বাংলা খাবার খেতে বাঙালিয়ানা ভোজ রেষ্টুরেন্টে।।
গত শুক্রবার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম বেড়াতে। সন্ধায় সবাই বসে খুব আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডার মধ্যে অনেকেই ছিল তার মধ্যে একজন বলল ওয়ারী তে নতুন একটি ভিন্ন রকম রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন হয়েছে। আমি কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলাম কি রেস্টুরেন্ট? সে বলল বাঙালিয়ানা। এই রেস্টুরেন্টের স্পেশালিটি হচ্ছে অনেক রকমের ভর্তা পাওয়া যায় সাথে খুদের ভাত। নতুন রকমের খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে এই ভেবে আমরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
সন্ধ্যা প্রায় ৮ টা বাজে আমরা পৌঁছে গেলাম। গিয়ে দেখি রেস্টুরেন্ট যেখানে আছে সেখানে আগে মজা বাইট নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল। ভিতরে ঢুকে সবাই বসলাম। রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়েছে। আসলে নতুন রেস্টুরেন্ট গুলো ইন্টেরিয়র ডিজাইন দিয়ে খুব আকর্ষন তৈরী করতে চায়। বসে মেন্যু কার্ড দেখে খুব মজা পেয়েছি কারণ বেশিরভাগ খাবারই ভর্তা জাতীয়। আমরা মূলত এসেছি একটি অফার এর খাবার খেতে। অফার ছিল একটি প্যাকেজ এ আনলিমিটেড খুদ ভাত আর ভর্তা খাওয়ার এবং দাম খুবই কম। আমরা মেন্যু কার্ড দেখে মেন্যু সিলেক্ট করে অর্ডার করলাম।
বরাবরের মতই খাবার অর্ডার করার পর আমি ভেতরের কিছু চোহি তোলার জন্য উঠলাম। ভেতরের জায়গা মোটামুটি বড়। দেয়াল গুলোতে ভিন্ন রকম ওয়ালপেপার লাগানো। খুব চোখ ধাঁধানো লাইটিং আর সুন্দর ডেকোরেশন দেখতে ভালো লাগছিল। আমি কিছু ছবি তুলেছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমার মেয়ে খুব অস্থির হয়ে গিয়েছিল। কোথাও গেলে সে প্রথম কিছুক্ষণ খুব শান্ত থাকে কিন্তু পরক্ষণেই শুরু হয়ে যায় দুষ্টামি, ছোটাছুটি। তাকে অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে শান্ত করে রাখার চেষ্টা করেছি। তারপর বলেছি তোমার সুন্দর ছবি তুলে দেই। ছবি সে তুলেছে ঠিকই কিন্তু অনেক নড়াচড়া করেছে।
এর মধ্যে খাবার এসেছে। খাবারের প্লেট এবং ডেকোরেশন খুব সুন্দর লেগেছে। একসাথে এতগুলো ভর্তার বাটি কখনও দেখিনি। আমার যেকোন ধরনের ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে। সাথে প্লেটে করে খুদের ভাত ও দিয়েছে। খুদের ভাত সম্পর্কে অনেকে নাও জানতে পারেন। চাউলের ভাঙ্গা অংশকে খুদ বলা হয়। ছোটবেলায় গ্রামে এই খুদের ভাত বেশি খাওয়া হতো। আসলে গ্রামের পুরনো প্রচলনগুলো এখন শহরের ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে।
যাই হোক গরম খুদ আর এতগুলো ভর্তা দেখে তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করেছি। সাধারণত ভাতের সঙ্গে ভর্তা খুব ভালো লাগে কিন্তু খুদের ভাত এর সাথে ভর্তা অসাধারণ লাগে। ভর্তার মধ্যে কচু, চিংড়ি, লাউ, আলু, ডাল, মরিচ, বাদাম, লইট্রা শুটকি, পুটি শুটকি ভর্তা ছিল। সবগুলো ভর্তা বেশ মজার ছিল তবে কচু, লইট্রা , বাদাম, চিংড়ি ভর্তা খেতে বেশি ভালো লেগেছে। এই ভর্তাগুলো কয়েকবার করে নিয়ে খেয়েছি। আর কিছুক্ষণ পরপর গরম খুদের ভাত ত আছেই।
শেষ পর্যন্ত এত খেয়েছি যে আর নড়তে পারছিলাম না। খাবারই এত মজার বার বার খেতে ইচ্ছে করছিল। ভর্তা ঝাল তাই কম ঝালযুক্ত বাদাম ভর্তা দিয়ে আমার মেয়ে খেয়েছে। খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কে ডেকে ধন্যবাদ জানালাম মজার খাবার খাওয়ানোর জন্য। আর এত ভর্তা আর খুদের প্যাকেজ মাত্র ১৬৯ টাকা করে প্রতি জন।
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলা খাবার খেতে সত্যি ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আমরা বাঙালি বলে কথা বাঙালি এধরনের খাবার খেতে ভীষণ পছন্দ করে। বাংলা খাবার খাওয়ার জন্য অনেক সুন্দর একটি জায়গায় গিয়েছেন। আপনার চমৎকার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
বাংলা খাবারের স্বাদই আলাদা। আপনার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় বাঙালিয়ানা রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে স্বল্প খরচে বিভিন্ন আইটেমের ভর্তা সাথে খুদে ভাত খেয়েছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। তবে এতগুলো ভর্তা বা খুদে ভাত এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া অনেকদিন পর আপনার পোস্ট দেখলাম।আসলে বাঙালি খাবার খাওয়ার মজাই অন্য রকম। এই খুদের ভাত খেতে ভীষন মজার।আমার অনেক পছন্দের।আমিতো এই রেস্টুরেন্টের নাম শুনলাম না।৩ সপ্তাহ আগেই তো গেলাম।যাই হোক এরপরে যখন যাব গিয়ে দেখে আসব।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।