প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার ওয়াইফ সন্ধ্যার একটু আগে বের হয়েছিলাম টুকিটাকি কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য। মূলত নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার পর থেকে বাসার জন্য কয়দিন পরপরই এটা সেটা কিনতে হচ্ছে। মোটামুটি সবকিছু থাকা সত্ত্বেও, মনে হয় এটা নেই সেটা নেই। তাই আমরা সময় পেলেই মাঝেমধ্যে বেরিয়ে পড়ি এটা সেটা কেনার জন্য। যাইহোক আমরা দুজন চিটাগাং রোডের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে যেতে আমাদের বাসা থেকে ১৫/২০ মিনিট সময় লাগে। প্রথমেই আরএফএল এর শোরুমে ঢুকে প্লাস্টিকের কিছু জিনিসপত্র কিনলাম। যেমন হলুদ মরিচের গুঁড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মসলা রাখার ছোট ছোট কৌটা অনেকগুলো কিনলাম। এছাড়াও প্লাস্টিকের আরো অনেক কিছু কেনা হলো বাসার জন্য।

তারপর আমরা চলে গেলাম ক্রোকারিজ আইটেম কেনার জন্য। বাসায় গ্যাসের চুলার পাওয়ার অনেক সময় খুবই কম থাকে। তাই আমার ওয়াইফ বলছিল কারেন্ট এর চুলা কিনবে। ২/৩ টা দোকান যাচাই করার পর, মিয়াকো ব্র্যান্ড এর একটি ইনডাকশন চুলা কিনলাম। তারপর ইনডাকশন ফ্রাই প্যান এবং দুটি ইনডাকশন পাতিল কিনলাম রান্নার জন্য। কারণ ইনডাকশন চুলায় যেকোনো ফ্রাই প্যান বা পাতিল দিয়ে রান্না করা যায় না। মূলত যেসব পাতিলে ম্যাগনেট ধরে,সেসব পাতিল দিয়ে রান্না করা যায় ইনডাকশন চুলায়। ইনডাকশন চুলার সুবিধা হচ্ছে রান্না তাড়াতাড়ি করা যায় এবং বিদ্যুৎ বিল তুলনামূলক ভাবে কম আসে। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে ৭ হাজার টাকার মতো বিল আসলো। বিল দিয়ে ক্রোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে গেলাম। ইতিমধ্যে রাত প্রায় আটটা বেজে গিয়েছে।

এমনিতেই বিকেলের নাস্তা করা হয়নি। এরপর কেনাকাটা করার জন্য হাঁটাহাঁটি করতে করতে প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল। আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম ক্ষুধা পেয়েছে কিনা। সে ও বললো খুব ক্ষুধা পেয়েছে। তাই আর দেরি না করে সোজা চলে গেলাম দ্য প্যালেস রেস্টুরেন্টে। কারণ এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান খুবই ভালো। প্রায় প্রতিটি খাবার খুব টেস্টি হয়। যাইহোক আমরা খাবারের ম্যানু দেখে খাবার অর্ডার করলাম। আমরা দুজনেই সেট ম্যানু অর্ডার করলাম। সেট ম্যানুতে রয়েছে ফ্রাইড রাইস,মিক্সড ভেজিটেবল,চিকেন কারি এবং কোল্ড ড্রিংকস। অর্ডার দেওয়ার পর আমরা দুজন গল্প গুজব করতে লাগলাম এবং টিভি দেখতে লাগলাম। আসলে এই রেস্টুরেন্টটি অনেক পুরনো। যখন স্কুল কলেজে পড়তাম,আমরা বন্ধু বান্ধবরা মিলে তখন থেকেই এই রেস্টুরেন্টে প্রায়ই যেতাম।

যদিও তখন এই রেস্টুরেন্টের নাম ছিলো চায়না প্যালেস। তবে এই রেস্টুরেন্টের মালিক পরিবর্তন হয় কয়েক বছর আগে। তখন এই রেস্টুরেন্টের নাম পরিবর্তন করে দ্য প্যালেস রাখা হয়। আসলে এই রেস্টুরেন্টের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যাইহোক কিছুক্ষণ পর খাবার চলে আসলো। খাবার খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল খেতে। তবে আমার ওয়াইফ সব খেতে পারেনি বিধায়, আমাকেই বেশি খেতে হয়েছে। আসলে বাহিরের খাবার খেতে আমার ওয়াইফ পছন্দ করে না তেমন। আশেপাশে কয়েকটি দম্পতি বসেছিল, তাই ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাসায় চলে গেলাম ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই। কেনাকাটা শেষ করে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে ভীষণ ভালো লেগেছিল। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি আমরা।