"এসো নিজে করি" আর্ট || কেটে রাখা একটি তরমুজের চিত্রাঙ্কন
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করবো। আমি সময় পেলে প্রায়ই ম্যান্ডেলা আর্ট করার চেষ্টা করি। বিশেষ করে ফুলের ম্যান্ডেলা আর্ট করতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে মাঝেমধ্যে ভিন্ন ধরনের ম্যান্ডেলা আর্ট করার চেষ্টা করি। যাইহোক আমি কেটে রাখা একটি তরমুজের চিত্রাঙ্কন করার চেষ্টা করেছি। তরমুজের টুকরো গুলোকে বেশ কয়েকটি কালো পিঁপড়া খাওয়ার চেষ্টা করছে। সবগুলো পিঁপড়া এঁকে,সাদা ক্লে দিয়ে চোখ বানিয়েছি। সেজন্য পিঁপড়া গুলোকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। তরমুজের টুকরো গুলো দেখে মনে হচ্ছে একেবারে সত্যিকারের। সবমিলিয়ে আর্টটি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক আর্ট করতে অনেক সময় লাগলেও, আর্ট সম্পন্ন করার পর সেই কষ্ট অনেকটা দূর হয়ে যায়। যাইহোক আমি কেটে রাখা একটি তরমুজের আর্ট ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
কেটে রাখা একটি তরমুজের চিত্রাঙ্কন
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- ড্রয়িং খাতা
- বিভিন্ন কালারের সাইন পেন
- পেন্সিল
- রাবার
- স্কেল
- কম্পাস
- কাঁচি
- সাদা ক্লে
অঙ্কন প্রণালী নিম্নরুপঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে পেন্সিল এবং কম্পাস দিয়ে পাশাপাশি দুটি বৃত্ত এঁকে নিলাম। তারপর বড় বৃত্তের সাইজ অনুযায়ী কাঁচি দিয়ে গোল করে কেটে,লাল রঙের সাইন পেন দিয়ে বর্ডার দিয়ে দিলাম। তারপর পেন্সিল দিয়ে তরমুজের একটি টুকরো এঁকে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এই পর্যায়ে বিভিন্ন কালারের সাইন পেন দিয়ে তরমুজের একটি টুকরো এঁকে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
একইভাবে তরমুজের আরও কয়েকটি টুকরো এঁকে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
তারপর তরমুজের টুকরো গুলোর উপরে এবং পাশে বেশ কয়েকটি পিঁপড়া এঁকে, সাদা ক্লে এবং কালো সাইন পেন দিয়ে পিঁপড়া গুলোর চোখ বানিয়ে নিলাম। দেখে মনে হচ্ছে পিঁপড়া গুলো তরমুজের টুকরো গুলোকে খাওয়ার চেষ্টা করছে।
সর্বশেষ ধাপ
ব্যাস এভাবেই আমি কেটে রাখা তরমুজের আর্টটি করে ফেললাম। তারপর সিগনেচার করে নিলাম। দেখতে আসলেই সত্যিকারের তরমুজ এবং কালো পিঁপড়ার মতো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | আর্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.৪.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
কেটে রাখা একটি তরমুজের চিত্র অংকন খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে পিপীলিকা গুলো তরমুজের মিষ্টান্ন উপভোগের জন্য চারিদিকে ছুটাছুটি করছে। সেই দৃশ্যটি চিত্রটির সৌন্দর্য আরো বেশি ফুটিয়ে তুলেছে । যেটা আপনার দক্ষতার অনেক বড় পরিচয় । এই ধরনের চিত্র অংকন গুলো দেখে সত্যিই ভালো লাগে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক আর্টটি দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ দারুন একটা আর্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। যদিও পিপড়া গুলো তরমুজ খেয়ে ফেলছে তবে পিঁপড়া গুলোকে খুবই কিউট লাগছে দেখতে। সাইন পেন দিয়ে করার কারণে কালার গুলা খুবই সুন্দর হয়েছে। তরমুজের টুকরোগুলো একদম পারফেক্ট ভাবে অঙ্কন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে যেন সত্যি কারের তরমুজের টুকরো। ভালো লাগলো আপনার আজকের আর্ট টি দেখে। আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু সাইন পেন ব্যবহার করার কারণে আর্টটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। যাইহোক আর্টটি দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
তরমুজের খুবই সুন্দর একটা চিত্র অঙ্কন করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার অংকন করা চিত্রটা দেখে আমি অনেক মজা পেয়েছি কারণ সেখানে দেখতে পেলাম পিঁপড়াগুলো তরমুজ খেয়ে যাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর চিত্র অংকন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কাছ থেকে এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে, এই পোস্ট করাটা সার্থক বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক আর্টটি দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কেটে রাখা তরমুজ গুলোকে পিঁপড়া খেয়ে ফেলছে। দারুন আইডিয়া নিয়ে আজকে আর্ট পোস্টটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার এই ধরনের কাজগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তরমুজগুলো এত সুন্দর ভাবে এঁকেছেন দেখে মনে হচ্ছে এগুলো সত্যি তরমুজের টুকরা।সাথে পিঁপড়াগুলোকেও অনেক কিউট লাগছে।
হ্যাঁ আপু পিঁপড়া গুলোকে আসলেই খুব কিউট লাগছে দেখতে। যাইহোক আর্টটি দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার করা এত সুন্দর একটা আর্ট দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হয়েছি। এখন যেহেতু তরমুজের সিজন, তাই সব দিকে শুধু তরমুজ দেখা যাচ্ছে। আর আপনি অনেক সুন্দর করে তরমুজের চিত্রাংকন করেছেন, তাও আবার কেটে রাখা। এই চিত্রাংকন টাকে দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগতেছে। কালারটা এত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে যে কি বলবো। পিঁপড়া গুলো দেখছি তছনছ করে ফেলতেছে তরমুজের টুকরাগুলো। আপনি প্রতিনিয়তই নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের কাজ করেন। তেমনি আজকের এই আর্টটি করেছেন। যেটা খুব মনোমুগ্ধকর হয়েছে।
আসলে এমন মন্তব্য পেলে কাজের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। যাইহোক আর্টটি দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ম্যান্ডেলা আর্টগুলোর সময় ছাড়া করতে বাসাই হয় না। কারণ এগুলো করতে অনেক সময় লাগে। এরকম কালারফুল আর্ট গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আজকে আপনার তরমুজের আর্টটি খুব সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর তরমুজগুলো পিঁপড়া দিয়ে খাইয়ে দিলেন ভাইয়া। অবশ্য মাঝেমধ্যে পিপড়ার এমন উৎপাত শুরু হয় যে সব কিছু খেয়ে ফেলতে চায়। যাই হোক ভালো লাগলো আর্টটি দেখে।
পিঁপড়া গুলোর জন্য অনেক মায়া হয়েছে আপু, তাই তরমুজ খেতে দিলাম 😂। যাইহোক আর্টটি দেখে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
X-promotion
একটা মজার ব্যাপার হলো তরমুজের উপর কখনো আমি পিপড়া দেখিনি। এর কারণ তরমুজ মিষ্টি হলেও পানি জাতীয় ফল হওয়াই হয়তো তরমুজে পিপড়া লাগে না। তরমুজ এর উপর পিপড়া এই চিএ টা বেশ সুন্দর একেছেন। বেশ চমৎকার লাগছে। চিএ টার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
কল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্ট করে ফুটিয়ে তোলা যায়। যাইহোক আর্টটি দেখে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।