ফয়েজ লেক ভ্রমণ। পার্ট-০১।।
তার আগে ডেঙ্গু নিয়ে কিছু কথা বলি। সবাই খুব সচেতন থাকুন তা না হলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে পানি জমা থাকলে সেটা ফেলে দেয়া, যেকোন সময় ঘুমানোর পূর্বে মশারি টানিয়ে ঘুমানো, সন্ধ্যা হওয়ার আগেই দরজা জানালা লাগিয়ে দেয়া, বাড়ির আঙিনায় আগাছা থাকলে পরিষ্কার করে রাখা। আমার ব্যাক্তিগত একটি পরামর্শ হচ্ছে মশা প্রতিরোধক ক্রিম আছে সেটি ব্যবহার করা বিশেষ করে বাহিরে কোথাও গেলে। যদিও আমি জানিনা কতটুকু প্রতিরোধ করবে তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে ব্যবহার করে মনে হচ্ছে উপকার আছে।
কোরবানি ঈদের শেষে চট্টগ্রাম ঘুরতে গিয়ে কয়েকটি সুন্দর ট্যুরিষ্ট স্পট ঘুরেছি। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফয়েজ লেক। ফয়েজ লেক এর নাম শুনেনি খুব কম লোক আছে বলে আমার মনে হয়। আগের একটি পোস্ট এ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ভ্রমণ এর কথা আমি লিখেছিলাম। ফয়েজ লেক চিড়িয়াখানার ঠিক পাশেই অবস্থিত। সেদিন ফয়েজ লেক ঘুরে এসেছিলাম।
ফয়েজ লেক ঢুকতে আগে টিকেট কেটে নিয়েছি। এখানে টিকেট আলাদা কাটা যায় আবার প্যাকেজ ও আছে। আমার কাছে প্যাকেজ ভালো লেগেছে তাই খাবার, রাইড, এন্ট্রি ফি একসাথে কেটেছি। আমাদের দুজনের প্যাকেজ নিয়েছে ১৬০০ টাকা। ৩ বছরের বাচ্চার এন্ট্রি ফি লাগেনি তাই আমার মেয়ে ফ্রিতেই এন্ট্রি নিতে পেরেছে।
টিকেট কেটে আমরা গেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত ফয়েজ লেকের এন্ট্রি ডোর এ। ঢুকার সময় হাতে রিস্ট ব্যান্ড পড়িয়ে দিয়েছে। তারপর একজন করে ভিতরে ঢুকে পড়েছি। ও হ্যা কাঙ্ক্ষিত বললাম এই কারণে আমার ওয়াইফ এই প্রথম গিয়েছে সেখানে। তার অনেক দিনের ইচ্ছা ফয়েজ লেকে যাওয়ার। সে ঢুকে রীতিমত অনেক খুশি ছিল। তারপর আমরা ধীরে ধীরে সামনে এগোতে থাকলাম।
শুরুতে অনেক বড় খালি স্পেস। অনেক গরম পড়েছিল তাই রীতিমত সবার পানি পিপাসা পেয়েছে। ঢুকতেই এক কোণে ড্রিংকস এবং স্ন্যাকস এর একটি বুথ দেখে সেখান থেকে কয়েকটি সফট ড্রিংকস কিনে পিপাসা দূর করলাম। খালি স্পেসের পর থেকে ছোট লেক শুরু হয়েছে। লেকের উপর দিয়ে সুন্দর ছোট ছোট ব্রিজ করে রেখেছে। এই ব্রিজ এ দাড়িয়ে অনেকেই ফটোসেশন করে। লেকের দুই পাশ দিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। আমরা প্রথমে বাম পাশ দিয়েই হাঁটা শুরু করেছি।
লেকের বাম দিকে বাচ্চাদের খেলার জন্য কিছু রাইড ছিল। আমার মেয়ে বাউন্সি ক্যাসেল এ উঠে অনেক মজা করেছে। সে রীতিমত লাফালাফি দৌড়াদৌড়ি করে হাপিয়ে গিয়েছিল। তারপর সে একটি বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়েছে।
রেস্ট নিয়ে আবার সামনে এগিয়ে ছোট ব্রিজ এর উপর কিছু ফটোসেশন হলো। লেকের পাড়ে গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।
চলবে...
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | ফয়েজ লেক ভ্রমণ |
what3words location | https://what3words.com/award.consults.painting |
ক্রেডিট | @miratek |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ডেঙ্গু নিয়ে আসলে খুব বেশি আতঙ্কেই আছি।খবর শুনলে খারাপ লাগে।আপনারা ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন।সেখান থেকে ফয়েজ লেক ঘুরতে গেলেন।আমিও গিয়েছিলাম।আমার খুবই ভালো লেগেছিল।আপনার মেয়ে খুব আনন্দ করেছে।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডেঙ্গু নিয়ে খুব ভালো কথা বলেছেন। ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে। যাই হোক এবার ঈদের পর ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। অনেক সময় ব্যস্ততার জন্য পরিবারকে সময় দেওয়া হয় না। ঈদের সময় যেহেতু একটা লম্বা ছুটি পাওয়া যায় তখন পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। ফয়েজ লেক এর দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এমন সুন্দর পরিবেশে বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার মেয়েকে অনেক কিউট লাগছে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে।
আমি কিছুদিন আগেই ফয়েজ লেক ভ্রমণের পোস্ট করেছি। যদি অদ্বিতীয় পর্ব এখনো শেয়ার করিনি। ফয়েজলেক এর মধ্যে সি ওয়ার্ল্ড এ একটু বেশি ভালো লেগেছিল। আসলে এই জায়গাটা বেশ সুন্দর। আপনার মেয়ে বেবি রাইডে সাইডে বেশ উপভোগ করছে । আপনার দিতে পারবে অপেক্ষায় রইলাম।
একদম সঠিক কথা বলছেন আসলে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আপনারা তো মজার করে ফয়েজ লেকে ঘোরাফেরা করলেন আপনার মুহূর্তটি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। বেশ কয়েক বছর আগেই ফয়েজ লেকে গিয়েছিলাম। তবে আবারো যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে আপনার ফটো গুলো এবং বর্ণনা শুনে অনেক ভালো লাগলো।