নাটক রিভিউ || নিজের খেয়াল রেখো
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে নিজের খেয়াল রেখো। এই নাটকটি দুই দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান,মনোজ প্রামাণিক এবং কেয়া পায়েল। মাঝে মধ্যে জোভান এবং কেয়া পায়েল এর নাটক দেখা হয়। তবে এই নাটকে দুই নায়ক এবং এক নায়িকা থাকাতে, নাটকটি একেবারে ভিন্ন রকম লেগেছে আমার কাছে। তারা তিনজন বরাবরই বেশ ভালো অভিনয় করে থাকে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | নিজের খেয়াল রেখো |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | জাকারিয়া সৌখিন |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান,মনোজ প্রামাণিক, কেয়া পায়েল এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ১৫ই জুন ২০২৩ |
দৈর্ঘ্য | ৫৫ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের এক নায়ক ফারহান আহমেদ জোভান চাকরি বা ব্যবসা করতে পছন্দ করে না বিধায়, একটি প্রাইভেট কার কিনে তাদের বাসায় নিয়ে এসেছে তার মার কাছ থেকে দোয়া নেওয়ার জন্য। যাতে করে উবারের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারে। নাটকের অপর নায়ক মনোজ প্রামাণিক এবং নাটকের নায়িকা কেয়া পায়েল একে অপরকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু তাদের কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি। কেয়া পায়েল ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পালিয়ে এসেছে মনোজকে বিয়ে করার জন্য। কেয়া পায়েল জোভানের প্রাইভেট কার দিয়ে কাজী অফিসে চলে যায়। অপরদিকে মনোজ বাইক নিয়ে বাসা থেকে রওনা দেয় কাজী অফিসের উদ্দেশ্যে কেয়া পায়েলকে বিয়ে করার জন্য। জোভান কেয়া পায়েলকে কাজী অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে অন্য কোথাও চলে যায়।
অপরদিকে কেয়া পায়েল মনোজকে বারবার ফোন দিলে, মনোজের ফোন বন্ধ বলে। এতে করে কেয়া পায়েল খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। কারণ ঢাকায় থাকার মত কোনো জায়গা ছিল না কেয়া পায়েলের। জোভান কয়েক ঘণ্টা পর কাজী অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়, কেয়া পায়েলকে রাস্তার মধ্যে বসে থাকতে দেখে। এক পর্যায়ে কেয়া পায়েলকে জোভানের বাসায় নিয়ে যায়। ধীরে ধীরে জোভান এবং জোভানের মা কেয়া পায়েলকে খুব পছন্দ করতে শুরু করে। এদিকে কেয়া পায়েলও জোভানকে পছন্দ করতে শুরু করে। এরই মধ্যে তাদের দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। একদিন কেয়া পায়েল রাস্তায় মনোজকে দেখে ফেলে এবং মনোজের বাড়ি পর্যন্ত যায়।
মূলত মনোজের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মনোজ কেনো কেয়া পায়েলের সাথে প্রেমের নামে প্রতারণা করলো সেটার উত্তর জানতে। কিন্তু মনোজের বাড়িতে যাওয়ার পর, মনোজের অবস্থা দেখে কেয়া পায়েলের আর কোনো কিছু বলার থাকে না। কারণ মনোজ কাজী অফিসে যাওয়ার জন্য বাইক নিয়ে যখন বেরিয়েছিল, তখন বাইক দুর্ঘটনায় মনোজের এক পা কেটে ফেলতে হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে মনোজ কখনো কেয়া পায়েলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়নি। কেয়া পায়েল মনোজকে প্রথমে অনেক ভালোবেসেছিল এবং পরবর্তীতে জোভানকে অনেক ভালোবেসেছে। তাই কেয়া পায়েল সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সে কাকে বিয়ে করবে। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে নাটকটি অবশ্যই দেখতে হবে আপনাদের।
উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আমরা অনেক সময় এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাই,তখন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন হয়ে যায়। কেয়া পায়েল এর জীবনে প্রথম মনোজ এসেছিল এবং পরবর্তীতে জোভান আসে। এখানে কারো কোনো দোষ ছিলো না। যেটা হয়েছে সেটা ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের জীবনেও অনেক সময় এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায়। আর তখন ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নয়তো জীবন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এই নাটকে সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। এককথায় দারুণ লেগেছে সম্পূর্ণ নাটকটি। এই ধরনের নাটক দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। অনেক দিন পর এমন একটি নাটক দেখলাম।
আমার রেটিং
এই নাটকটিকে আমি ৯/১০ দিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৭.৬.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি দেখছি আমার খুব পছন্দের নাটক টা রিভিউ দিয়েছেন। নিজের খেয়াল রেখো নাটক টা আমার খুব পছন্দের দুই থেকে তিনবার দেখেছি। আজকে আবার আপনার রিভিউ পড়ে সত্যি খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
নাটকটি আমি গতকাল রাতে দেখেছিলাম। নাটকটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। আপনি এই নাটকটি কয়েকবার দেখেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের খেয়াল রেখো এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এমন কিছু সময় আসে যখন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তা একেবারেই বুঝতে পারা যায় না এবং কি এটা অনেক বড় চিন্তার বিষয়। কেয়া পায়েলের জীবনেও এরকম একটা সময় এসেছিল। শেষে কি হলো তা ই তো জানতে পারলাম না। তবে আমি অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো এবং শেষে কি হয়েছে তা জানার চেষ্টা করব।
ভাইয়া শেষে কি হলো সেটা যদি বলে ফেলি,তাহলে আপনারা কেউ নাটকটি দেখবেন না। সেজন্যই শেষের দৃশ্যের কথা না বলে, একটা সাসপেন্স রেখে দিয়েছি। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন সময়ের জন্য এখন আর মুভি দেখা হয় না। আমার অবশ্য নাটকও কম দেখা হয়। তবে আমার বাংলা ব্লগের নাটক রিভিউ গুলো পড়ে যেগুলো খুব ভালো লাগে সেগুলো দেখার চেষ্টা করি। আপনি আজ নিজের খেয়াল রেখো নাটকের খুব সুন্দর রিভিউ শেয়ার করেছেন। নাটকের প্লট কষ্টের হলেও মনে হচ্ছে খুব ভালো হয়েছে নাটক। আপনার নাটক দেখার রেটিং দেখে ইচ্ছে করছে আমিও নাটকটি দেখি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি তো খুব ব্যস্ত থাকেন ভাই। তবুও যদি সময় পান নাটকটি অবশ্যই দেখে নিবেন। কারণ নাটকটি সত্যিই হার্ট টাচিং। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাহ আপনি দারুন নাটকের রিভিউ দিলেন এদের নাটক গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। এই তিন জনের চরিত্রে নাটক দেখতে আমার অনেক ভাল লাগে। নিজের খেয়াল রেখো নাটক রিভিউ পড়ে খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি নাটকটা অসাধারণ। তবে সময় করে দেখে নিতে হবে নাটক টি।
আপনার মতো আমারও এদের নাটকগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আপু। নাটকটি সত্যিই খুব সুন্দর, সময় পেলে অবশ্যই দেখে নিবেন। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটকে মনোজের এক্সিডেন্ট করাটা নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক ঘটনা। আর নাটকের শেষ অংশটুক দেখার জন্য খুবই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে আমার নিশ্চয়ই সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবো। দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটকে মনোজের দুর্ঘটনাটা নাটকের টার্নিং পয়েন্ট ভাই। আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্যই শেষের দৃশ্যের কথা শেয়ার করিনি। যাইহোক সময় করে নাটকটি দেখে নিবেন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।