প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হবে। উদ্বোধনী ম্যাচে টিম ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে টিম নিউজিল্যান্ডের। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ভারত। বিশ্বকাপ শুরু হতে যেহেতু আর পাঁচদিন বাকি,এখন অংশগ্রহণকারী দলগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। যাতে করে মূল আসরে ভালো করতে পারে। যাইহোক গতকালকে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতের গুয়াহাটিতে। টস জিতে টিম শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শ্রীলংকান দুই ওপেনার পাথুম নিসাংকা এবং কুশাল পেরেরা দুর্দান্ত শুরু করেন।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

দুজনেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। দারুণ খেলতে থাকা কুশাল পেরেরা একটু চোট পাওয়ায় প্যাভিলিয়নে ফেরত যায়। এরপর কুশাল মেন্ডিস ব্যাট করতে নামেন। কুশাল মেন্ডিসও দুর্দান্ত শুরু করেন। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে দলীয় ১০৪ রানের মাথায় নাসুম আহমেদ এর বলে কুশাল মেন্ডিস ব্যক্তিগত ২২ রানে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। এরপর শ্রীলংকান উইকেট কিপার সাদিরা ব্যাট করতে নামে। কিন্তু মাত্র ২ রান করে মাহেদী হাসান এর বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ইনিংসের ২০ তম ওভারে ১৩২/৩ রানের মাথায় দারুণ খেলতে থাকা নিসাংকা ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে মাহেদী হাসানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যায়। এরপর ডি সিলভা ছাড়া শ্রীলংকান কোনো ব্যাটসম্যানই সুবিধা করতে পারেনি। শ্রীলংকান ইনিংসের শুরুতে মনে হয়েছিল খুব ভালো স্কোর করতে পারবে তারা। কিন্তু তাদের ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতেই ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলংকা।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

ডি সিলভা ব্যক্তিগত ৫৫ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের মাহেদী হাসান সবচেয়ে ভালো বোলিং করে। মাহেদী হাসান ৯ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট তুলে নেয়। ২৬৪ রানের টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান এবং লিটন দাস দুর্দান্ত শুরু করেন। তাদের দুজনের চমৎকার ব্যাটিং দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। লিটন দাস প্রথমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেয় এবং কিছুক্ষণ পর তানজিদ হাসানও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেয়। ইনিংসের ২১ তম ওভারে দলীয় ১৩১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬১ রানে লিটন দাস শ্রীলংকান স্পিনার হেমান্থার বলে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট করতে নামে। মিরাজ শুরু থেকেই চমৎকার ব্যাটিং করতে থাকে। তানজিদ এবং মিরাজের পার্টনারশিপের উপর ভিত্তি করে টিম বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে যায়।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

কিন্তু ইনিংসের ২৮ তম ওভারে দলীয় ১৮৩ রানের মাথায় তানজিদ ব্যক্তিগত ৮৪ রানে শ্রীলংকান পেসার লাহিরু কুমারা এর বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেয়। আসালাংকা চমৎকার একটি ক্যাচ লুফে নেয়। এরপর তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে আসার পরপরই আউট হয়ে যায়। তারপর মুশফিকুর রহিম ব্যাট করতে নামে। মুশফিক এবং মিরাজ চমৎকার পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। ইনিংসের ৪২ তম ওভারে ২৬৪/৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ৮ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। মিরাজ ৬৭ রান করে এবং মুশফিক ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকে। শ্রীলংকার কোনো বোলারই তেমন ভালো বোলিং করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে দারুণ করেছে। তাইতো এমন সহজ জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি বাংলাদেশ এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে সক্ষম হবে এবং বিশ্বকাপে আমাদেরকে ভালো কিছু উপহার দিবে। বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা রইল।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস