লাইফস্টাইল পোস্ট || মেট্রোতে চড়ে বিআরটিএ যাওয়া এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২১ শে মার্চ গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে এবং ছবি তুলতে মেট্রোতে চড়ে উত্তরা বিআরটিএ গিয়েছিলাম। তারপর বাসায় ফেরার সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে যোহরের নামাজ আদায় করে এবং টুকটাক কিছু কেনাকাটা করে বাসায় ফিরেছিলাম, সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক আগের দিন রাতেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম বাসা থেকে ৯ টার আগে বের হবো। যেহেতু রমজান মাস চলছে, সেহরি খেয়ে ফজর নামাজ আদায় করে ৩ ঘন্টার মতো ঘুমিয়েছিলাম।
তারপর ৮.৩০ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে, মোটামুটি ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যেই গুলিস্তান চলে গিয়েছিলাম। তারপর রিকশা নিয়ে মতিঝিল মেট্রো স্টেশনে গিয়ে, টিকেট কেটে প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়ালাম। যেহেতু মতিঝিল থেকেই ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়,সেহেতু সিট ফাঁকা ছিলো বেশ ভালোই। সিটে বসে আশেপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে মাত্র ৩০/৩৫ মিনিটের মধ্যেই উত্তরা পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর রিকশা নিয়ে বিআরটিএ গিয়ে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তোলার জন্য সিরিয়ালে দাঁড়ালাম। মোটামুটি ৩০ মিনিটের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার নামে স্মার্ট কার্ড বের হতে ৬ মাস সময় লাগবে। যাইহোক কাজ শেষ করে বিআরটিএ এর পাশে থাকা কয়েকটি নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
সেগুলো ফটোগ্রাফি পোস্টে আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করবো। যাইহোক রোদ বেশ ভালোই ছিলো সেদিন। তাই রোজা রেখে সেখানে বেশিক্ষণ না থেকে, রিকশা নিয়ে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনে চলে গেলাম। কারণ সময় তখন ১২.৩০ টার উপরে। যদি তাড়াতাড়ি যেতে পারি, তাহলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে গিয়ে যোহরের নামাজ আদায় করতে পারবো। যাইহোক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম এবং ৭/৮ মিনিট পর ট্রেন এসেছিল। যাইহোক যেহেতু উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়,বেশ ভালোই সিট ফাঁকা ছিলো। বেশ আরামে ৩০ মিনিটের মধ্যেই মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। এরপর রিকশা নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আসতে আসতে প্রায় ১.৩০ টা বেজে গিয়েছিল।
যেহেতু যোহর নামাজের জামাআত শেষ হয়ে গিয়েছিল,তাই ওজু করে যোহরের নামাজ নিজে নিজে আদায় করলাম বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে গিয়ে। তারপর কিছু ফটোগ্রাফি করে মসজিদ থেকে বের হয়ে,মসজিদের আশেপাশে থাকা ইসলামিক বইয়ের কিছু দোকানের ফটোগ্রাফি করলাম। এরপর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ভিতরে প্রবেশ করলাম প্রয়োজনীয় একটি জিনিস কেনার জন্য। মোটামুটি অনেকক্ষণ খুঁজে সেই জিনিসটা পেলাম। তারপর আমার জন্য একটি টুপি কিনে,গাড়িতে উঠে দুপুর ৩ টার আগেই বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। মেট্রোতে চড়ে আসা যাওয়া করেছিলাম বলে সময় একেবারেই কম লেগেছিল। ট্রেন জার্নি বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। অনেকদিন পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ আদায় করে ভীষণ ভালো লেগেছিল। সবমিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কেটেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৮.৩.২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
বিআরটিএ গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি দেওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ আদায় করে ঘোরাঘুরি করেছিলেন এবং সাথে টুকটাক কিছু কেনাকাটা করে বাসায় ফিরেছিলেন যেন ভালো লাগলো। তবে জামাতটা পেলে হয়তো বা একটু বেশি ভালো লাগতো আপনার। আর হ্যাঁ মেট্রোরেলে যাতা করেছিলেন বলেই হয়তো বা এত কম সময় লেগেছিল না হলে দেখা যেত জ্যামের মধ্যেই আরো কত সময় অহেতুক চলে যেত। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার লাইফ স্টাইল নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, যোহর নামাজ জামাআত এর সহিত আদায় করতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গত বৃহস্পতিবারের দিনটি আপনার খুবই আনন্দ সহকারে কেটেছে আপনার পোস্ট বিবরণ পড়ে বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া।মেট্রোতে চড়ে বিআরটিএ যাওয়া এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়ার বেশ সুন্দর কিছু অনুভূতি তুলে ধরেছেন আপনি। মেট্রোরেলে আমার এখনো যাত্রা করা হয়নি একবারও সাথে বায়তুল মোকাররম মসজিদেও যাওয়া হয়নি একবারও। সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখতে পারলাম সেগুলোর বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আমারও পছন্দের বেশ কিছু জায়গার ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
রোজা রেখে এতো জায়গায় ঘুরে একটুও খারাপ লাগেনি আমার। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আর যাই বলুন না ভাই দুইটা ইচ্ছা কিন্তু এখানে পূরণ করেছেন যে ইচ্ছা দুইটা আমারও রয়েছে। এক মেট্রোরেলে চড়ার খুবই শখ। আর এদিকে দেশের জাতীয় মসজিদে নামাজ পড়ার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। তবে দোয়া করবেন আমার জন্য যেন এই দুইটা শখ আমি খুব দ্রুত পূরণ করতে পারি।
ভাই এই ইচ্ছে দুটি অনেক আগেই আমার পূরণ হয়েছে। যাইহোক আপনি অবশ্যই একদিন এই ইচ্ছে দুটি পূরণ করতে পারবেন। পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ শুধুমাত্র ফটোগ্রাফিতে দেখা হয়েছিল৷ তবে কখনোই মসজিদ সরাসরি দেখতে যাওয়া হয়নি৷ তবে আজকে যেভাবে আপনি এত দূর পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে নামাজ পড়ার জন্য গিয়েছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ একইসাথে আমার এখনো মেট্রোতেও চড়া হয়নি৷ আপনার মেট্রোতে চড়ার এই মুহূর্ত দেখেও খুবই ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
বায়তুল মোকাররম মসজিদে যেতে আমার বাসা থেকে ৩০/৪০ মিনিট সময় লাগে এবং প্রায়ই যাওয়া হয়। কিন্তু সবসময় নামাজ আদায় করার সুযোগ হয় না সেখানে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাসা থেকে ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আসলে যদি কখনো সময় হয় তাহলে অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করব