জেনারেল রাইটিংঃ ঘূর্ণিঝড় এর আগেই বাগানের লিচু পাড়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমরা গ্রামের তরুণ ছেলেরা মিলে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম এবার লিচু বাগান ক্রয় করব। যেমন চিন্তা ঠিক তেমনি একটা কাজ আমরা এবছর করেছিলাম। আমাদের গ্রামের সব থেকে বড় যে লিচু বাগানটা রয়েছে সেটা প্রথমেই আমরা কিনে নিয়েছিলাম। যদিও আমার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা থাকার কারণে আমি তাদের সাথে সেই লিচু বাগানের ভাগের মধ্যে থাকতে পারিনি। তারপরও যেহেতু উদ্যোগটা প্রথম আমি গ্রহণ করেছিলাম তাই বেশিরভাগ সময় আমি সেই লিচু বাগানে যেতাম এবং সেখানে যাবার পরে কাজ থেকে লিচু করে খেতাম। এক কথায় আমাদের সকলের খুবই ভালো কিছু সময় অতিবাহিত হচ্ছিল এই নিচু বাগানকে কেন্দ্র করে।
আমাদের এই বাগানের সব গাছের লিচু পেকে গিয়েছিল আর যখনই শুনতে পারলাম যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দ্রুত আমাদের দেশে আঘাত ভাঙবে তাই আমরা আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই ঘূর্ণিঝড় এর আগেই সকল লিচু গাছ থেকে পেড়ে ফেলতে হবে। যেহেতু গাছের সব লিচু থেকে গিয়েছিল তাই যদি আমরা ঘূর্ণিঝড় এর আগে এগুলোকে পেড়ে না ফেলি তাহলে ঘূর্ণিঝড় এরপরে আমাদের সকলকে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এজন্য আমরা দেরি না করে ২৫ তারিখের সকাল থেকে শুরু করলাম লিচু পড়ার কাজ। আমরা বেশ কয়েকজনকে গাছে তুলে দিয়েছিলাম লিচু পাড়ার জন্য।
যেহেতু আমাদের এ বাগানে অনেকগুলো কাজ ছিল তাই সেই সকল গাছের নিচু একত্রিত করা এবং সেই জিনিসগুলোকে আবার ভালোভাবে সংরক্ষণ করার কাজ করতে আমাদের সকলকে খুবই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। শুধুমাত্র একটু ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে তা কিন্তু নয় আমাদের সকলকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রমও করা লেগেছে ওই দিনে। পরিশ্রম করা লাগলে কি হবে ওই দিন আমরা এক একজন যে পরিমাণ লিচু খেয়েছি তা বলে বোঝানো সম্ভব হবে না।
লিচু পাড়ার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকজন ভাগীদারের বাড়িতে এক বস্তা করে লিচু দিয়ে আসলাম। আমরা গত এক মাস এই বাগান থেকে প্রতিদিন লিচু বিক্রি করি তারপরও শেষের দিনে প্রত্যেকে এক বস্তা করে লিচু খেয়েছে। তাহলে ভাবুন যে এই বাগানে এই বছর কত বেশি পরিমাণে লিচু ধরেছিল। যাই হোক একবারের লিচু হাতে পেলেও একটা জিনিস ভালো হয়েছে সেটা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় এর কারণে লিচুগুলো নষ্ট হয়ে যায়নি।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনাদের লিচু সংরক্ষণের মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে আপনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন যেখানে গাছের পাকা পাকা লিচু দেখতে পারলাম। বর্তমান সময়টা বিভিন্ন ফলের সময় আর এই মুহূর্তে অনেক প্রকার ফল খেতে পাওয়া যায়। আর সেই সমস্ত ফলের মধ্যে লিচু অন্যতম। খুবই ভালো লাগলো ঝড়ের আগের দেশের সংরক্ষণের মুহূর্ত জানতে পেরে।
গাছের পাতা লিচু খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই লিচু বাগানের আমারও একটা ভাগ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি হেরে গেছি। যাইহোক তারাও বেশ লাভবান হতে পারেনি। এই লিচু গুলো যে অবস্থা ছিল ঝড়ের সময় পর্যন্ত থাকলে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যেত। বেশ বুদ্ধিমান এ কাজ করেছে।
আসলে এটাই সমস্যা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবাই জয় লাভ করতে পারে না।
যেহেতু গাছের লিচু পেকে গিয়েছে, তাহলে আর দেরি কেন। আপনারা একদম কাজের মতো কাজ করেছেন ভাইয়া। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই লিচু বাগানের সব লিচু পেড়ে নিয়েছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনারা যদি আপনার লিচু বাগানের লিচু গুলো না পাড়তেন, তাহলে হয়তো আপনাদের লিচু বাগানের অনেক লিচুর ক্ষয়ক্ষতি হতো।
এটাই দেরি করলে তো বিপদে সম্মুখীন হতে হতে হতো।
ক্ষতির আশঙ্কা দেখামাত্রই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বুদ্ধিমানের কাজ আর আপনি সে কাজটি করেছেন। যখন জানতে পেরেছেন ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে তার আগে আপনি লিচু বাগান থেকে লিচু পেড়ে ফেলেছেন। যেহেতু লিচুগুলো খাওয়ার উপযোগী সেহেতু গাছে লিচু রাখার কোন প্রয়োজন পড়ে না।
এই উদ্যোগটা গ্রহণ না করলে সবগুলো লিচু ঘূর্ণিঝড়ে নষ্ট হয়ে যেত।
আপনি সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুদ্ধিমানের কাজ করলেন। আবহওয়ার সংবাদ পেয়ে গাছের লিচু পেরে ফেলেছেন। তা নাহলে যে ঘুর্ণিঝড় এসেছিল অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতো। ধন্যবাদ।
আগে থেকেই সতর্কতা সংকেত পেয়েছিলাম তাই তো এমনটা করেছি।
আপনারা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ করেছিলেন ভাই, ঝড় আসার আগে সমস্ত লিচু পেড়ে ফেলে দিয়ে। তবে যারা লিচু বাগানে থাকে কিংবা কাজ করে, তারা কিন্তু প্রচুর পরিমাণে লিচু খায়, এটাই স্বাভাবিক। হা হা হা... যাইহোক, তারপরে আবার সব শেষে প্রত্যেক ভাগিদারদের এক বস্তা করে লিচু দিয়েছেন, এটাও তো ভালো কথা। এই বছর যে আপনাদের বাগানে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে, সেটা জেনে খুশি হলাম ভাই।
বাগানে থাকলে তো লিচু খাবার কোন শেষ থাকে না।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। একেবারে সঠিক একটি কাজ করেছেন৷ আসলে ঘূর্ণিঝড়ে যেভাবে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে চলে গিয়েছে তার পূর্ব মুহূর্তে যদি আপনারা এই লিচুগুলো না পাড়তেন তাহলে আপনাদের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যেত৷ যাইহোক শেষ পর্যন্ত আপনারা সকল লিচুগুলো ভালোভাবেই আগে থেকে নিয়ে নিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ৷
আসলে এবারের এই ঘূর্ণিঝড় টা খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল।