বাধ্য হয়েই পুকুরের মাছ বিক্রয়
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যারা আমার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়েন তারা হয়তো বা অনেকেই জানেন যে আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি অনেক ধরনের কাজ করে থাকি। আসলে যেহেতু একটা প্রাইভেট স্কুলে চাকরি করি তাই বেতনের পরিমাণটা অনেক কম থাকে আর গ্রামে থাকার সুবাদে অনেক ধরনের কাজে নিজেকে নিযুক্ত রাখার সুযোগ ও পেয়ে যাই। আমার একটা শখের পাখির খামার রয়েছে একটা রঙিন মাছের খামার রয়েছে সেই সাথে আমি দুইটা পুকুরে মাছ উৎপাদন করি। যদিও সবগুলো কাজ একসাথে করার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তারপরও কি আর করা যাবে এখন দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে নিজে কিছু না করলে তো পরিবারের ধরন পোষণ করা সম্ভব হবে না। এজন্য অনেক পরিশ্রম হওয়া সত্ত্বেও সবগুলো কাজের সাথে নিজেকে নিযুক্ত রাখতে হয়।
আপনারা সকলেই লক্ষ্য করে দেখেছেন যে অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছরে আমাদের দেশে গরমের পরিমাণটা অনেক বেশি। আর গরমের পরিমাণটা বেশি হবে সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে বর্ষাকালে বৃষ্টি না হওয়া। বর্ষাকালে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমরা যারা মাছ চাষে রয়েছে তাদের জন্য খুবই বিপদের কারণ হয়ে গিয়েছে। কারন আমরা আমাদের পুকুরে যে মাছ উৎপাদন করি তাতে যে পরিমাণে পানির প্রয়োজন তার থেকে অনেক কম পানি রয়েছে এখন পুকুরে। পানির পরিমাণ কম থাকার কারণে আমরা মাঝে মাঝে লক্ষ্য করেও দেখি যে পুকুর এর মধ্যে মাছ মারা যেতে শুরু করেছে। আর ভাবুন মাছ যদি মারা যেতে শুরু করে তাহলে তো আমাদের সকলের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে। এজন্য লাভ না হওয়া সত্ত্বেও মাছ বিক্রয় করতে হচ্ছে আমাদের কে বাধ্যতামূলকভাবে। যদিও মাছের আকৃতি এখনো বিক্রয়ের উপযোগী হয়নি তারপরও কি আর করা যাবে বাধ্য হয়েই বিক্রয় করতে হচ্ছে।
আপনারা যদি আমার পুকুরের দিকে লক্ষ্য করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই পুকুরে কতটা বেশি পানির প্রয়োজন আর কতটা রয়েছে। তাহলে ভাবুন কিভাবে এখানে মাছ উৎপাদন করা যাবে আর সে মাছ উৎপাদন করে লাভ করা যাবে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এই বছরে নিজের যা টাকা ইনভেস্ট করেছিলাম আর যে পরিশ্রম ইনভেস্ট করেছিস সেই অনুযায়ী লাভের পরিমাণ খুবই কম। আর যদি সেই কষ্টের জিনিস মারা যায় তাহলে তো লাভের গুড় পিঁপড়াতে খেয়ে যাবে। এজন্য এই গরমের দিনে বাধ্য হয়েই পুকুরের কিছু মাছ বিক্রয় করলাম যেন মাছের ঘনত্বটা কিছুটা কমে যায়।
বর্ষাকালে বৃষ্টি না হবার এই বিষয়টি আপনাদের কাছে কেমন লাগছে সেটা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদেরও দুইদিন ধরে পুকুরে মাছ বিক্রি করেছে। প্রচন্ড গরমে মাছ এবার তেমন বড় হয়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আমাদের এদিকে তেমন বৃষ্টি হলো না। তবে মাছ বিক্রয়ের সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি ভালো লাগলো।
আসলে কি আর করা যাবে এত বেশি গরম পড়ছে তাতে মাছ মারা যেতে শুরু করেছে।
প্রচন্ড গরমের কারণে আমাদের পুকুরে মাছ মারা যাচ্ছে। কালকে একটা পুকুর ছেঁকে দিতে হবে। কারণ ওই পুকুরে তেলাপিয়া মাছ মরতেই আছে প্রতিনিয়ত। দেখা যাক দিনকাল বুঝে কাজ শুরু করব। মাছ ধরেছো দেখে ভালো লাগলো।
বিষয়টা আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি গরমের কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।
আমাদের এইখানে টানা কয়েকদিন ভালোই বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু কিছু নীচু এলাকায় তো পানি উঠে গিয়েছে। এখনো সবগুলো পুকুরে পানি ভুরপুর।কিন্তু আপনাদের পুকুরে দেখি একদম পানি কম, আপনাদের ওখানে কি বৃষ্টি হয়নি ভাইয়া? খুব গরমে তো মাছেদের এভাবে টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। যাইহোক কি আর করার বাধ্যতামূলকভাবে মাছ মারা যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে হলে তো বিক্রয় করতেই হবে।
তাহলে তো আপনাদের এলাকাতে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে পুকুর ভরপুর হয়ে গিয়েছে।
জি ভাইয়া,এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। আর গত ২দিনও ছিল।
আপনার পোস্টটি পড়ে প্রথমে ভালো লেগেছে আপনি অনেক কাজের সাথে যুক্ত আছেন জেনে।ঠিক বলেছেন ভাইয়া দেশে যেভাবে দিনে দিনে দ্রবূল্যের দাম বাড়ছে সেভাবে একা আয় দিয়ে পরিবারের খরচ চালানো অনেক কষ্ট হয়ে যায়। বর্ষাকালে বৃষ্টি না হবার কারণে আপনি বাধ্য হয়ে মাছ বিক্রি করছেন যেনে খারাপ লাগলো। যাইহোক আপনি বুদ্ধি করে পুকুরে কিছুটা মাছ বিক্রি করে ভালোই করেছেন। এতে করে আপনার কিছু টাকাও থাকলো আর মাছও মারা গেল না।
ঠিক কথা বলেছেন দ্রব্যমূল্য দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত না থাকলে পরিবার চালানো কষ্টের হয়ে যাবে।