প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগে আমি এবং আমার ওয়াইফ রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। যদিও বাহিরের খাবার আমাদের শরীরের জন্য ততোটা ভালো না,তবুও মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে না খেলে কিন্তু ভালো লাগে না। তাই চেষ্টা করি মাসে একবার হলেও পরিবার কিংবা বন্ধু বান্ধবদের সাথে বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে। যাইহোক আমাদের এখানে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট ওপেন করা হয়েছে কিছুদিন আগে। অনেকের মুখ থেকে শুনলাম যে রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং খাবারের মান বেশ ভালো। গত মাসের ২৩ তারিখ অর্থাৎ ২৩ শে সেপ্টেম্বর আমার ওয়াইফ এর জন্মদিন ছিলো। সেদিন আমি ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম বলে, আমার ওয়াইফকে নিয়ে বাহিরে যেতে পারিনি।

---

---

তাই পরের দিন সন্ধ্যার পর ডিনারের উদ্দেশ্যে আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে টেস্ট অফ টাউন। তো রেস্টুরেন্টটি আমাদের বাসার একেবারে কাছাকাছি হওয়ায়, আমরা খুব সহজেই পৌঁছে গেলাম টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে। যাওয়ার পর রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন দেখে আসলেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ রেস্টুরেন্টের স্পেস অনেক বড় এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। রেস্টুরেন্টের স্পেস ছোট হলে আমার ভালো লাগে না তেমন। যাইহোক আমরা প্রথমে একটি টেবিলে বসলাম। রেস্টুরেন্টটা রাস্তার একেবারে পাশে হওয়ায়, সন্ধ্যার পর রেস্টুরেন্টের ভিতর থেকে বাহিরের ভিউ দেখতে দারুণ লাগছিল। মেন্যু কার্ড দেখে আমার ওয়াইফ এর জন্য থাই স্যুপ অর্ডার করলাম প্রথমে।

---

---

কারণ আমি বিকেলের নাস্তা একটু বেশি করেছিলাম বলে, পেট একটু ভরা ছিলো। তাই আমার জন্য স্যুপ অর্ডার করিনি। যাইহোক আমাদের দুইজনের জন্য চিকেন মাসালা মিল এবং কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার করলাম। মূলত চিকেন মাসালা মিলের মধ্যে চিকেন মাসালা ৩ পিস,ফ্রাইড রাইস,ক্রিসপি চিকেন, সালাদ এবং গার্লিক সস রয়েছে। খাবার অর্ডার করার পর যেহেতু খাবার আসতে ২০/২৫ মিনিট সময় লাগবে, সেই সময়টায় আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। একটু পর থাই স্যুপ চলে আসে,এরপর আমার ওয়াইফ বললো কেবিনে বসে খাবে। তারপর ওয়েটারকে বললাম কেবিনের ভিতরে যেন খাবার দিয়ে আসে।

---

---

যাইহোক আমরা কেবিনে বসে থাই স্যুপ খেতে খেতে গল্প করতে লাগলাম। মানুষের চাপ খুব কম ছিলো সেদিন। কেবিনে আমরা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। যেহেতু আমার ওয়াইফ পর্দা করার চেষ্টা করে সবসময়, তাই কেবিনে বসে খাওয়াটাই উত্তম হয়েছে। যাইহোক একটু পর টেবিলে খাবার চলে আসলো। আমরা খাওয়া শুরু করলাম। খাবার খেতে দারুণ লাগছিল। প্রতিটি খাবারের মান আসলেই খুব ভালো ছিলো এবং পরিমাণেও অনেক বেশি ছিলো। আমার দুজনেই সম্পূর্ণ খাবার শেষ করতে পারিনি। এরপর ওয়েটারকে বললাম বিল নিয়ে আসতে। খাবারের বিল আসলো ১০৫০ টাকা এবং ওয়েটারকে ৫০ টাকা টিপস দিলাম। সবমিলিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং গল্প গুজব করে আমরা চমৎকার সময় কাটিয়েছি।

---

---