মাছ ধরা টা অনেক মজার। আসলে সত্য কথা বলতে আমি জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারি না কেন জান ফেলাটা অনেক কঠিন একটা কাজ। তুহিন ভাই দেখলাম অনেক সুন্দর ভাবে জাল ফেলতে পারে। প্রথমে আমি চিন্তা করেছিলাম না যে ফটোগ্রাফি ধারণ করব কিন্তু জাল ফেলার মুহূর্তটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিল তাই সেগুলোর ফটোগ্রাফি ধারণ করে রেখে দিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমি পুকুরের এক পাড়েই দাঁড়িয়ে ছিলাম আর তুহিন ভাই দূরে মাছ ধরছিল।

ওই যে বললাম শীতকালে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম তাই আমরা অনেক চেষ্টার পরেও খুব একটা মাছ পাচ্ছিলাম না। প্রথমে আমরা দুজন তুহিন ভাইদের পুকুরে গিয়েছিলাম মাছ ধরতে। সেখানে আমরা বেশ কিছুক্ষণ মাছ ধরেছিলাম কিন্তু খুব একটা বেশি মাছ পাইনি।

পরে দুজন মিলে চিন্তা করলাম যে আমার পুকুরে মাছ কেমন হয়েছে সেটা একবার দেখা দরকার। যেমন চিন্তা ঠিক তেমনি কাজ দুজনে চলে গেলাম আমার পুকুরে মাছ দেখার জন্য। সেখানে যাবার পরে মাছ দেখেছ রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। আমি ভাবতেই পেরেছিলাম না যে জাল ফেলে শীতের দিনেও এত বেশি পরিমাণে মাছ ধরা যাবে। যদিও আমরা শুধুমাত্র আমার পুকুরে মাছ দেখার জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু মাছ দেখার পরে আর বাড়িতে সেটা না নিয়ে এসে পারলাম না। আসলে মাছগুলো আমাদের পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তাই কয়েকটা মাছ বাড়ির জন্য নিয়ে আসলাম। ভাবছি আমিও এভাবে জাল ফেলে মাছ ধরাটা শিখে নেব যেন পরবর্তী সময়ে আমি নিজেই এভাবে মাছ ধরতে পারি।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}