লাইফস্টাইল-অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। কয়েকদিন সত্যিই অনেক খারাপ সময় কেটেছে। একদিকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন অন্যদিকে অসুস্থতা সব মিলে যেন আমি একেবারে বেসামাল হয়ে গিয়েছিলাম। সেই বিষয়ে একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো।
অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না:
Location
কয়েকটা বছর থেকে অসুস্থতা একদমই পিছু ছাড়ছে না। অসুস্থতা যেমন শারীরিক সমস্যা তৈরি করে তেমনি মানসিকভাবে খুবই আঘাত করে। শারীরিক সমস্যার চেয়ে মানসিক আঘাতটাই বেশি আহত করে। কয়েক দিন থেকেই শরীরটা খুব একটা ভালো না। ভাবছিলাম ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যাবো যাবো করে আর যাওয়াই হচ্ছিল না। এরপর অবশেষে কয়েকদিন আগে সিদ্ধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। চলে গেলাম ডাক্তারের চেম্বারে।
Location
যেহেতু এই ডক্টরকে আগে কখনো দেখানো হয়নি। তাই বুঝতে পারছিলাম না তিনি কেমন হবেন। আসলে বর্তমানে সময়ে একটি সমস্যা অনেক লক্ষ্য করা যায়। সেটা হচ্ছে ডক্টররা যদি রোগীর সাথে ভালোভাবে কথা না বলে তাহলে খুবই বিরক্ত লাগে। এর পরেও নতুন একজন ডক্টরকে দেখানোর জন্য চলে গেলাম ওনার চেম্বারে। যাওয়ার পর অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সিরিয়াল মেইনটেইন করে রোগী দেখছিলেন তিনি।
Location
একদিকে শরীরটা ভালো লাগছে না অন্যদিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তাই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পরেছিলাম। ডক্টর দেখানো খুবই ঝামেলার কাজ মনে হয়। সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর লাগে অপেক্ষার সময় গুলো। ডক্টর দেখানোর সময় যেমন অপেক্ষা করতে হয় তেমনি বিভিন্ন রকমের টেস্ট করতে গিয়েও অপেক্ষা করতে হয়। এত অপেক্ষা করার পর অসুস্থ শরীর আরো অসুস্থ হয়ে যায়। তবে কিছুই করার নেই। সবকিছু মেনে নিতেই হয়।
Location
অবশেষে যখন আমার সিরিয়াল আসলো তখন ডক্টর দেখানোর সুযোগ পেলাম। কোন কিছু বলার আগে কয়েকটা টেস্ট হাতে ধরিয়ে দিলেন। বললেন টেস্টগুলো আগে করে আসেন। তারপর কথা বলছি। প্রথমে কেন জানি আমার খুব একটা ভালো লাগলো না। চলে গেলাম টেস্ট গুলো করতে। টেস্ট করতে গিয়ে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে রিপোর্ট পাওয়ার পালা। রিপোর্ট পেতে পেতে অনেকটা সময় লেগে গেল। অন্যদিকে অনেক রাত হয়ে যাচ্ছিল।
Location
রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এবার ডক্টর দেখানোর জন্য আবারও গেলাম। কিন্তু উনার এত তারা ছিল যে ভালোভাবে কথাই বলল না। ৮০০ টাকা ভিজিট নিয়ে মনে হয় না এক মিনিট কথা বলেছেন। এই বিষয়টা আমার খুবই বিরক্ত লেগেছে। তবে কি আর করার এতগুলো টাকা খরচ করে যখন সব টেস্ট করিয়েছি তখন ডক্টর দেখাতেই হবে। এরপর বললেন সাত দিন পর আবারও যেতে। দেখা যাক তখন তিনি কি করেন। আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা ডক্টরের উচিত নির্দিষ্ট পরিমাণে রোগী দেখা এবং তাদেরকে ভালোভাবে সময় দেওয়া।
Location
একজন রোগী যখন ডক্টরের কাছে যায় তখন ডক্টরের কথা শুনে তার মানসিক শান্তি আসে। তবে কিছু কিছু ডক্টর আছে যারা একদমই কথা বলতে চাননা। তাদের কাছে গেলে আরো বিষন্নতা তৈরি হয়। মনে হয় এত টাকা খরচ করে কোন লাভ হলো না। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। তবে আমার যেটা মনে হয় একজন ডাক্তারের উচিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে রোগী দেখা। তাহলে তিনি ভালোভাবে সবার সাথে কথা বলতে পারবেন এবং সময় দিতে পারবেন। বেশি পরিমাণে রোগী দেখলে উনি নিজে যেমন বিরক্ত হন তেমনি রোগীরাও সন্তুষ্ট হন না।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
বর্তমান সময়ে রোগীর থেকে ডাক্তারের অস্থিরতা বেশি।এত তাড়াহুড়া করে যেনো একটু পর ট্রেন ধরবে।আর হাজারটা টেস্ট ধরিয়ে দিতে পারলেই বাঁচে।টেস্ট করার পর আবারও টেস্ট দেখানোর জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে সত্যিই খুবই বিরক্তিকর লাগে তখন। দ্রুত সুস্থ হয়ে যান এই কামনা করছি আপু।
https://x.com/Monira93732137/status/1817185925786398981?t=l_kPP5oPCZktJriZIuz2iA&s=19
আসলে আপু বর্তমান ডাক্তার চেনে শুধু টাকা। তাদের রোগীর সাথে কথা বলার মতো কোন সুযোগ থাকে না। আগে শুনে এসেছিলাম ডাক্তার মানুষ বাঁচায় কিন্তু এখন দেখে ডাক্তারের কাছে গেলে অসুস্থ মানুষ আরো বেশি অসুস্থ হয়।তবে এখানে আমাদের কিছু করার নেই, ডাক্তারের কাছে আমাদের যেতেই হবে।আর টেস্ট ছাড়া ডাক্তার কথা বলতে পারে না।দোয়াকরি আপনি তারাতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন।
এটা একদম বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।গতকাল বিকেলে আমিও ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম।পরে ১ঘন্টা বসে থাকার পর ডাক্তার এলো। তারপর আরও ১ ঘন্টা পার হলো সিরিয়াল আসতে। এভাবে অপেক্ষা করতে করতে বেশি বিরক্ত লাগে।তবে আমি মনে করি ডাক্তারের বিষয়ে আগে খোঁজ নেয়া দরকার।তা না হলে এভাবেই সবাইকে ভুগতে হয়। কারণ হসপিটাল কর্তৃপক্ষ চায় অধিক রোগী আসুক তাদের ইনকাম বাড়ুক। ডাক্তারদেরও তাই অল্প সময়ে রোগী দেখতে হয়।
আপনি বেছে বেছে কেমন এক ডাক্তারের কাছে গেলেন যে কোন কথা শোনার আগেই টেস্ট ধরিয়ে দিল । আবার টেস্টের রিপোর্ট ভালো করে দেখলো না । আপু আমার কাছে মনে হচ্ছে ডাক্তারটা তেমন সুবিধার হবে না এই ডাক্তারকে না দেখানোই ভালো হবে।
আজকাল ডাক্তাররা দেখেই প্রথমে কতগুলো টেস্ট ধরিয়ে দেয়।কিন্তু আপনার এই ডাক্তার না দেখে না কথা শুনেই টেস্ট ধরিয়ে দিলেন।অবাক কান্ড তো।আমি হলে তো বলেই ফেলতাম আমার কথা না শুনেই, কি সমস্যা না জেনেই টেস্ট কেন করতে বললেন।যাই হোক দেখেন সাতদিন পর তিনি কি বলেন।ডাক্তার খুব দ্রুত আপনার রোগ নির্নয় করে সঠিক সমাধান দিবেন এমনটাই আশাকরি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমানে অনেক বড় বড় ডাক্তার কিন্তু সময় নিয়ে রোগী দেখেন। তারা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে। আমিও আজকে ডাক্তার দেখিয়ে আসলাম। ডাক্তারকে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। বেশ গল্প করলো আমার সঙ্গে। ডাক্তাররা আন্তরিক না হলে মনের মধ্যে শান্তি লাগেনা। তখন মনে হয় যে এতগুলো টাকাই নষ্ট হলো। যাইহোক ট্রিটমেন্ট ভালো হলেই হয়। দোয়া রইলো।
ডাক্তারদের কথা বলে লাভ নেই। ৮০০/১০০০ টাকা ভিজিট দিয়ে দুই তিন ঘন্টা বসে থেকে ডাক্তারের কাছে গেলে ভালো ভাবে দুই চারটা কথাও শুনে না, এক বস্তা টেষ্ট ধরিয়ে দেয়। তারপর আবার দুই তিন ঘন্টা অপেক্ষা করে টেষ্ট নিয়ে এসেও ডাক্তারের সাথে কথা বলা যায় না। কি একটা অবস্থা। আর রোগিরও অভাব নেই। রোগির কোন লিমিট নাই। যারা আসে সবার গলা একদিনেই কাটতে চাই। বাংলাদেশের ডাক্তারদের কষাই ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারি না। যায়হোক দেখেন আগামী সাপ্তাহে কি বলে। ঔষুধ লিখলে প্রেস্কিপশনের ফটোগ্রাফিটা দেখতে চাই। ধন্যবাদ।
ডাক্তারদের এই একটা বড় সমস্যা, কোনো কিছু বলার আগেই তারা কয়েকটা টেস্ট রিপোর্ট হাতে ধরিয়ে দেয়। আর ডাক্তার যদি রোগীর সাথে ঠিকঠাক মতো কথা না বলে বা তার কি রোগ হয়েছে সেটা জানার জন্য সময় না দেয়, তাহলে তো সেটা আরো খারাপ। আসলে এখনকার সময়ের কিছু ডাক্তাররা শুধুমাত্র টাকার লোভে ডাক্তারি করে। মানুষের সেবা করার ইচ্ছা তাদের মোটেই নেই। আপনি যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন আমার মনে হয় উনিও সেই প্রকৃতির মানুষ।