প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। তবে বেশিরভাগ সময় আমি চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করে থাকি। কারণ এই দুটি মাছ আমার খুব প্রিয়। তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। যাইহোক আমি আলু এবং চিচিঙ্গা দিয়ে সামুদ্রিক চাপিলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছিলাম। রেসিপিটা একটু ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছিলাম। কারণ ঝাল আমার খুব পছন্দ। সবমিলিয়ে রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

প্রথমে মাছগুলোর মধ্যে অল্প পরিমাণে হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ মাখিয়ে নিলাম।

🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲

তারপর ফ্রাই প্যানে পরিমাণ মতো সরিষার তেল ঢেলে মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম।

🍲তৃতীয় ধাপ🍲

তারপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো সরিষার তেল ঢেলে দিলাম। তেল একটু গরম হওয়ার পর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম।

🍲চতুর্থ ধাপ🍲

পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,আদা রসুন বাটা, ধনিয়ার গুঁড়া, জিরার গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।

🍲পঞ্চম ধাপ🍲

কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে কেটে রাখা চিচিঙ্গা, আলু এবং কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর সবজি গুলো অল্প কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।

🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲

এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো পানিতে বলক আসা পর্যন্ত।

🍲সপ্তম ধাপ🍲

একটু পর দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর আগে থেকে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর আবারও ঢেকে দিবো ৭/৮ মিনিটের জন্য।

🍲অষ্টম ধাপ🍲

৭/৮ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম রান্না হয়ে গিয়েছে। তারপর চুলা বন্ধ করে দিলাম।

🍲সর্বশেষ ধাপ🍲

এরপর লাঞ্চের সময় বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করলাম।