ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (নবম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের অষ্টম পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে নবম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা সিঁড়ি দিয়ে হিমছড়ি পাহাড়ে উঠতে লাগলাম। প্রচুর মানুষ সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করছিল। আসলে হিমছড়ি পাহাড়ে উঠার এই সিঁড়িটা খুবই সুন্দর লাগে। যারা বয়স্ক তারা সিঁড়ির রেলিং এ ধরে ধরে উঠানামা করতে পারে। সেজন্য হিমছড়ি পাহাড়ের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। যাইহোক আমরা সিঁড়ি দিয়ে অল্প একটু উঠার পরেই আমার ওয়াইফ ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই বেশ কিছুক্ষণ সিঁড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিয়ে আবারও উপরের দিকে উঠতে শুরু করলাম। পাহাড়ের উপরে উঠার পর দেখলাম মানুষের আনাগোনা ছিলো প্রচুর।
পাহাড়ের উপরে সেলফি পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এটা আগে ছিলো না। কারণ এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার হিমছড়ি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যাইহোক সেলফি পয়েন্টে দেখলাম অনেকে ছবি তুলছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদেরও ছবি তোলার ইচ্ছে ছিলো,কিন্তু মানুষের সিরিয়াল দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে সামনের দিকে চলে গেলাম। সামনের দিকে যেতেই ওয়াচ টাওয়ার চোখে পরলো। ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে সবাই হিমছড়ি পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্রের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করছে। মানুষের ভিড়ের কারণে ওয়াচ টাওয়ারের উপরের দিকে উঠার সুযোগ পাইনি। আসলে শীতকালে প্রচুর মানুষ যায় কক্সবাজার ঘুরতে। তাই প্রায় প্রতিটি জনপ্রিয় স্পটে মানুষের আনাগোনা থাকে প্রচুর। আমরা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম হিমছড়ি পাহাড়ের উপর। তারপর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে পাহাড় থেকে নিচে নামার সিদ্ধান্ত নিলাম।
যাইহোক পাহাড়ের উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে কোনো সমস্যাই হলো না। খুব তাড়াতাড়ি নিচে নেমে পরলাম। তারপর আমার ওয়াইফ বললো সেখান থেকে একটি ড্রেস কিনবে। আপনারা যারা কক্সবাজারের হিমছড়ি ঝর্ণার দিকে ঘুরতে গিয়েছেন,তারা খুব ভালোই করেই জানেন যে, সেখানে অনেক গুলো দোকান রয়েছে। জামা কাপড় থেকে শুরু করে অনেক কিছুই পাওয়া যায় সেখানে। তো আমরা একটি কাপড়ের দোকানে ঢুকলাম আমার ওয়াইফ এর জন্য ড্রেস কিনতে। তো ওয়াইফ এর পছন্দমতো একটি ড্রেস সেখান থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ে নিলাম। তারপর বললাম আরও কেনাকাটা সুগন্ধা পয়েন্টের দিক থেকে করবো। যাইহোক আমরা সিএনজি তে উঠে কলাতলী মেইন রোডের দিকে অর্থাৎ হোটেলের দিকে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম।
কিন্তু সিএনজি তে উঠার আগে, হিমছড়ি বিচের দিকে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ সেই বিচের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। যদিও আমরা বিচের পানির দিকে যাইনি। যাইহোক তারপর আমরা সিএনজি তে উঠে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই কলাতলী মেইন রোডে নামলাম। তারপর সিএনজি ড্রাইভারকে ১৪০০ টাকা ভাড়া এবং ১০০ টাকা টিপস হিসেবে দিয়ে, একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাওয়া দাওয়া করার জন্য। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে আমরা হোটেলে ঢুকে পরলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে,প্ল্যান করলাম যে আর কি কি করা যায়। কারণ আমরা তার পরের দিন কক্সবাজারে থাকবো এবং তারপর বাসায় ফিরবো। তাই হাতে যেহেতু সময় ছিলো, তাই আরও কিছু প্ল্যান করলাম। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজারে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১২.৬.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কক্সবাজার ভ্রমণের আরো একটি পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। হিমছড়ি পাহাড় এবং হিমছড়ি বীচে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। পাহাড়ের উপর সিঁড়িটা বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। উপর থেকে সমুদ্রের ভিউ গুলো অসাধারণ লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম।
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে, এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের একের পর পর্ব দেখে আসছি৷ আজকে এর নবম পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এখানে নতুন পর্ব শেয়ার করেছেন এবং খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ পরবর্তীতে আরো কিছু পর্ব দেখার আশায় রইলাম ৷
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।