প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি বড় সাইজের ইলিশ মাছ এনেছিলাম। তো গতকালকে একটি ইলিশ মাছ কেটে কয়েক ধরনের আইটেম তৈরি করা হয়েছে। ইলিশ মাছের সাইজ ১.৫ কেজি ওজনের। অনেকে ইলিশ মাছ কিনতে গেলে ডিম ছাড়া ইলিশ মাছ খুঁজে, কিন্তু আমি সবসময় ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ খুঁজি। কারণ ইলিশ মাছের ডিম আমার ভীষণ পছন্দ। ইলিশ মাছের ডিম ভাজি করে খেতে এবং ভুনা করে খেতে দারুণ লাগে। তো সেই ইলিশ মাছ থেকে বেশ ভালোই ডিম বের হয়েছে। তাই ভাবলাম ইলিশ মাছের ডিম ভুনা রেসিপি তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তো যে-ই ভাবা সেই কাজ। খুব সহজেই তৈরি করে ফেললাম ইলিশ মাছের ডিম ভুনা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে দারুণ লেগেছিল। কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় ইলিশ মাছের ডিম কিনতাম আলাদাভাবে। সেখানে প্যাকেট করে ইলিশ মাছের ডিম বিক্রি করা হয়। যদিও স্বাদ লাগে না তেমন। এমনিতে ইলিশ মাছ থেকে নিজেরা ডিম বের করে ভুনা করলে খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

আগে থেকে হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ মাখিয়ে রাখা, ইলিশ মাছের ডিমগুলো সরিষার তেল দিয়ে ভেজে নিলাম। তারপর ভেজে নেওয়া ডিমগুলো আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখবো।

🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲

তারপর পরিমাণ মতো সরিষার তেল ঢেলে দিলাম। তেল একটু গরম হওয়ার পর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি গুলো দিয়ে দিলাম।

🍲তৃতীয় ধাপ🍲

পেঁয়াজ একটু বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,ধনিয়ার গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর কেটে রাখা কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর মসলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।

🍲চতুর্থ ধাপ🍲

মসলাগুলো কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো পানিতে বলক আসা পর্যন্ত।

🍲পঞ্চম ধাপ🍲

একটু পর দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর ভেজে রাখা ইলিশ মাছের ডিমগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে আবারও ঢেকে রাখবো ৫ মিনিটের জন্য।

🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲

৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম রান্না হয়ে গিয়েছে। এরপর চুলা বন্ধ করে দিলাম।

🍲পরিবেশন🍲

লাঞ্চের সময় বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করলাম। সবাই খেয়ে বেশ প্রশংসা করেছিল।