ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমরা সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়ে, সুগন্ধা বিচের দিকে গেলাম সময় কাটাতে। আসলে সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার পর সময় কাটাতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার। সন্ধ্যার পর সমুদ্রের গর্জন শুনতে যে কি ভালো লাগে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাছাড়া সন্ধ্যার পর সিট ভাড়া করে বিচের মধ্যে শুয়ে থাকতেও ভীষণ ভালো লাগে। কারণ ফুরফুরে বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দেয়।
Location
যদিও তখন ফেব্রুয়ারি মাস ছিলো,তাই এমনিতেও গরম ছিলো না। আমরা সমুদ্রের একেবারে সামনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রের গর্জন শুনলাম। তারপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তাছাড়া ভিডিওগ্রাফিও করেছিলাম। তারপর এক ঘন্টার জন্য সিট ভাড়া করে শুয়ে ছিলাম। আর তখন আমি এবং আমার ওয়াইফ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করার পাশাপাশি গল্প গুজব করলাম। তারপর সেখানে শুয়ে শুয়ে কিছু পোস্ট পড়ে কমেন্ট করলাম। যদিও এতে করে আমার ওয়াইফ কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করলো😂। আমি আবার কাজ পাগল মানুষ, তাই যেখানেই যাই না কেনো, আমাদের কমিউনিটিতে সবসময় এক্টিভ থাকার চেষ্টা করি। যাইহোক খুব সম্ভবত রাত ১০ টা পর্যন্ত আমরা বিচে ছিলাম। তারপর আমরা হোটেলের দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
Location
যদিও সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়ে পেট কিছুটা ভরা ছিলো তখনও, তবুও হোটেলে ঢোকার আগে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে ডিনার করে নিলাম। তারপর হোটেলে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে প্ল্যান করলাম পরের দিন সকালে বের হবো এবং সারাদিন ঘুরাঘুরি করবো। যদিও ইচ্ছে ছিলো পরের দিন সকাল ৬ টার আগে ঘুম থেকে উঠে, সুগন্ধা বিচে গিয়ে সূর্যোদয় দেখে,তারপর নাস্তা করে ঘুরতে বের হবো। কিন্তু সকালে উঠতে পারিনি বলে সেদিন সূর্যোদয় দেখা হয়নি। যাইহোক আমরা ৯ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে, তারপর ১৪০০ টাকা দিয়ে সারাদিনের জন্য একটি সিএনজি ভাড়া করলাম। সিএনজি ভাড়া একটু বেশি নিয়েছিল,কারণ তখন মানুষের চাপ ছিলো অনেক। কারণ শীতকালে প্রচুর মানুষ ঘুরতে যায় কক্সবাজারে। তখন সবগুলো হোটেল ভরা থাকে।
Location
২০২২ সালের জুলাই-আগষ্টে যখন গিয়েছিলাম,তখন একেবারেই চাপ ছিলো না। তখন ১০০০ টাকা দিয়ে সারাদিনের জন্য সিএনজি ভাড়া করেছিলাম। যাইহোক সিএনজি ড্রাইভারকে বলেছিলাম প্রথমে পাটুয়ারটেক বিচে যাবো,তারপর ইনানী বিচ,কাঁকড়া বিচ,মিনি বান্দরবান এবং হিমছড়ি ঝর্ণা দেখবো। মোটকথা সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার দিকে রওনা দিবো হোটেলের উদ্দেশ্যে। যাইহোক আমরা সিএনজি তে উঠে রওনা দিলাম পাটুয়ারটেক বিচের উদ্দেশ্যে। আমরা জানি যে কক্সবাজার হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সি বিচ। সিএনজি দিয়ে যেতে যেতে বিচের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলাম। মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যেতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লাগলো পাটুয়ারটেক বিচে যেতে। পাটুয়ারটেক বিচে গিয়ে আমরা কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
Location
Location
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
| তারিখ | ২৬.৪.২০২৪ |
| লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার কক্সবাজার ভ্রমনের দুটি পর্ব দেখেছি। আজকে আপনি কক্সবাজার ভ্রমনের আরো একটি নতুন পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি আপনার ওয়াইফ কেন সাথে নিয়ে কক্সবাজারে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন। কক্সবাজারে গিয়ে আপনারা নতুন নতুন খাবার খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।
এখানে একটু ভুল হয়েছে ভাই। আশা করি ঠিক করে নিবেন। হ্যাঁ কক্সবাজারে আমরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের তৃতীয় পর্বের লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে আপনাদের ভ্রমণ করা স্থানের চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম সুন্দর স্থান ভ্রমন করার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর একটি ভ্রমনের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এর আগে আপনি কক্সবাজার ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকে আবারো আমাদের মাঝে কক্সবাজার ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝেমধ্যে এভাবে বাইরের পরিবেশে ভ্রমন করতে যাওয়া আমাদের জন্য ভালো। এতে অনেক কিছু দেখা যায় পাশাপাশি মন ভালো থাকে।
আমাদের সবার উচিত মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। এতে করে মন-মানসিকতা ভালো থাকে। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বোঝাই যাচ্ছে আপনি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কক্সবাজারে দারুণ একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলেই সন্ধ্যা হবার পরে বিচে বসে থেকে সমুদ্রের গর্জন শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এইতো কিছুদিন আগে ভাই ব্রাদারের সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম কত দারুণ একটা মুহূর্ত যে অতিবাহিত করেছিলাম বলে বোঝানো যাবে না। আপনি তো দেখছি অনেকটাই ঘোরাঘুরি করেছেন, ধন্যবাদ আপনার কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাঁ ভাই সন্ধ্যার পর সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে, সমুদ্রের গর্জন শুনতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঢাকা শহরে সারাদিনের জন্য সিএনজি ভাড়া চাইতো পাচঁ হাজার টাকা। এদিক দিয়ে সেখানের ভাড়া তুলনামূলক। এখন দেখি যে কয়েকটি জায়গার কথা বললেন সে গুলোতে কেমন সময় অতিবাহিত করলেন। ধন্যবাদ।
ভাই সেখানকার রাস্তা তো একেবারে ফ্রি, তাই ভাড়া কম। তবে শীতকালে তুলনামূলক ভাবে ভাড়া কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।