বুড়িগঙ্গার তীরে কাশবনে।।
গিয়েছিলাম বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কাশবন দেখতে। আমার নতুন বাসা থেকে বুড়িগঙ্গা নদী খুব বেশি দূর না। বাসায় উঠেছি প্রায় দুই মাস হয়ে গেল কিন্তু নদীর ওপারের এত সুন্দর ও বড় কাশবন দেখা হয়নি। কদিন আগে আমার বাসায় দুজন ভাগ্নি বেড়াতে এসেছিল। তারা কাশবন এর কথা শুনে অনেক বায়না ধরেছে সেখানে যাবে।
গত সপ্তাহে এক বিকেলে তাদের নিয়ে কাশ বন দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় করে সোজা চলে গেলাম নদীর ধারে যেখান থেকে ইঞ্জিন নৌকা করে নদীর ওপারে যাওয়া যায়। আমাদের সাথে একজন মজার মানুষকে নিয়ে নিলাম যে কিনা এই কাশ বনে এর আগেও গিয়েছেন। ওনার নাম ফাহাদ এবং ফাহাদ ভাই খুব ভালো মনের মানুষ। এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে এত মানুষ ঘুরতে যায় যে সিরিয়াল ধরতে হয় নৌকায় উঠার জন্য। আমরা সিরিয়াল ধরে দাড়িয়ে আছি এদিকে দেখি ফাহাদ ভাই উপরে রয়ে গিয়েছে। পরে দেখি উনি হাতে করে আমার মেয়ের জন্য বাবল গাম কিনে নিয়ে এসেছে এবং সেটা দেখে আমার মেয়ে ত মহা খুশি। আমাদের পালা আসতেই সবাই নৌকায় উঠে বসে পড়েছি। খুব ভালো লাগছিল ইঞ্জিন নৌকার শব্দ শুনে আর নদীর ঢেউ তীরে যাওয়ার দৃশ্য দেখে। আমার মেয়েকে অনেক সাবধানে রেখেছি যেহেতু নৌকা ছোট এবং সাইডের হাইট কম। ৪-৫ মিনিট পর আমরা ওপারে চলে গেলাম। ও হ্যা নদী পারাপার এর জন্য ভাড়া খুবই কম মাত্র ১০ টাকা প্রতি জন।
পারে নেমে হাঁটা শুরু করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম অল্প রাস্তা হাঁটতে হবে কিন্তু পরে দেখি অনেক রাস্তা। যাই হোক যেহেতু হেঁটেই যেতে হবে তাই দ্রুত হেঁটে চললাম সামনে। আমার মেয়েকে কোলে করেই নিতে হয়েছে তবে সে অনেক রাস্তা হেঁটেও গিয়েছে। এক সময় আমরা কাশবন এ পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে সবাই খুব মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। এত সুন্দর দৃশ্য কল্পনার বাহিরে। সত্যি বলতে আমিও এত কাশফুল একসাথে কখনো দেখিনি। যেদিকে তাকাই শুধু সাদা আর সাদা। সবাই এদিকে কতক্ষন যায় ওদিকে কতক্ষন যায় আসলে কোথায় দাড়িয়ে ছবি তুলবে সেটাই ভেবে পাচ্ছিল না।
অনেক লম্বা রাস্তা এবং রাস্তার দুই ধারে কাশবন কি যে এক মনোরম দৃশ্য নিজের চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। সবাই হাঁটছি আর দৃশ্য উপভোগ করছি। রাস্তার শেষ মাথায় গিয়ে দেখি অন্য আরেক সুন্দর দৃশ্য, বিশাল এক বিলের মত এবং সেখানে বোট রাইড আছে। শেষ বিকেল হওয়ায় আর বোট এ উঠিনি। বিলের ধারে কিছু ছবি তুলে নিয়েছি সবাই।
সূর্য অস্ত যায় যায় অবস্থা। যেহেতু সন্ধ্যায় নদী পার হওয়া অনেক টা রিস্কি সেহেতু সবাইকে নিয়ে ফিরে আসার জন্য রওনা দিলাম। ফিরে আসতে কারো মন চাচ্ছিল না কিন্তু কিছু করার ছিল না। আবার সবাই অনেক টা পথ হেঁটে নদীর ধারে এসে সিরিয়াল ধরলাম নৌকার জন্য। নদীর এপার এসে সবাই মিলে চা কফি খেয়ে বাসায় চলে আসলাম।
ডিভাইস | পকো, ভিভু |
---|---|
মধ্যে | এক্স থ্রী প্রো, ওয়াই ৩৩ |
ক্রেডিট | @miratek |
লোকেশন | বুড়িগঙ্গার তীরে |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এবছর আমারও কাশফুলের এর মধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। যদিও বা সেটা একদম শেষের দিকে। যাই হোক আপনারা কাশফুলের এলাকায় গিয়ে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। আবার দেখি কাশফুলের ওখানে কিছুটা পথ নৌকায় করে গিয়েছিলেন। সত্যি সব মিলিয়ে আপনাদের ভ্রমণটা দারুন ছিল। আসলে এরকম ফাঁকা জায়গায় অনেকেই ঘুরতে যেতে পছন্দ করে তাই সবসময়ই ভিড় লেগেই থাকে যার জন্য মূলত আপনাদের হয়তোবা নৌকার জন্য লাইন ধরতে হয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বুড়িগঙ্গার তীরে কাশবনে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। জায়গাটা সত্যি ই খুব সুন্দর। নদী পাড় হতে জনপ্রতি ১০ টাকা।খুব কমই তো।ভাগ্নিরা বায়না ধরাতে খুব সুন্দর জায়গাতেই গেলেন।মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো জায়গা।চা,কফি খেয়ে আবার সন্ধার আগে বাসায় ফিরে এলেন।কারন নৌকায় উঠতে লাইন ধরে দাঁড়াতে হয়।সুন্দর জায়গা তাই সবাই যায় বলে ভীড় ও হয়।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমি এই জায়গাটার অনেক নাম শুনেছি কিন্তু ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে নামতে হবে আর কিভাবে যাবো জানিনা বলে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আমি পরিচিতদের মধ্যে অনেককে যেতে দেখেছি তবে সেখানে যাওয়ার খুব ইচ্ছে রয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি জায়গাটা খুব সুন্দর। এমন সুন্দর পরিবেশে পরিবারের সাথে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
কিছু কিছু সময় এই সমস্ত জায়গাতে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। প্রকৃতির সৌন্দর্য মানুষের সব সময় মুগ্ধ করে। আপনি আজকে বুড়িগঙ্গার নদীর তীরে কাশ বনে গিয়েছিলেন। কাশফুল দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। শরৎ আসলেই যেন এই ফুলের চারদিকে সমরহ। আপনি বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে ওই সময়টা তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
গতকাল ঢাকার অবস্থার জন্য আমি নিজেও বাইরে যায়নি। বাইরের অবস্থা টা বেশ খারাপ ছিল। বুড়িগঙ্গার পাড়ে কাঁশবন। বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। আর বছরের শুধু এই সময়টাতেই কাশবন দেখা যায়। বুড়িগঙ্গার পাড়ে কাশবন এ সময় টা দারুণ অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বেশ অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পড়লাম। তবে সবার আগে জানতে চাইবো এত সুন্দর এলাকাটির নাম। বেশ সুন্দর লাগছে কাশফুল গুলো দেখতে। আমি আবার কাশফুল প্রেমি তো তাই কাশফুল দেখলেই ছুঁয়ে দিতে মনে চায়। আজ আপনার পোস্ট দেখে মনটা ভরেই গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।