ফটোগ্রাফি পোস্ট || 📸 কাপ্তাই লেক থেকে ধারণকৃত সাতটি মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি 📸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি আপনাদের সাথে। তবে আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক এবারের ঈদুল আযহার পরের দিন আমরা ৭ জন রাঙামাটি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তো প্রথমে আমরা ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, ট্রলারে চড়ে কাপ্তাই লেক দিয়ে শুভলং ঝর্ণার দিকে যাওয়া শুরু করেছিলাম। তো ট্রলারে চড়ে যেতে যেতে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য বেশ উপভোগ করেছিলাম। এককথায় বলতে গেলে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তবে সেদিন বৃষ্টি হয়েছিল বেশ কয়েকবার থেমে থেমে এবং আকাশ মেঘলা ছিলো। যাইহোক আজকে কাপ্তাই লেক থেকে ধারণকৃত সাতটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। সেখান থেকে ক্যাপচার করা আরও অনেক গুলো ফটোগ্রাফি পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা এবারের ঈদুল আযহার তৃতীয় দিন একেবারে সকালে অর্থাৎ সকাল ৬ টার পর ক্যাপচার করেছিলাম। রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার ইচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই ছিলো। তবে ব্যস্ততার কারণে আসলে এতদিন যাওয়া হয়নি। ঝুলন্ত ব্রিজ এবং আশেপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
আমরা শুভলং ঝর্ণা দেখার জন্য বোট ভাড়া করেছিলাম সারাদিনের জন্য। তো ঝুলন্ত ব্রিজের নিচে থেকে বোটে চড়ে অল্প একটু এগিয়ে যাওয়ার পর, এই সুন্দর ট্রলার আমাদের চোখে পড়ে। এই ট্রলারটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এই ট্রলারের সাইজ বেশ বড় ছিলো।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
আমরা বোটে চড়ে প্রথমে রাঙামাটির পলওয়েল পার্কে গিয়ে ঘুরাঘুরি করেছিলাম। তো এই ফটোগ্রাফিতে যে মাঝারি সাইজের ফাইবার বোট আপনারা দেখতে পাচ্ছেন,আমরা এই বোট থেকে নেমে পলওয়েল পার্কে প্রবেশ করেছিলাম। এই ফটোগ্রাফিতে বড় সাইজের খুবই সুন্দর একটি ট্রলার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এন্ট্রি টিকেট কিনে ড্রাইভার সহ আমরা মোট ৮ জন পলওয়েল পার্কে প্রবেশ করার পর, হাঁটতে হাঁটতে এই চমৎকার জায়গাটি দেখতে পেয়েছিলাম। এই জায়গা থেকে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। এটা আসলে ওয়াচ টাওয়ারের মতোই। এখানে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম, ফুরফুরে বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দিয়েছিল।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা আদিবাসী মার্কেট এর পাশে থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। নির্বাণনগর মন্দির, আদিবাসী মার্কেটের একেবারে কাছাকাছি অবস্থিত। আমরা প্রথমে নির্বাণনগর মন্দিরে ঘুরাঘুরি করে,তারপর আদিবাসী মার্কেটে ঢুকেছিলাম। ইচ্ছে ছিলো ওয়াইফ এর জন্য আদিবাসী মার্কেট থেকে ড্রেস কিনবো, তবে আদিবাসী মার্কেটে গিয়ে ড্রেস তেমন পছন্দ হয়নি বলে,শেষ পর্যন্ত কিছুই কেনা হয়নি সেখান থেকে।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
শুভলং ঝর্ণার দিকে যাওয়ার সময়,ট্রলার থেকে এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। আসলে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য যতই দেখছিলাম,ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। এই ফটোগ্রাফিতে পাহাড়ের যে অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছে, এটা সামনা-সামনি দেখে খুবই সুন্দর লেগেছিল। মনে হচ্ছে পাহাড় কেটে দারুণভাবে ফিনিশিং দিয়ে রেখেছে।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
আসলে কাপ্তাই লেক বিশাল বড়। তাছাড়া চারিদিকে শুধু পাহাড় এবং গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা। মোটকথা লেকটা একেবারে আবদ্ধ। সামনা-সামনি লেকের সৌন্দর্য দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। হয়তো ফটোগ্রাফিতে ততোটা ভালো লাগছে না। আসলে সেদিন থেমে থেমে বারবার বৃষ্টি হয়েছিল এবং আকাশ মেঘলা ছিলো বলে,ফটোগ্রাফি ততোটা ভালো হয়নি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.৭.২০২৪ |
লোকেশন | রাঙামাটি,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ঈদের পর ঘুরাঘুরি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তবে রাঙ্গামাটি কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। জায়গাটি সত্যিই অসাধারণ।
হ্যাঁ ভাই ঈদের পরপর রাস্তা ঘাট একেবারে ফাঁকা থাকে,আর সেজন্য তখন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাই ঘুরতে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
কাপ্তাই লেক থেকে আপনি বেশ গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি এর মাধ্যমে আমরা কাপ্তাই লেকের অনেক ফটোগ্রাখি দেখতে পারলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ছিল। প্রতি ফটোগ্রাফি এর পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু সেখান থেকে আরও অনেক গুলো ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। সেগুলো ধীরে ধীরে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঈদের পর আপনারা সাতজন মিলে রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। কাপ্তাই লেকের দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। পাহাড়ের অংশ বিশেষ গুলো দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগছে। প্রথম ফটোগ্রাফিটা ও অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখলে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি দেখছি আজকে কাপ্তাই লেক থেকে ধারণকৃত সাতটি মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি দারুন ভাবে প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন এবং তার সাথে ফোটোগ্রাফির বর্ণনা ও করেছেন।সব মিলিয়ে বেশ দারুন হয়েছে আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। রাঙ্গামাটি জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দের। প্রায় দু বছর আগে গিয়েছিলাম। আজ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দু'বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ছিল খুব সুন্দর। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
আপনি ২ বছর আগে রাঙামাটি ঘুরতে গিয়েছিলেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমরা যখন রাঙ্গামাটিতে গিয়েছিলাম তখন এ ভাবেই ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে আজকে আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেই রাঙ্গামাটির ট্যুরে যাওয়ার কথা গুলো মনে পড়ে গেল। প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ ছিল, সেই সাথে বর্ণনা গুলো পড়েও অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে এমন মন্তব্য পেলে কাজের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হলাম।অনেকটা জায়গা ঘিরে এই লেকটি সেটা শেষ ছবিটি দেখে অনুধাবন করা যাচ্ছে।আপনি যে একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ এটা আমি জানি,অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি করেছেন।আর পাহাড়ের গায়ে এত সুন্দর কি পাথরের আস্তরণ,নাকি মাটি বা কাঠের?অপূর্ব লাগছে,মনে হচ্ছে ধসে পড়ার সম্ভাবনাই নেই,ধন্যবাদ আপনাকে।
পাহাড়ের গায়ে এটা পাহাড়ের আস্তরণ ই আপু। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।