ওজ্ ক্যাফেতে দুপেরের খাবার।।
আজ সকাল থেকেই আমার মেয়ে বলছে বাবা বাহিরে যাবো। মেয়ে যেহেতু নিজ থেকেই বলছে তাই ভাবলাম কোথাও ঘুরে আসি। আমাদের বাসার কিছু কেনাকাটা করার ছিল তাই আগে নিউ মার্কেট যাব ঠিক করেছি। সকালের খাবার খেয়ে আমরা বের হয়েছি নিউ মার্কেট এর উদ্দেশ্যে। রিকশা করে নিউ মার্কেট চলে গেলাম। ভেবেছিলাম একটি স্টিলের ডিস রাখার রেক কিনব কিন্তু অনেক দাম দেখে আর কেনা হয়নি। কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার ইমাম গঞ্জ এর বিসমিল্লাহ টাওয়ার এ গিয়েও কেনা হয়নি। বিসমিল্লাহ টাওয়ার এর ডিস রেক থেকে নিউ মার্কেটের ডিস রেকের দাম কমপক্ষে ১০০০ টাকা বেশি। আমি কিছু মোজা আর টুকিটাকি কিছু জিনিস কিনে বের হয়ে গেলাম।
এবার রওনা হয়েছি একটি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। রেস্টুরেন্টের নাম ওজ ক্যাফে। এই রেস্টুরেন্ট ধানমন্ডির বাংলাদেশ এই হাসপাতালের ঠিক পেছনেই অবস্থিত। রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে ফেসবুক এর এড এর মাধ্যমে জেনেছি। প্রাইস রিজনেবল এবং এদের আকর্ষণ হচ্ছে রুফ টপ রেস্টুরেন্ট। আমরা নিউ মার্কেট থেকে রিকশা নিয়ে সোজা চলে গেলাম ওয ক্যাফেতে। ক্যাফেতে সিড়ি দিয়ে উঠে গেলাম। ছাদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় টেবিল চেয়ার রাখা। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম রেস্টুরেন্ট তারপর ছাদের একটি টেবিল দেখে সোফায় বসেছি।
ছাদে বসে খেয়াল করলাম ছাদের মাঝে বড় বড় গাছ লাগানো। একদম কর্নারে আরো একটি সিড়ি আছে এবং একজনকে জিজ্ঞেস করায় বললেন সিড়ি বেয়ে উপরেও বসার জায়গা আছে। একবার ইচ্ছে হলো গিয়ে উপরে বসি পড়ে মনে হল মেয়ে সাথে আছে দুষ্টামি করবে অনেক তাই আর যাইনি।
ছাদে বসে খুব গরম লাগছিল। আসলে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল তাই গরম টা বেশি লাগছিল। ওয়েটার কে গরমের কথা জানাতে বলল স্যার আমাদের আরেকটি বসার জায়গা আছে যেখানে এসির ব্যবস্থা আছে। শুনে ত মহা খুশি হয়ে গিয়েছি। আমাদের ভেতরে নিয়ে একটি সুন্দর বসার জায়গা দেখিয়ে দিল। এখানে এসে একদম ঠান্ডা হয়ে গেলাম তবে খারাপ লাগছিল সুন্দর ছাদে বসে না খাওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করে।
ভেতরের পড়িবেশটাও বেশ ভালো লেগেছে আমার। কিছুটা ব্যতিক্রম করার চেষ্টা করেছে। দেয়ালে কিছু পেইন্টিং করা ছিল। আমার মেয়ে অবশ্য পেইন্টিং দেখে মনে করেছে মনস্টার। আরেকটি ব্যাপার ভালো লেগেছে তারা দেয়ালে কিছু মগ্ হ্যাং করে রেখেছে যেটা আমার কাছে দেখতে ভালো লাগছিল। যাই হোক আমরা খাবার অর্ডার করেছি । সাধারণত সেট মেন্যু নিয়ে থাকি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ গেলে।
খাবারের ছবি খুব ভালোভাবে তুলতে পারিনি কারণ খাবার আসার পর মেয়ের নড়াচড়া বেড়ে গিয়েছিল। আমরা তিনজন তিন রকম খাবার মেন্যু সিলেক্ট করেছি। অর্ডার করার প্রায় ১০ মিনিট পর খাবার এসেছে। চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ খাবার আসতে ১০-১৫ মিনিট দেরি হলে আমার ভালো লাগে কারন ইনস্ট্যান্ট খাবার তৈরী করে দিবে আর সাথে সাথে দিলে মনে হয় একসাথে অনেক খাবার তৈরী ছিল সেখান থেকে দিয়ে দিয়েছে। খাবার আসার পর সবাই খাবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। খাবার মোটামুটি ছিল কারণ প্রত্যেকটি আইটেম এ সসের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।
খাবার শেষে বিল দিয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম। বের হওয়ার সময় আমার মেয়ের চোখ গিয়েছে দোলনার দিকে। দোলনা দেখলেই সে মহা খুশি। সে কিছুক্ষণ দোলনায় দোল খেয়ে নিল। অনেক বুঝিয়ে তাকে নিয়ে নিচে নেমে এসেছি।
টাইটেল | রেটিং (১০) |
---|---|
খাবার | ৬ |
পরিবেশ | ৯ |
সার্ভিস | ৭ |
সার্ভিং | ৭ |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ | |
---|---|---|
বিষয় | ওজ্ ক্যাফেতে দুপেরের খাবার | |
ক্রেডিট | @miratek | |
লোকেশন | https://what3words.com/schooling.scoring.revise |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি বাইরের খাবার খুব পছন্দ করিনা। তাই আমার আশেপাশে এতো এতো রেস্টুরেন্ট আমার কোথাও যাওয়া হয়নি।খুব সুন্দর পরিবেশ দেখে ভালো লাগলো। আপনারা তিনজন খুব মজা করে খেয়েছেন তাই না। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। মেয়ের চোখে কি পাওয়ার অ্যাড চশমা?? সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে পরিবারের সবার সাথে বাইরে খেতে বেশ ভালোই লাগে।এতে করে বাচ্চারা বেশ মজা পায়।ডিশ রেক কিনতে গিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন এবং সেই সাথে দুপুরের ভুঁড়ি ভোজ টাও সেরে নিয়েছেন ভাইয়া।ক্যাফের পরিবেশ টা ভীষণ সুন্দর লেগেছে।ছাদে অনেক সুন্দর করে গাছ লাগানো মনোরম পরিবেশে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা।রিদা মনি দোলনায় বসে অনেক মজা পেয়েছে তা ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।