ভ্রমণ পোস্ট || সন্ধ্যার পর রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেকদিন পর আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত মাসে আমি এবং আমার স্ত্রী বিকেল ৫ টার পর বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম একটু ঘুরাঘুরি করতে এবং বাসার জন্য কিছু কেনাকাটা করতে। প্রথমে আমরা যাবো রমনা পার্কে। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর আমরা নিউমার্কেট এর দিকে যাবো। সাধারণত আমাদের বাসা থেকে রমনা পার্কে যেতে ৪০/৫০ মিনিটের মতো সময় লাগে। কিন্তু সেদিন রাস্তায় বেশ ভালোই জ্যাম ছিলো। তাই রমনা পার্কে পৌঁছাতে প্রায় ১.৩০ ঘন্টার মতো সময় লেগে যায়। সাধারণত এই রাস্তায় জ্যাম থাকে না। তবে সেদিন শনির আখড়া থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত প্রচন্ড জ্যাম ছিলো।
মোটামুটি কয়েক মাস পর এই রাস্তায় জ্যাম দেখলাম। এক সময় এখানে প্রচন্ড জ্যাম থাকতো সবসময়। কিন্তু আট লেন এর রাস্তা হওয়ার পর এই রোডে জ্যাম থাকে না তেমন। যাইহোক আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম সন্ধ্যা ৬ টার আগেই রমনা পার্কে পৌঁছাতে পারবো। বিকেলে রমনা পার্কে ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ চারিদিকে গাছপালা, আর্টিফিশিয়াল লেক সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটানো যায়। কিন্তু জ্যামে পড়ে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। রমনা পার্কে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। যাইহোক তবুও ভাবলাম ভিতরে প্রবেশ করে একটু ঘুরাঘুরি করবো এবং কিছু ফটোগ্রাফি করবো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তো যে-ই ভাবা সেই কাজ। যেহেতু সময় কম ছিলো, আমরা সরাসরি আর্টিফিশিয়াল লেক এর দিকে চলে গেলাম।
তবে সন্ধ্যার পরও মানুষের প্রচুর আনাগোনা সেখানে। কারণ ঢাকা শহরে এমন খোলামেলা পরিবেশের বড়ই অভাব। পাশেই যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো অবস্থিত। তাই হল থেকে স্টুডেন্টরা এখানে এবং টিএসসি চত্বরে আড্ডা দিয়ে থাকে। যাইহোক আর্টিফিশিয়াল লেকের পাড়ে কিছুক্ষণ বসার ইচ্ছে ছিলো,কিন্তু কোনো সিট মনে হয় ফাঁকা নেই। একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ কাপল দের জন্য। তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম লেকে কোনো মাছ নেই। কয়েকমাস আগে যখন এসেছিলাম,তখন প্রচুর মাছ দেখেছিলাম লেকে। যাইহোক আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করে রমনা পার্কের স্বাধীনতা জাদুঘরের গেইট এর দিকে চলে আসলাম। দেখলাম খাবারের অনেক গুলো স্টল বসানো। যেহেতু মোমো আমাদের দুজনের খুব পছন্দ।
তাই দুই প্লেট মোমো নিলাম। যদিও মোমোর টেস্ট খুবই বাজে ছিলো। তাই নতুন করে অর্ডার করিনি আর। যাইহোক এরপর গেইট এর পাশে থাকা উন্মুক্ত লাইব্রেরি এর ফটোগ্রাফি করলাম। এরপর রিকশা নিয়ে নিউমার্কেট চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে বাসার সোফার কভার, কিছু ক্রোকারিজ আইটেম এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য একটি কটন থ্রি পিস কিনলাম। ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছিল। তাই নিউমার্কেট এর ২নং গেইটের পাশে থাকা একটি ফাস্ট ফুড শপে বসে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করলাম। প্রথমে দুই গ্লাস লাচ্ছি অর্ডার করলাম এবং তারপর আমার জন্য একটি পিৎজা ও আমার ওয়াইফ এর জন্য একটা চিকেন হট ডগ অর্ডার করলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাত ১০ টার পর বাসায় পৌঁছালাম। ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। সন্ধ্যার পর রমনা পার্কে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৩.৯.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সন্ধ্যার পর আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন ভাইয়া। রমনা পার্কের কথা অনেক শুনেছি তবে কখনো যাওয়া হয়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
সময় এবং সুযোগ হলে রমনা পার্কে ঘুরতে যাবেন আপু। আশা করি খুব ভালো লাগবে ঘুরতে। যাইহোক পোস্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে বিকেল মুহূর্তে এরকম জায়গায় সময় কাটাতে পারলে ভালই লাগে। রমনা পার্কের বিভিন্ন দৃশ্য দেখে ভালই লাগলো যেটা আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন । সন্ধ্যাময় মুহূর্ত সত্যিই এরকম পরিবেশে উপভোগ করলে অনেক ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাই, এমন জায়গায় সময় কাটাতে দারুণ লাগে। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রমনা পার্কের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় দৃশ্যগুলো আরো বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার ওয়াইফের সাথে বিকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সন্ধ্যার পর রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি এবং নিউমার্কেটে যেয়ে কেনাকাটা করার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাবীর সাথে পার্কে ঘুরাঘুরি করলেন তারপর খাওয়া দাওয়া শপিং সব মিলিয়ে দারুন ছিল সময়টি আপনাদের।রাতের রমনা পার্ক দেখতে চমৎকার লাগছে ভাইয়া। আট লেনের রাস্তা হওয়ায় জ্যাম হয়না খুব একটা তবে সেদিন আপনাদের জ্যামে পড়তে হয়েছিল।সুন্দর মুহূর্তের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, রাতের রমনা পার্ক আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।