প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি প্রথম বারের মতো স্পোর্টস বিষয়ক পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। ছোটবেলা প্লাস্টিকের ব্যাট বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম। তারপর বড় হয়ে টেপ টেনিস বল এবং কাঠের বল দিয়েও ক্রিকেট খেলতাম। একসময় কাঠের বল থেকে শুরু করে ক্রিকেট খেলার প্রায় সকল সরঞ্জামাদি আমার বাসায় ছিলো। লং পিচ এবং শর্ট পিচ সবধরনের ক্রিকেট খেলতাম। যখন ক্রিকেট ম্যাচ লাইভ দেখাতো টিভিতে, তখন পুরো খেলা না দেখে উঠতাম ই না। ক্রিকেটে বাংলাদেশকে সাপোর্ট করি এবং ছোট থেকেই আমি ইন্ডিয়ার সাপোর্টার। ছোট থেকেই বীরেন্দের শেবাগ এবং শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং দেখতে খুবই ভালো লাগতো। স্টেডিয়ামে গিয়ে অসংখ্য ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে জীবনে। যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতাম। যদিও বাংলাদেশে আসার পর কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট খেলি না মাঠের অভাবে। তবে টিভিতে প্রায়ই ক্রিকেট খেলা দেখে থাকি।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, গত পরশু দিন ইন্ডিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের পঞ্চম টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়লাভ করে। এটি ছিলো এই সিরিজের শেষ ম্যাচ। এই সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়লাভ করে। তারপরের দুটি ম্যাচ ইন্ডিয়া জয়লাভ করে। ২-২ সমতা থাকার পর ৫ম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম জিতে যায়। যেহেতু আমি টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্টার, প্রথম ম্যাচ দুটি ইন্ডিয়া হারার পর,পরবর্তী ম্যাচ গুলো দেখেনি। কারণ প্রিয় টিমকে হারতে দেখলে খারাপ লাগে। তবে হাইলাইটস দেখেছিলাম পরবর্তী ম্যাচ গুলোর। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ ইন্ডিয়া বেশ ভালো ভাবেই জয়লাভ করে। তবে অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচে ইন্ডিয়া বাজেভাবে হেরেছে। আমার মনে হয় টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার দরকার ছিলো ইন্ডিয়ার। কারণ আমি অনেক দেখেছি বেশিরভাগ সময়ই ইন্ডিয়া রান চেজ করতে পারে খুব ভালোভাবে। অর্থাৎ টার্গেটে খুব ভালো ব্যাট করে ইন্ডিয়া। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান দ্রুত সাজঘরে ফিরে যায়।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এরপর তিলক বার্মা এবং সূর্যকুমার যাদব দারুণ ব্যাট করে। তারা দুজন ইন্ডিয়ার রানের চাকা সচল রাখে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেজ এর বলে আউট হয় তিলক। রোস্টন চেজ নিজেই বল করে দারুণ একটি ক্যাচ লুফে নেন। এরপর এক প্রান্ত থেকে সূর্যকুমার ভালো ব্যাট করলেও, তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না। তাই রানরেট অনেকটাই কমে যায়। একসময় মনে হয়েছিল ১৮০ রান হবে। কিন্তু সূর্যকুমার ৬১ রান করে দলীয় ১৪০ রানের মাথায় জ্যাসন হোল্ডার এর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে। তারপর ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডার এবং শেষের সারির ব্যাটসম্যানরা মিলে ১৬৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের রোমারিও শেফার্ড সবচেয়ে ভালো বোলিং করে। তিনি ৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান। যদিও আরো কয়েকজন বোলার বেশ ভালো বোলিং করেছে এবং সবাই দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের ব্র্যান্ডন কিং দারুণ সূচনা করে। কিন্তু শুরুতেই কাইল মেয়ার্স আউট হয়ে যায়।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তারপর নিকোলাস পুরান ব্যাট করতে নেমেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান। একদিক থেকে ব্র্যান্ডন কিং এবং অপরদিক থেকে নিকোলাস পুরান দারুণ ঝড় তোলে। একের পর এক বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি হাঁকান দুজন। ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান একশত ছুঁইছুঁই। কিছুক্ষণ পর নিকোলাস পুরান আউট হয়ে গেলে,শাই হোপ ব্যাট করতে নামেন। ব্র্যান্ডন কিং এবং শাই হোপ মিলে খুব সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। দুই ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয়লাভ করে টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে করে টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জয়লাভ করে। ব্র্যান্ডন কিং অপরাজিত থাকেন ৫৫ বলে ৮৫ রান করে। ইন্ডিয়ার কোনো বোলারই তেমন ভালো বল করতে পারেনি। একমাত্র কুলদীপ যাদব মোটামুটি ভালো বল করেছে। যদিও কোনো উইকেট পাননি তিনি। চার ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দেন তিনি। তাছাড়া অন্যান্য বোলাররা বেশ খরুচে বোলিং করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের রোমারিও শেফার্ড ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন এবং পুরো সিরিজে দারুণ ব্যাট করার জন্য ম্যান অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হন নিকোলাস পুরান।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে