পতেঙ্গা সি বিচ ভ্রমণ।
আমরা গিয়েছিলাম দুদিন থাকার উদ্দেশ্যে। যেহেতু সময় কম ছিল চট্টগ্রামে পৌঁছেই সোজা হোটেলে চলে গেলাম। হোটেল আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। হোটেল নিয়ে অনেক চিন্তা করেছিলাম কিন্তু হোটেলে পৌঁছে খুব ভালো লেগেছে। ফ্রেশ হয়েই সাথে সাথে বের হয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য হচ্ছে পতেঙ্গা সি বিচ এ যাওয়া। সি এন জি ঠিক করলাম কোতোয়ালি থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত। সি বিচ যাওয়ার পথে কয়েকটি রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু কর্ণফুলী নদীর পাশ দিয়ে যেতে পারলে কয়েকটি সুন্দর এবং ট্যুরিস্ট স্পট টাচ করে যাওয়া যায়। সি এন জি ড্রাইভার কে রিকুয়েস্ট করে কর্ণফুলী নদীর পাশ দিয়েই গিয়েছি। উনি যেতে চাচ্ছিল না কারণ প্রায় ৭ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম বন্দর, বোট ক্লাব, এয়ারপোর্ট রাস্তা, টানেল হয়ে গিয়েছি। রাস্তাটাও সুন্দর এবং পরিষ্কার ছিল। তেমন জ্যাম বা গাড়ির চাপ চোখে পড়েনি।
অবশেষে আমরা প্রায় ১ ঘণ্টা জার্নির পর কাঙ্ক্ষিত পতেঙ্গা সি বিচ এ পৌঁছেছি। সি বিচ এ যাওয়ার ঠিক পূর্বমুহূর্তে টানেলের ওপেনিং দেখা গেল। খুব ভালো লাগলো যে আমাদের দেশের এত বড় একটি নদীর নিচের টানেল দেখতে পেয়ে। নেমে সি এন জি ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি যেহেতু অনেকটা পথ ঘুরে এসেছে। এবার রাস্তা থেকে কিছুটা পথ নিচের দিকে যেতেই চোখে পড়ল সি বিচ। আমি এর আগেও কয়েক বার গিয়েছি পতেঙ্গা সি বিচ দেখতে তবে এবার অনেক পরিবর্তন মনে হলো। বিচের ঠিক আগেই উচু করে রাস্তা করে দিয়েছে সাথে রেলিং ও আছে।
রেলিং এর পাশে যেয়ে যখণ সমুদ্রের দিকে তাকালাম মন ফ্রেশ হয়ে গেল। কিন্তু পরক্ষণেই আমার চোখ গেল সমুদ্রের ধারে থাকা পর্যটকদের উপর। এত মানুষ যে মাটি দেখা যাচ্ছে না। পতেঙ্গা সি বিচ এ এত মানুষ আসতে পারে এটা আমার কল্পনায় ছিল না। একবার চিন্তা করেছি উপরে রাস্তার ধার থেকেই সমুদ্র উপভোগ করব। কিন্তু আবার মনে হলো এত দূর সমুদ্রে এসে যদি পা না ভেজাই তাহলে অপূর্ন থেকে যাবে। অনেক কষ্ট করে তিনজন নিচে গিয়ে ছাতা লাগানো একটি টেবিলে বসেছি। কিছুক্ষণ পর একজন বলে স্যার কি খাবেন মানে হচ্ছে এই চেয়ার টেবিল পর্যটকের জন্য নয় খাবার মালিকদের জন্য। যাই হোক কিছুক্ষণ বসে ঠান্ডা হয়ে ফুচকা চিংড়ি অর্ডার করলাম।
খেয়ে আমরা আবার সমুদ্র উপভোগ করেছি। তারপর পাথরে বসে কিছু ছবি তুলেছি। প্রায় এক ঘন্টা থাকার পর আমরা আবার উপরে উঠেছি। উঠেই দেখি মেলার মত অনেক দোকানের সমাহার। নগরদোলা, খেলনার দোকান, অর্নাম্যান্ট এর দোকান ইত্যাদি আছে। নাগরদোলা দেখে আমার মেয়ে উঠবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর উঠা হয়নি। কিছু আচার, জুয়েলারি কিনে আমরা আবার প্রধান রাস্তায় এসেছি। সি এন জি ঠিক করে চলে এসেছি মেজ্জান হাইলে আইয়ুন নামক চট্টগ্রামের বিখ্যাত রেস্তোরায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই যে এসে দেখি রেস্তোরা বন্ধ। যাই হোক আজ এই পর্যন্তই। চট্টগ্রামে ঘোরাঘুরি করা নিয়ে আরো পোস্ট শেয়ার করব। ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ | |
---|---|---|
বিষয় | পতেঙ্গা সি বিচ ভ্রমণ | |
what3wordslocation | https://what3words.com/different.brambles.ditched | |
ক্রেডিট | @miratek |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সীবিচে গিয়েছি কয়েকবার কিন্তু এখনকার সময়ে পথঘাট অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয়েছে সবকিছু। সিএনজি চালকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে গেলেও বেশ ভালোই উপভোগ করলেন বোঝাই যাচ্ছে। যাইহোক আবারো যেতে ইচ্ছে করছে ওখানে। সময় পেলেই হয়তো আবারো ছুটে যাবো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ছোটবেলায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। আজ আপনার পোস্ট পড়ে পুরনো সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমার বাসায় আজও সেই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো আছে। ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।
একেতো এইখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার ওপর ফুচকা দেখিয়ে লোভ লাগাচ্ছেন। এটাকে ঠিক আপনি বলেন তো ভাইয়া!! অনেক। আর একবার গিয়েছিলাম পতেঙ্গা সি বিচ খুব উপভোগ করেছি তখন। আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপু ভাই আপনাকে আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ভাই বাইক ট্যুরে আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি তবে এখনো পতেঙ্গা সি বিচ ভ্রমণ করা হয়নি। তাই ভাবছি আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে আপনার ভাবিকে নিয়ে পতেঙ্গা সি বিচ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়বো। আপনার পোস্ট পড়ে আমার এই পতেঙ্গা সি বিচ দেখার আগ্রহটা অনেক বেড়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, পতেঙ্গা সি বিচ ভ্রমন করে সে বিষয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু তুলে ধরার জন্য।