আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে অনুরাগ। এই নাটকটি কিছুদিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে তৌসিফ মাহবুব এবং নাজনীন নাহার নিহা। এই নায়িকাটি একেবারে নতুন। এই প্রথম এই নায়িকার নাটক দেখলাম। তবে অভিনয় মোটামুটি ভালো লেগেছে। কিন্তু তৌসিফ এর অনেক নাটক এর আগে দেখেছিলাম। যদিও এখন তেমন একটা দেখা হয় না। নাটকটি মোটামুটি ভালোই লেগেছে দেখতে। কারণ এই নাটকের কাহিনী একেবারে বাস্তবসম্মত। আর এমনিতেও মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ এর নাটকগুলো বাস্তবসম্মত হয়। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক তৌসিফ এবং নায়িকা নিহা সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। তাদের বিয়ে হয়েছে পারিবারিক ভাবে। তৌসিফ এর বাবা মা নিহার উপর খুবই সন্তুষ্ট। তৌসিফও নিহাকে পেয়ে খুব খুশি। নিহা সবার বেশ খোঁজ খবর রাখে এবং বিয়ের পরপরই সংসারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে। একদিন তৌসিফ দুপুরের খাবার না নিয়ে অফিসে চলে গিয়েছে। তারপর নিহা তৌসিফের অফিসে গিয়ে দুপুরের খাবার দিয়ে এসেছে। এতে করে তৌসিফ খুব রাগ হয়। সে নিহার সাথে খুবই বাজে ব্যবহার করে। এতে করে নিহা খুব কষ্ট পায়। তৌসিফ অফিস থেকে বাসায় আসার পর তাদের মধ্যে মান অভিমান চলে কিছুটা।

যাইহোক তাদের সংসার বেশ ভালোই চলছিলো। একদিন সকাল বেলা নিহা পায়েস তৈরি করে। তারপর তৌসিফকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তৌসিফ পায়েস খায় না এবং এক পর্যায়ে নিহার সাথে রাগারাগি করে। কারণ নিহা তৌসিফকে পায়েস খেতে জোরাজুরি কর। এসবের জন্য নিহা সবার সামনে খুব লজ্জা পায়। সেদিন তৌসিফ অফিসে গিয়ে বসের সাথে রাগারাগি করে চাকরি ছেড়ে দেয়। নিহা অফিসে গিয়ে বসের সাথে কথা বলে তৌসিফ এর চাকরিতে জয়েন করার ব্যবস্থা করে দেয়। দুই দিন পর আবারো সেই চাকরিতে জয়েন করে তৌসিফ।

কয়েকদিন পর তৌসিফ এর বাবা মার বিবাহ বার্ষিকী। নিহা তৌসিফ এর বাবা মার জন্য শপিং করে নিয়ে আসে এবং তৌসিফকে বলে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি আসার জন্য। কারণ তারা সবাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যাবে। কিন্তু তৌসিফ বলে আসতে দেরি হবে। তাই অন্য সময় ডিনারে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু নিহা কিছুতেই সেটা মানতে যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে তৌসিফ নিহার গালে চড় মারে। তারপর তৌসিফ অফিসে চলে যায় এবং নিহা বাসা থেকে চলে যায়। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

অনেক সময় কাউকে বেশি ভালোবাসলে সেটার দাম পাওয়া যায় না। বাস্তবেও এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। নিহা তৌসিফকে অনেক কেয়ার করতো। কিন্তু তৌসিফ উল্টো খারাপ ব্যবহার করতো প্রায়সময়। কারণ তৌসিফ অনেক বদমেজাজী ছিলো। যখন এমন তীব্র ভালোবাসার দাম না দেওয়া হয়, তখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক মানুষ পরিবর্তন হয়ে যায়। সেই পরিবর্তন অনেক সময় জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সময় থাকতে ভালোবাসার মূল্যায়ন করা উচিত এবং ভালোবাসার মানুষকে ভালোবেসে ধরে রাখা উচিত।

আমার রেটিং