লাইফস্টাইল পোস্ট || শপিং এবং ডমিনোজ পিৎজা খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শপিং এবং ডমিনোজ পিৎজা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। গতকাল সকালে আমার ওয়াইফ বলছিল বোরকা এবং ভ্যানিটি ব্যাগ সহ কিছু কেনাকাটা করবে। আমি বলেছিলাম তাহলে বিকেল বেলা বের হবো। তারপর দুপুরের লাঞ্চ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, বিকেল ৪ টার পর আমরা বাসা থেকে বের হলাম। শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে প্রথমে আমরা চলে গেলাম নারায়ণগঞ্জ কালিবাজারে। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরাঘুরি করার পর, কোনো বোরকা পছন্দ হচ্ছিল না। কারণ আমার ওয়াইফ গর্জিয়াছ টাইপের বোরকা খুঁজছে। এমনিতে বাসায় ৩/৪ টা বোরকা আছে। তবে গর্জিয়াছ বোরকা নেই বিধায় কিনতে চাচ্ছে।
কয়েকটি বোরকাতে পাথরের কাজ করা ছিলো অনেক, তবে ফুল বডিতে কাজ করা ছিলো না। সেজন্য সেগুলো পছন্দ করে না। তার কথা হচ্ছে ফুল বডিতে পাথরের কাজ করা থাকতে হবে। ৭/৮ টা দোকানে বোরকা দেখার পর যখন পছন্দ হচ্ছিল না,তখন ভেবেছিলাম আজকে মনে হয় বোরকা কেনা হবে না। তখন ভেবেছিলাম হয়তো অন্য মার্কেটে যেতে হবে। যাইহোক অবশেষে একটি দোকানে ফুল বডি পাথরের কাজ করা একটি বোরকা পেলাম। বোরকাটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। তবে কথা হচ্ছে পাথরের কাজ গুলো হয়তো উঠে যাবে কয়েক মাস ব্যবহার করার পর। আমার ওয়াইফ খুব পছন্দ করলো বোরকাটি,আর বললো যে এই বোরকা তো সচরাচর পরবো না। কোথাও গেলে তখন পরা হবে। যাইহোক ১৮০০ টাকা দিয়ে বোরকা কিনলাম। তারপর আরো কিছুক্ষণ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করে,ভ্যানিটি ব্যাগ সহ আরো কিছু কেনাকাটা করলাম।
মার্কেটে ঘুরাঘুরি করে কিছুটা ক্ষুধা পেয়েছিল। তারপর চলে গেলাম ডমিনোজ পিৎজা খেতে। গিয়ে দেখলাম মানুষের প্রচুর ভিড়। জাস্ট ২/১ টা সিংগেল সিট খালি ছিলো। আমার ওয়াইফকে বসিয়ে আমি সিরিয়াল মেইনটেইন করে চিকেন পিৎজা,স্পাইসি চিকেন উইংস,চোকো লাভা এবং কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার করলাম। পিৎজা রেগুলার সাইজের অর্ডার করলাম। কারণ আমার ওয়াইফ বাহিরের খাবার তেমন পছন্দ করে না। বড় সাইজের পিৎজা অর্ডার করলে আমাকেই খেতে হবে পুরোটা। যাইহোক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর খাবার পিক করলাম এবং খাওয়া শুরু করলাম। ডমিনোজ এর পিৎজা বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। একটু স্পাইসি হবার কারণে আরো বেশি ইয়াম্মি লেগেছিল খেতে। চিকেন উইংস খেয়ে দেখলাম খুব টেস্টি হয়েছে।
আমার ওয়াইফ জাস্ট এক টুকরো পিৎজা খেয়েছিল এবং আমাকেই পুরো পিৎজা খেতে হয়েছিল। চিকেন উইংসও বেশিরভাগটা আমাকেই খেতে হয়েছিল। সবমিলিয়ে খাবারের টেস্ট দারুণ ছিলো। আর ডমিনোজ এর খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যাইহোক সবমিলিয়ে ৯৮৭ টাকা বিল এসেছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে অল্প একটু সামনেই, লুৎফা টাওয়ার এর নিচের তলায় চলে গেলাম, এক জোড়া লোফার জুতা কিনতে আমার জন্য। কয়েকটি দোকান ঘুরে এক জোড়া লোফার পছন্দ হলো। তারপর ১৫০০ টাকা দিয়ে এক জোড়া লোফার জুতা কিনলাম। জুতার কোয়ালিটি দারুণ লেগেছিল এবং বেশ সফট ছিলো জুতা। যাইহোক তারপর বাসায় চলে আসলাম। শপিং এবং খাওয়া দাওয়া করে সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩.৯.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter Link
আপনারা দুজন তো দেখছি তাহলে খুব ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। যদিও কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেকটাই বেগ পোহাতে হয়েছে। আসলে মনের মত জিনিস যদি না পাওয়া যায় তাহলে অনেক দোকানেই ঘুরতে হয় আপনারা অনেক দোকান ঘোরাঘুরির পরে অবশেষে একটা দোকানে গিয়ে বোরকা কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার স্ত্রীর জন্য কেনাকাটার পাশাপাশি নিজের জন্যও কিছু কিনেছেন এবং রেস্টুরেন্টে গিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পিজ্জা বরাবরি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লবণীয় হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।
আসলে কোনো কিছু পছন্দ না হলে প্রচুর ঘুরাঘুরি করতে হয়। যাইহোক শেষ পর্যন্ত পেয়েছি, এটাই অনেক। পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমিও তো ভেবেই নিয়েছিলাম আমাদের ভাবি হয়তো পছন্দ সই বোরকা কিনতে পারবে না। তবে অবশেষে পুরো বডিতে পাথরের কাজ করা একটি বোরকা ভাবির পছন্দ হয়েছে এবং তা ১৮০০ টাকায় কিনতে পেরেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ ভাই মার্কেটে গিয়ে একটু ঘোরাফেরা করলে ক্ষুধা তো লাগবেই। আর এই ক্ষুধা নিবারণের জন্য আপনি আর ভাবি চিকেন পিৎজা,স্পাইসি চিকেন উইংস,চোকো লাভা সহ কোল্ড ড্রিংকস খেয়েছেন। আর সেই মুখরোচক খাবারের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে বোরকা খুঁজতে খুঁজতে ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছিল। ডমিনোজ এর পিৎজা বরাবরই আমার খুব পছন্দ। যাইহোক পোস্ট পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লাইফস্টাইল পোস্ট পড়ে। শপিং এবং ডমিনোজ পিৎজা খাওয়ার বেশি সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। তবে সম্পূর্ণ বোরকায় পাথর লাগানো থাকলে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। অবশেষে সাত আট টা দোকান ঘোরার পর আপনারা বোরকাটি পেয়েছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই ভাই বেশি পাথর লাগানো বোরকা দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগে। আমরা সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।