স্পোর্টস পোস্ট || বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের বিশাল জয়
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে,ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে। গতকালকে ভারত এবং বাংলাদেশের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এই পিচে সাধারণত প্রচুর রান হয়। এককথায় বলা যায় হাই স্কোরিং ম্যাচ হয় এই পিচে। যাইহোক বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম প্রথম ৫ ওভারে স্ট্রাগল করে। কারণ বুমরাহ এবং সিরাজ দুর্দান্ত বোলিং করে। প্রথম ৫ ওভারে ১০ রান সংগ্রহ করে টিম বাংলাদেশ। এরপর লিটন এবং তানজিদ দুর্দান্ত শুরু করে। দুজনেই প্রায় সমান তালে ব্যাট করতে থাকে।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
অনেক দিন পর বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এতটা ভালো করেছে। তারা মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট করছিল। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান তুলে নেয়। ভারতীয় পেসাররা প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট তুলতে পারে না। এরপর ভারতীয় টিম স্পিন অ্যাটাক করে। স্পিন বলও বেশ ভালোই খেলছিল তারা দুইজন। কিন্তু দলীয় ১৫ তম ওভারে ৯৩/১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। কুলদীপ এর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তানজিদ ৪৩ বল মোকাবেলা করে ৫১ রান করে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যায়। এরপর শান্ত এবং মিরাজ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আউট হয়ে যায়। লিটন দাসও ইনিংস লম্বা করতে পারেনি। দলীয় ২৮ তম ওভারে ১৩৭/৪ রানের মাথায় লিটন দাস ৬৬ রান করে জাদেজার বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। একসময় মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ৩০০ রান করতে পারবে,কিন্তু ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ চাপের মুখে পড়ে যায়। এরপর রান রেট অনেকটা কমে যায়। ভারত খুব ভালোভাবে খেলায় ফেরত আসে।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
তারপর মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ এর ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দলের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল উড়ন্ত সূচনা করে। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকে। বিশেষ করে রোহিত শর্মার ব্যাটিং ছিলো চোখ ধাঁধানো। দলীয় ১৩ তম ওভারে ৮৮/১ রানের মাথায় ৪৮ রান করে রোহিত শর্মা হাসান মাহমুদ এর বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। এরপর বিরাট কোহলি ব্যাট করতে নামে। কোহলি এবং শুভমান গিল ছোটখাটো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। দলীয় ২০ তম ওভারে ১৩২/২ রানের মাথায় ৫৩ রান করে গিল আউট হয়ে যায় মিরাজের বলে। মাহমুদউল্লাহ বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ লুফে নেয়। শুভমান গিলের সেই শটটা একটুর জন্য ৬ হয়নি। যাইহোক শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাট করতে নামার পর মাত্র ১৯ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর রাহুল ব্যাট করতে নামে।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
বিরাট কোহলি এবং রাহুল দুর্দান্ত একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তাদের অপরাজিত ৮৩ রানের জুটি দলকে সহজ জয় এনে দেয়। বিরাট কোহলি ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকে। ভারত ৪২ তম ওভারে ২৬১/৩ রান করে ফেলে। ৫১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় ভারত। বিরাট কোহলি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। ভারত ব্যাটিং,বোলিং এবং ফিল্ডিং খুব ভালো করেছে। ভারতীয় বোলাররা এককভাবে কেউ বেশি উইকেট না পেলেও, সবাই ২/১ উইকেট করে পেয়েছেন। বাংলাদেশ দল শুরুতে ভালো ব্যাট করলেও, পরবর্তীতে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে। এমনটা আগেও অনেক দেখেছি। একজন আউট হলে টানা উইকেট পড়তে থাকে। ম্যাচ জিততে হলে কমবেশি সবার অবদান থাকতে হয়। আবার যদি লিটন এবং তানজিদ তাদের ইনিংস লম্বা করে সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতো, তাহলে স্কোরবোর্ডে রান আরও অনেক বেশি থাকতো। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হচ্ছে ধারাবাহিকতার অভাব। যারা ৫০ করবে তাদের টার্গেট রাখতে হবে ১০০ করার। আশা করি বাংলাদেশ টিম ভবিষ্যতে ভালো করবে সেই প্রত্যাশা করি।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২০.১০.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter Link
আড়াইটা থেকে আমার ক্লাস। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এতো সুন্দর খেলছিল আমি ক্লাসের ফাঁকে স্কোর দেখছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে মিডল অর্ডার যা খেলল সেটা এককথায় বলার মতো না। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহর রানটা শুধুই সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। যদিও জানতাম এই রান ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ এর কাছে কিছুই না। তবে শেষদিকে কোহলির নাটকীয় শতক টা ভালো লেগেছিল।
হ্যাঁ ভাই মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং দেখে মনটা ভরে গিয়েছে। এমন একজন ব্যাটসম্যানকে বাদ দিয়ে বসিয়ে রাখে বিসিবি। ভাবতেই অবাক লাগে। তবে কোহলির নাটকীয় শতক নিয়ে টুইটারে ঝড় উঠেছে। আম্পায়ারকে ক্রেডিট দিতে হবে এই সেঞ্চুরির জন্য। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে এবারের ম্যাচটাও জয়লাভ করতে পারে নি। শুরুটা ভালো করলে পরবর্তীতে ধারাবাহিক উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণে ভালো রান করতে সক্ষম হয় নি। ভারতীয় ব্যাটম্যানেরা অতি সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। বিরাট কোহলি নান্দনিক সেঞ্চুরি আমাদের উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল,কিন্তু এটাও ভাবছিলাম যে এক উইকেট পরলে,নিয়মিত উইকেট পরতে থাকবে। পরবর্তীতে সেটাই হয়েছিল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।