ভ্রমণ-নদীর পাড়ে ভ্রমণ (পর্ব ১)||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি ভ্রমণ পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। কাছে কিংবা দূরে যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। বেশ কিছুদিন আগে আমরা সবাই মিলে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই সুন্দর মুহূর্তগুলোই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
নদীর পাড়ে ভ্রমণ (পর্ব ১):
Location
নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই বিশেষ কোন দিনে কিংবা পড়ন্ত বিকেল বেলায় নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। বেশ কিছুদিন আগে আমি সবার সাথেই নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদের দিন বিকেল বেলায় আমরা সবাই মিলে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে যেমন ভালো লেগেছে তেমনি ছবি তুলতেও ভালো লেগেছে। আসলে এরকম সুন্দর কোন পরিবেশে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। আমার সাথে যারা ছিল তারাও বেশ উপভোগ করেছে।
Location
নদীর পাড়ের মানুষের সহজ সরল জীবনযাত্রা এবং নৌকা দিয়ে চলাচল করার দৃশ্য গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তাদের সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। বেশ কিছুদিন আগে সেখানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ব্রিজ ছিল। এরপর সেই ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর নতুন করে পাকা ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। যেহেতু বর্ষার পানিতে নদী কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে তাই আবারও নৌকা নামানো হয়েছে। তবে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে।
Location
চরাঞ্চলের মানুষগুলো এই নৌকার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তারা নৌকার জন্য অপেক্ষা করছে আর কিছুক্ষণ পর নৌকায় এসে তাদেরকে পার করে দিচ্ছে। এই দৃশ্যগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আমরা সবাই চাইছিলাম নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাবো। কিন্তু ঈদের দিন হওয়ার কারণে লোকজনের ভিড় অনেক বেশি ছিল। তাই আমরা আর নৌকার লোকটিকে কিছু বলিনি। যদি আমরা উনাকে বলতাম তাহলে হয়তো আমাদেরকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন। অন্য লোকের সমস্যা হবে ভেবে কিছু বলিনি।
Location
ছোট ভাই বোন গুলো নৌকায় উঠার জন্য খুবই বায়না করছিল। তবে আমি চাচ্ছিলাম না তারা নৌকায় উঠুক। কারণে নদীর পানি অনেক বেশি ছিল। এই অবস্থায় যদি কেউ নৌকা থেকে পড়ে যেত তাহলে খুবই বিপদ হয়ে যেত। একজন তো মন খারাপ করে অন্যদিকে গিয়ে বসেছিল। অনেক বুঝিয়েও কাজ হচ্ছিল না। যেভাবেই হোক নৌকায় উঠবে। আমি বলেছিলাম আবার অন্য কোন একদিন নিয়ে আসবো। আর সেদিন সকাল বেলা আসবো। তবে বিকেলের প্রকৃতিটা সত্যি অনেক দারুন ছিল।
Location
আমাদের গ্রামের বাসা থেকে এই নদীর পাড়টি খুবই কাছে। বাসা থেকে নদী দেখা যায়। তাই বিশেষ কোন দিনগুলোতে আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যাই তখন নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই। আর সবাই মিলে যখন নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন সত্যি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে সুন্দর হাওয়া বেশ ভালো লেগেছিল। আর সবাই অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে একটি ভাঙ্গা নৌকার উপর বসে বসে আড্ডা দিতে। নৌকাটি মেরামত করার জন্য শুকনো জায়গায় উঠিয়ে রাখা হয়েছিল। আমার ভ্রমণের এবারের পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে জানিনা। নদীর পাড়ের ভ্রমণের আরো বেশ কিছু পর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো।আশা করছি সবার ভালো লেগেছে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
https://x.com/Monira93732137/status/1812158502225514973?t=bZbocAAVoeTeehFY1SFtJQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাদের বাড়ির পাশে এত সুন্দর একটা নদী রয়েছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আপু। বিশেষ দিকগুলোতে আপনারা যখন এমন সুন্দর নদীতে ভ্রমণ করতে যান তখন নিশ্চয়ই আপনাদের মনের মাঝে অন্যরকম একটা ভালো লাগে কাজ করে। আপনারা একসাথে নদীর মধ্যে নৌকা ভ্রমণ করেছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া আমার গ্রামের বাড়ির পাশে এরকম একটি নদী আছে। গ্রামের বাড়িতে গেলে সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইস্ কবে যে যাবো? আর এমন সুন্দর একটি নদীতে নৌকায় ঘুরে বেড়াবো! যেমন সুন্দর নদী, তেমনি সুন্দর আপনি। বেশ মজা করেছেন সেতো বুঝাই যাচ্ছে। এমন সুন্দর পরিবেশ দেখলে তো আমি ডান্স করতাম। খুব সুন্দর করে আনন্দ ঘন সময়টুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু আপনি যে কোনদিন চলে আসেন। আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যাব। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু বক্তব্য করার জন্য।
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং নদীর পাড়ের জীবনের সরলতা নিয়ে লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ঈদের দিনের বিকেলটা যে এতটা মনোরম ছিল, সেটা আপনার বর্ণনায় স্পষ্ট। ছোট ভাই-বোনদের নৌকায় উঠার বায়না আর নৌকা নিয়ে আপনার উদ্বেগ, সবকিছুই খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। চরাঞ্চলের মানুষদের জীবনের সরলতা এবং তাদের নৌকার উপর নির্ভরশীলতা সত্যিই মুগ্ধকর। আপনার সাথে যারা ছিল, তারাও নিশ্চয়ই এই ভ্রমণটি উপভোগ করেছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও এমন সুন্দর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য!
[@redwanhossain]
নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আর সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরেছি ভাইয়া। চেষ্টা করবো আরো কিছু পর্ব শেয়ার করার।
বেশ কয়েকটা পোস্টে শুনেছিলাম আপনারা ঈদের দিন নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন। তবে আজকে নদীর পাড়ে ভ্রমণের পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। সবাই দেখছি খুব সুন্দর ভাবে সেজেগুজে শাড়ি পড়ে গিয়েছেন। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বৃষ্টির সময় পানি একটু বেশি থাকায় নৌকায় ভ্রমণ করা একটু বিপদজনক। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বী আপু এর আগে কিছু পোস্টে বলেছিলাম ঈদের দিন নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আর সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলোই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
নদীর ধারে ঘুরতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। পড়ন্ত বিকালে নদীর ধারে ঘুরার মজাই আলাদা। আপনি দেখতেছি গ্রামের বাড়িতে ঈদের সময় গিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গেলেন। তবে এটি ঠিক নদীর ধারে মানুষগুলো সহজ-সরল জীবন যাপন করে। আর আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে নদীর ধারে ভ্রমণ করতে গিয়ে ভালই সময় কাটিয়েছেন। এবং নদীর ধারে ভাঙ্গা নৌকার উপর বসে ভালোই আড্ডা দিয়েছেন। খুব সুন্দর করে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়া প্রথম পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আর ছবি তুলতেও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কথায় আছে বর্ষাকালে নদী তার যৌবন ফিরে পায়। এই সময় নদীর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।নদীতে ঘোরাঘুরির মুহূর্ত পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ নদীর পাড়ে ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করার জন্য।