ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যান ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ শে জানুয়ারি চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা মূলত ফার্মগেট এর দিকেই ছিলাম।সেজন্য আমরা খুব সহজেই চন্দ্রিমা উদ্যানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এর আগে বেশ কয়েকবার আমি এই উদ্যানে গিয়েছিলাম,তবে এবার অনেক দিন পর যাওয়া হয়েছে। যাইহোক চন্দ্রিমা উদ্যান একসময় জিয়া উদ্যান নামেও পরিচিত ছিলো। ঢাকা শহরে এমন খোলামেলা জায়গার বড়ই অভাব। তাইতো এই উদ্যানে মানুষের আনাগোনা সবসময়ই দেখা যায়। অনেকে সকাল এবং বিকেলে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন এই উদ্যানে। আবার অনেক যুবক যুবতীরা এই উদ্যানে গিয়ে সময় কাটায়।
এই উদ্যানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছগাছালি রয়েছে। বিশেষ করে পাম গাছগুলো দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আমরা প্রথমে লেকের পাড় দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। আসলে বিকেলে এমন জায়গায় হাঁটাহাঁটি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে পারলে মনটা একেবারে সতেজ হয়ে যায়। তারপর আমরা চলে গেলাম ক্রিসেন্ট লেকের উপর নির্মিত সেতু দেখতে। এই সেতুটি হচ্ছে চন্দ্রিমা উদ্যানের সেরা আকর্ষণ। সেতুটির ফ্লোর হচ্ছে টেম্পার গ্লাসের। তাছাড়া এই সেতুর উপর থেকে লেকের ভিউ চমৎকার ভাবে উপভোগ করা যায়। লেকের মধ্যে পানির ফোয়ারা রয়েছে। তাই সন্ধ্যার পর সেখানকার সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
যাইহোক সেতুর উপর দাঁড়িয়ে আমরা আশেপাশের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারপর আমরা সেতু থেকে নেমে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির দিকে যাওয়া শুরু করলাম। প্রচুর হকারেরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড বিক্রি করে। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর বেলুন এবং আরও অনেক কিছু বিক্রি করে। যাইহোক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিকে কেন্দ্র করে যে কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে, আমরা সেখানে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে সবকিছু সুন্দর ভাবে দেখার চেষ্টা করলাম। অনেকে দেখলাম বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে। যাইহোক আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম এবং সেখান থেকে বের হয়ে সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
সংসদ ভবনের রাস্তাটি বেশ পরিষ্কার এবং সুন্দর। আমরা রাস্তা দিয়ে হাঁটার পাশাপাশি সংসদ ভবন এবং ক্রিসেন্ট লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। সংসদ ভবনের চারপাশের ভিউ দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সন্ধ্যার পরে। যাইহোক আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার পর, বিজয় স্মরণি মেট্রোরেল স্টেশনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। কারণ ইতিমধ্যেই বিকেল প্রায় ৫ টা বেজে গিয়েছিল। আর ৫ টার পর অফিস ছুটি হলে তখন মেট্রোরেলে চাপ অনেকটা বেড়ে যায়। সাথে ওয়াইফ ছিলো বলে আমরা তাড়াতাড়ি মেট্রোরেল স্টেশনে ঢুকে পরলাম। যাতে করে ঝামেলা ছাড়া খুব সহজেই মতিঝিল পৌঁছে যেতে পারি। যাইহোক আমরা তেমন ঝামেলা ছাড়াই বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। চন্দ্রিমা উদ্যান ভ্রমণ করে আসলেই খুব ভালো লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৬.২.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
চন্দ্রিমা উদ্যানে আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। জায়গাটা অনেক সুন্দর। আসলে আপলে ভাইয়া মাঝে মাঝে পরিবারকে নিয়ে এভাবে ঘুরলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমরা সেখানে চমৎকার সময় কাটিয়েছি। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
আপনি ভীষণ ভ্রমন প্রিয় মানুষ বুঝতে পারলাম।
আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলো বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরা ঘুরি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ভাই, বিশেষ করে চারিদিকের মনোরম পরিবেশ সত্যিই দারুন ছিল। আর এই জায়গাটা অনেকের বেশ পছন্দের।
আপনারা অফিস ছুটির একটু আগে ফিরে বেশ ভালো করেছেন, না হলে সত্যিই ঝামেলায় পরতে হতো। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই ভ্রমন পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমি আসলেই ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চন্দ্রিমা উদ্যান এত সুন্দর আগে জানতাম না আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম । আসলে মাঝে মাঝে ফ্যামিলি সহ ঘুরতে বের হলে মন ভালো হয়ে যায়। যাই হোক ভাই একদিন আমাদের ফেনীতে বেড়াতে আসেন। ধন্যবাদ চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই চন্দ্রিমা উদ্যান আসলেই খুব সুন্দর। একসময় অবশ্যই যাবো ইনশাআল্লাহ। দাওয়াত রইলো ভাই, আপনারাও যেকোনো দিন চলে আসবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে, এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মাঝেমধ্যে পরিবারকে সাথে নিয়ে বাইরের পরিবেশে এমন ঘোরাফেরা করা আমাদের সকলের প্রয়োজন রয়েছে। এতে মন মানসিকতা যেমন ফ্রেশ হয় তেমন আরো ভালোবাসা সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে আর একঘেয়েমিতা দূর হয়। তবে আপনার আজকের পোষ্টের মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু দেখতে পারলাম জানতে পারলাম।
ঠিক বলেছেন ভাই, মাঝেমধ্যে পরিবারের মানুষদের নিয়ে ঘুরাঘুরি করা অবশ্যই দরকার। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাবিকে সঙ্গে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যান সুন্দর কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ৷ আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর এবং খোলামেলা ৷ চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাঘুরি পাশপাশি চারপাশের দৃশ্যে গুলো চমৎকার ভাবে ক্যামেরা বন্দি করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো দৃশ্যে গুলো দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ৷
ভাবিকে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।জায়গাটি ভীষণ সুন্দর।মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেলে অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি হয়।যেটা আপনি খুব সুন্দর করে পোস্টে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বিকেল বেলা এবং সন্ধ্যার পর চন্দ্রিমা উদ্যানে সময় কাটাতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চন্দ্রিমা উদ্যানে একটা সময় প্রিয়সীকে নিয়ে গিয়েছিলাম ভাই 😁। আমি ঢাকাশহর তেমন চিনতামই না তখন। লেকের পাশে বসে সময় কাটাতে ভালোই লেগেছিল। আপনি আপুকে নিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। লেকের পাশে দেখছিলাম কৃষ্ণচূড়ার গাছ পাওয়া যেত। এটা আছে মনে হয় এখনও
বাহ্! আপনার তো দেখছি চমৎকার স্মৃতি জড়িয়ে আছে চন্দ্রিমা উদ্যানে। কৃষ্ণচূড়া গাছ এখনো আছে ভাই। নতুন কোনো প্রিয়সীকে নিয়ে আবারও যাবেন ভাই 😂। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।