জেনারেল রাইটিং-ছোটবেলার ঈদের আনন্দ||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। দেখতে দেখতে ঈদ প্রায় চলে এলো। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। ঈদ এলেই শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। শৈশবে সেই আনন্দের দিনগুলো মনে পড়ে যায়। যেই দিনগুলো আমরা হারিয়ে ফেলেছি। তাই তো আজকে আমি ছোটবেলার ঈদের আনন্দ নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করছি আমার লেখাগুলো পড়ে সবার ভালো লাগবে।
ছোটবেলার ঈদের আনন্দ:
Source
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ছোটবেলায় ঈদের আনন্দটা যেন অনেক বেশি ছিল। ছোটবেলায় ঈদের মুহূর্তগুলো অনেক রঙিন ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হয় ঈদের আমেজ। কয়েকদিন পর পর্যন্ত সেই আনন্দ রয়ে যেতো। নতুন জামা কেনা থেকে শুরু করে নতুন জুতা সবকিছুই কেনা হতো। হয়তো তখন অল্পতেই সন্তুষ্ট ছিলাম। তাই ঈদের আনন্দটা অনেক বেশি ছিল। নতুন জামা কেনার পর জামা লুকিয়ে রাখা থেকে শুরু করে সবকিছুই আজ স্মৃতি হয়ে গেছে। স্মৃতির পাতায় সোনালী সেই দিনগুলো এখনো রয়ে গেছে। এখনো মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা। যেই দিনগুলোতে অল্পতেই অনেক খুশি থাকতাম। আনন্দ হাসিতে ভরে উঠতো উৎসবের দিনগুলো।
ঈদের আগের দিন রাতে হাতে মেহেদি পরা সে এক আনন্দের উৎসব। যে ভালো মেহেদী পড়াতে পারতো তার পিছে পিছে সারা দিন ঘুরতাম হাতে মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার জন্য। আগে থেকেই ডিজাইন দেখে রাখতাম কোন ডিজাইনটি দিবো। তখন মেহেদির প্যাকেটের সাথে ছোট ছোট বই দেওয়া হতো। সেই বইয়ের ডিজাইনগুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। সবাই মেহেদীর ডিজাইন বই দেখে দেখে হাতে মেহেদি পড়তো। একটু এলোমেলো হয়ে গেলে মন খারাপ হয়ে যেত। কার হাতে মেহেদি পড়ানো ভালো হয়েছে এই নিয়ে শুরু হতো নতুন গল্প। নিজের হাতে মেহেদি পড়ানো ভালো হলে খুশির আর কোন সীমা থাকতো না। তখন দিনগুলো কতই না আনন্দের ছিল। এখন আর সেই আনন্দ নেই। বছরের পর বছর চলে যায় তবুও কখনো হাতে আর মেহেদি পড়া হয় না।
ঈদের আগের রাতে ঘুম যেন হতোই না। বারবার চোখ মেলে দেখতাম কয়টা বাজে। সকাল হবে কখন। সকাল হলেই নতুন জামা কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়াবো এই চিন্তায় যেন ঘুম উড়ে যেত। আর এখন কোন আনন্দ নেই। ঈদের সেই আমেজ নেই। বিলীন হয়ে গেছে সবকিছু। মনে হয় জীবনের সব খুশি গুলো শেষ করে এসেছি। জীবনের সব আনন্দগুলো ফুরিয়ে গেছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হওয়ার সেই আমেজ এখন আর খুঁজে পাই না। ছোটবেলার সেই আনন্দ এখন আর খুঁজে পাই না। হয়তো সময়টা ফুরিয়ে গেছে। কিংবা আমাদের জীবন থেকে সময় হারিয়ে গেছে।
সকালবেলা উঠে মিষ্টিমুখ করে বেরিয়ে পড়তাম ঈদ সালামির জন্য। বড়রা ঈদ সালামি দিত আর সেই সালামি পেয়ে অনেক খুশি হয়ে যেতাম। তখন যেহেতু অল্পতেই সন্তুষ্ট ছিলাম। ১০ টাকা পেলেও বিশাল কিছু মনে হতো। মনে হতো যেন আমার কাছে অনেক টাকা আছে। আর সেই সময়ের আনন্দটা এখনো অনেক মিস করি। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পাল্টে গেলেও মাঝে মাঝে কোথাও গিয়ে যেন শৈশবের সেই স্মৃতিগুলোকে ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সময় যে বড্ড অভিমানি। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু যেমন বদলে গেছে। তেমনি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের জীবনের সবকিছু বদলে গেছে। এখন আর সেই খুশি নেই। এখন আর সেই আনন্দ নেই।
মাঝে মাঝে শৈশবে সেই ঈদ আনন্দগুলো ফিরে পেতে ইচ্ছে। করে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে শৈশবের মতো দিনগুলো কাটাতে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যেমন সব বদলে গেছে তেমনি আমরাও কেন জানি বদলে গেছি। হয়তো পরিস্থিতি পরিবেশ সবকিছুই নিজেকে বদলে যেতে বাধ্য করেছে। আজও খুঁজে বেড়াই সেই ছোট ছোট খুশি গুলো। আজও খুঁজে বেড়াই সেই ছোট ছোট আনন্দ গুলো। যেই আনন্দের দিনগুলোর মাঝে ছিল অনেক বেশি প্রশান্তি। যেই আনন্দের দিনগুলোর মাঝে ছিল অনেক বেশি ভালোলাগা।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হল যে একবারে ছোটবেলার ঈদ থেকে ঘুরে আসলাম। ছোটবেলা আমাদেরও এরকম হতো। সকাল বেলায় উঠে গোসল করে রেডি হয়ে নিতাম। তারপর সবাইকে সালাম করতাম সালামির জন্য। তখনকার দশ টাকাই অনেক বেশি টাকা মনে হতো। এখন বড় হওয়ার পর সেই আনন্দগুলো আর খুঁজে পাইনা। বাচ্চাদের আনন্দ দেখে যদিও আনন্দ লাগে। যাইহোক আপু ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
সত্যিই আপু মাঝে মাঝে ছোটবেলার আনন্দটা অনেক মিস করি। তখন ১০ টাকা পেয়ে অনেক খুশি থাকতাম। আনন্দগুলো অনেক বেশি ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদের রাতে আমরা সব জামা কাপড় গুছিয়ে রাখতাম। রাতের বেলায় মেহেদী পড়তাম। যাতে সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে ঈদগাহ মাঠে যেতে পারি। ঈদের আনন্দ টা যেন অন্যরকম। আজকে আপনি ঈদের আনন্দ নিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোস্ট টি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ঈদের আগের রাতে আমরা জামা কাপড় গুছিয়ে রাখতাম। আর সকালে উঠে রেডি হয়ে যেতাম। সেই আনন্দটা এখন আর নেই।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। কেন জানিনা এক মুহূর্তের মধ্যে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল । আপনার মত আমরাও ঈদের আগের দিন রাতে জামা কাপড় সম্পূর্ণ গুছিয়ে পাশে রেখে দিতাম কখন সকাল হবে আর পড়বো। আর বারবার সময় দেখতাম। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
সত্যি আপু মাঝে মাঝে ছোটবেলার কথাগুলো অনেক মনে পড়ে। আর ঈদের আগের রাতে স্মৃতি গুলো বেশি মনে পড়ে।
ছোট বেলার ঈদের দিনের সাথে বর্তমান সময়ের ঈদের দিনের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ছোট বেলায় সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিজের পাড়া প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে সালামি নেয়া হতো। কিন্তু বর্তমান আর এই সালামি নেয়া হয় না।আর ঈদের দিন হাতের মধ্যে মেহেদী পরা একটা আমেজ ছিল।
সত্যি ভাইয়া ছোটবেলার ঈদের সাথে বর্তমানের ঈদের অনেক পার্থক্য আছে। ছোটবেলার সেই আনন্দগুলো এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
https://x.com/Monira93732137/status/1802182000415039855?t=GmJKDgOO4GzcymG0hPiu0A&s=19
ছোটবেলার এই মজার কাহিনী গুলো এখনো মনে পড়লে খুবই কষ্ট লাগে, সময়টা কত সুন্দর ছিল। আর এখন কতটা পরিবর্তন হয়েছে কালকে ঈদ আমার মনে কোন ফিলিংস নেই ঈদের কোন আমেজ মনে কাজ করছে না। ইচ্ছে করছে ছোটবেলার সেই সোনালী দিনগুলো যদি ফিরে পেতাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলার সেই অনুভূতিগুলো এখন আর নেই। সময় বদলে গেছে। তবে মাঝে মাঝে সেই স্মৃতিগুলো অনেক মনে পড়ে।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।ছোটবেলায় ঈদের কতই না আনন্দ ছিল চাঁদ রাতে হাতে মেহেদি দেওয়া আরো কত মজা। তাই আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
আমার পোস্ট পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। ছোটবেলার ঈদের আনন্দ অনেক বেশি ছিল।
ছোটবেলার ঈদের আনন্দ গুলো অন্যরকম আপু। আসলে যত বড় হয়ে যাই ততই এই ঈদের আনন্দটুকু আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। কারণ সংসারের কাজকর্ম বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্য থেকে সেই আনন্দগুলো হারিয়ে ফেলি। এখন নিজেদের বাচ্চাদের আনন্দ গুলো দেখলে সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে।
সত্যিই আপু ছোটবেলার ঈদের আনন্দ অন্য রকমের ছিল। আর সেই সময় অনেক মজা করতাম। এখন বাস্তবতার চাপে সবকিছু হারিয়ে গেছে।
আমাদের শৈশবের ঈদগুলো খুবই মজার ছিল। এখন এর ঈদ তেমন মজা হয় না। শৈশবে ঈদের আগের দিন বেশি মজা হতো,সবাই মেহেদী পড়তো, একে অন্যকে গিফট কার্ড দিতো,একে অন্যের বাড়িতে বেড়াতে যেতো। সব মিলিয়ে খুবই মজা হতো। এখন সবাই যান্ত্রিক ডিভাইসের মধ্যে বন্দী হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ আর আগের মত নেই। ধন্যবাদ আপু।
শৈশবের সেই ঈদ আনন্দ এখনো মনে পড়ে ভাইয়া। অনেক মজা করতাম সেই সময়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।