রেসিপি পোস্ট || 🍲শীতকালীন সবজি দিয়ে কালিবাউশ মাছের ঝোল রেসিপি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক আমি শীতকালীন সবজি দিয়ে কালিবাউশ মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছিলাম। শীতকালীন সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি, শিম এবং টমেটো আমার ভীষণ পছন্দ। তবে শীত শেষের দিকে, তাই ভাবলাম শীতকালীন এই সবজিগুলো দিয়ে একটি রেসিপি তৈরি করবো। সাথে আলু দিয়েছিলাম,যাতে করে ঝোল একেবারে পাতলা না হয়। যাইহোক রেসিপিটা একটু ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছিলাম। কারণ ঝাল আমার খুব পছন্দ। সবমিলিয়ে রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
শীতকালীন সবজি দিয়ে কালিবাউশ মাছের ঝোল রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কালিবাউশ মাছ | ৪ পিস |
ফুলকপি | ১ টা |
শিম | ১০০ গ্রাম |
আলু | ১০০ গ্রাম |
টমেটো | ১ টা |
পেঁয়াজ | ২ টা |
কাঁচামরিচ | ৫/৬টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
জিরার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
রাধুনি মাছের মসলা | পরিমাণ মতো |
আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী নিম্নরূপঃ
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমে কালিবাউশ মাছের টুকরো গুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম। তারপর সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল ঢেলে দিলাম। তেল একটু গরম হওয়ার পর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম। পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,আদা রসুন বাটা, লবণ,রাধুনি মাছের মসলা, ধনিয়ার গুঁড়া এবং জিরার গুঁড়া দিয়ে দিলাম। এরপর মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
মসলা গুলো কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে কেটে রাখা ফুলকপি, শিম এবং আলু গুলো দিয়ে দিলাম। সবজি গুলো মসলা গুলোর সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো কিছুক্ষণের জন্য।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
একটু পর দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর ভেজে রাখা কালিবাউশ মাছের টুকরো এবং কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ৪/৫ মিনিটের জন্য। তারপর আবারও ঢাকনা খুলে আগে থেকে কেটে রাখা কাঁচামরিচ এবং ধনিয়াপাতা গুলো দিয়ে, আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ৩/৪ মিনিটের জন্য।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
একটু পর দেখলাম ঝোল অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। এরপর চুলা বন্ধ করে দিলাম। আর এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেললাম।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর খাওয়ার সময় একটি প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৮.২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
কালবাউশ মাছ ভীষণ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মাছ।শীতকালীন সবজি শিম,বাঁধা কপি টমেটো দিয়ে ভীষণ চমৎকার করে রেসিপিটি করেছেন। লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী ভীষণ চমৎকার করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু কালিবাউশ মাছ খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
X-promotion
শীতকালীন সবজি দিয়ে কাল বাউস মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে শীত এখন প্রায় শেষের দিকে, আর এই শীতের সবজি দিয়ে আজকে খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আর আপনি ঠিকই বলেছেন।আলু দিলে রেসিপি পাতলা হয় না। তাই খেতে মজাদার লাগে।
হ্যাঁ ভাই আলু না দিলে রেসিপির ঝোল পাতলা হয়ে যায়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ আপনি শীতকালীন নানা সবজি দিয়ে মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। শীতের দিনে এমন রান্নাগুলোর স্বাদ অতুলনীয় হয়। আর রান্নার শেষ দিকে কাচামরিচ এড করলে সেটার দারুণ একটি স্মেল আসে রান্নাটায়। আর তার সাথে যদি ধনিয়াপাতার স্বাদ যুক্ত হয়, তবে তো কথাই নেই! যদিও কালিবাউশ মাছ আমি খাই নি আগে, তবে আপনার রান্নাটা বেশ লোভনীয় ই লাগছে।
একেবারে যথার্থ বলেছেন আপু, কাঁচামরিচ রান্নার শেষের দিকে অ্যাড করলে সুঘ্রাণ বের হয়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার তৈরি রেসিপিটির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে।এ ধরনের শীতকালীন সবজি দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করলে খেতে অনেক মজা লাগে। ফুলকপি, সিম, টমেটো আমারও খুব পছন্দের সবজি। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে শীতকালীন এই সবজিগুলো কমবেশি সবাই পছন্দ করে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শীতকালীন সবজি সবার কাছে খুবই প্রিয়। বিশেষ করে ফুলকপি আবার খুবই প্রিয় সবজি। আপনি শীতকালীন সবজি দিয়ে কালবাউশ মাছের দারুন ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। এই ধরনের রেসিপি খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে। বিশেষ করে গরম গরম খেতে বেশি মজা লাগে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই এই ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। গরম ভাত কিংবা রুটি দিয়ে এমন রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক রেসিপিটা দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি, শিম এবং টমেটো আমারও অনেক ভালো লাগে । শীত চলে যাচ্ছে আমি এখনই এগুলো মিস করছি । এগুলো দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে । আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল । আমিও এভাবে অনেক সময় রান্না করি ।
আপনিও অনেক সময় এভাবে রান্না করেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.