মাটির তৈরী জিনিস কেনার মুহূর্ত।।
আমার বাসায় অনেক দিনের শখ মাটির জিনিস পত্র কিনার । আমি অনেক দিন ধরেই ঘুরাচ্ছিলাম। আসলে মাটির জিনিস পাওয়া খুবই মুশকিল। ঢাকায় এগুলো খুব একটা দেখা যায় না। আমাকে এক বড় আপু বলেছিলেন কলাবাগান এর এদিকে ভাল পোড়া মাটির জিনিস পাওয়া যায়। সেই কথা শুনে আমিও একদিন চলে গেলাম কলবাগান মাঠের উল্টো পাশে। সেখানে অনেক মাটির জিনিসপত্র আছে কিন্তু বেশিরভাগই ফুলের টব। আমরা আসলে চাচ্ছিলাম পোড়া মাটির তৈরী করা প্লেট, শানকি, পিঠা তৈরীর পাত্র এগুলো। পরে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছি। তার কিছুদিন পর মনে হল ঢাকা ইউনিভার্সটির দোয়েল চত্বর এ অনেক সুন্দর সুন্দর মাটির তৈরী জিনিস পাওয়া যায়। যেই ভাবা সেই চলে গেলাম দোয়েল চত্বর এ। সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু আমি যে জিনিসগুলো চাচ্ছি সেইগুলো সেখানে নেই। আবার ব্যর্থ মনে বাসায় ফিরে আসলাম।
কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম রাজারবাগের দিকে যাব বলে। রাজারবাগ কাজ সেরে যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন আইডিয়াল স্কুলের সামনে দেখলাম কিছু পোড়া মাটির তৈরী করা জিনিসপত্র নিয়ে এক লোক বসে আছে। আমার চোখে পরতেই রিকশাচালক ভাইকে বললাম ভাই থাম। রিকশা ভাড়া চুকিয়ে নেমে পড়লাম আইডিয়াল স্কুলের সামনে। তারপর রাস্তা পার হয়ে গিয়ে দেখলাম সুন্দর অনেক জিনিস নিয়ে বসে আছে।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন সুন্দর কিছু ফুলের টব। এই টবগুলোতে ইনডোর প্লান্ট রাখা যায়। অনেক ধরনের আর্টিফিসিয়াল ফুলও এই টবগুলোতে সাজিরা রাখলে সুন্দর লাগে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে মাটির ব্যাংক সাজিয়ে রেখেছে। আমি ভেবেছি মাটির তৈরী এই ব্যাংক গুলো এখন খুব একটা পাওয়া যায় না কিন্তু সেখানে দেখে খুব নস্টালজিক হয়ে গিয়েছি। ছোট বেলায় এই ধরনের ব্যাংক কিনে সেই ব্যাংকে টাকা পয়সা জমিয়ে রাখতাম। আমি আমার মেয়ের জন্য একটি কিনেছি।
এগুলো হচ্ছে শানকির ছবি। আপনাদের কার এলাকায় কি বলে আমি জানিনা কিন্তু আমাদের এলাকায় শানকি বলেই জানি। এইগুলো অনেকটা পাতিলের মত ভিতরে গভীরতা আছে। ছোটবেলায় দেখতাম এগুলো আমার আম্মা ভাতের মাড় ছাকার জন্য ব্যবহার করতেন। এগুলোতে অনেকে খাবারও সার্ভ করে। আমরা একটি কিনেছি বাসার জন্য।
এগুলো হচ্ছে মাটির তৈরী প্লেট । এদের সেপ শানকির সেপ থেকে একটু আলাদা। এরা কিছুটা ছড়ানো থাকে এবং গভীরতা অনেক কম। এগুলোতে বাসায় তরকারি সার্ভ করা যায়।
এটিও একটি প্লেটের ছবি তবে কিছুটা ভিন্ন কালারের। এই প্লেটের রং ছাই রঙের।
আমরা মূলত এই জিনিসটাই খুঁজছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে । এই পাত্রে পিঠা বানাতে সুবিধা বিশেষ করে চিতই পিঠা। এটি একটি কিনেছি বাসার জন্য।
এই পাত্র আমি চিনিনা। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করায় বললেন এই পাত্রে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা জাতীয় খাবার মেস করা হয়। এদেরকে বাটনা বলা হয় । এক্ষেত্রে একটি মর্টার নেয়া হয়।
শেষে দোকানদারের সাথে কিছুক্ষণ আলাপ হল মাটির জিনিস নিয়ে। সে বলল এগুলো ঢাকার বাহির থেকে নিয়ে আসে। এগুলো বানাতে অনেক পরিশ্রম এবং সময়ের প্রয়োজন হয়। কেনাকাটা শেষে খুশি মনে সবাই বাসায় ফিরে আসলাম।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | মাটির তৈরী জিনিস কিনার মুহূর্ত |
what3words location | https://what3words.com/knee.waged.slant |
আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
সত্যি ভাইয়া যেটা চাওয়া যায়, য়েটা অবশ্যই পাওয়া যায়। আপনি অনেক ঘোরাঘুরি পরে অবশেষে মনের মতো মাটির জিনিস গুলো পেয়েছেন। সত্যি বলতে এই মাটির জিনিস গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে মাটির প্লেট ও বাটনা গুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অনেক ঘোরাঘুরি করার পর শেষমেশ নিজের কাঙ্ক্ষিত জিনিসগুলো ফেলেন অনেক ভালো লাগলো দেখে। আসলে মাটির জিনিস গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু ইদানিং এগুলো পাওয়া বেশ জটিল।মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর হবে অনেক কোয়ালিটি পূর্ণ হবে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার জিনিস গুলো পেয়েছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মাটির তৈরী জিনিস কেনার মুহূর্ত। আমার কাছে মাটির তৈরি ব্যাংক গুলো দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে কাঠ দিয়ে তৈরি করা। আগে যখন ছোটবেলায় মেলায় যেতাম তখন এই ধরনের জিনিস কিনতাম ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় মেলা থেকে এ ধরনের ব্যাংক কিনে আনতাম। এর ভিতরে টাকা পয়সা জমা করে রাখতাম। এখন তো খুব একটা পাওয়া যায় না। আগের মত মানুষ এখন এ ধরনের ব্যাংকে টাকা রাখে না। অবশেষে আপনি আপনার কাঙ্খিত জিনিসগুলো কিনেছেন। এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার হেডিং এ বানান ভুল আছে। বানানটি হবে "কেনার"। মাটির পাত্রগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। প্রথম দেখায় এগুলোকে মাটির পাত্র বলে বিশ্বাস হচ্ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আইডিয়াল স্কুলের সামনে মাটির তৈরি এরকম নানা ধরনের জিনিস দেখে আপনি অনেকটাই খুশি হয়েছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি দেখে আমিও সত্যিই অনেক খুশি। ্য মাটির তৈরি এরকম মৃৎশিল্প আসলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
মাটির জিনিসগুলো আমার ছোটবেলা থেকেি ভাল লাগে।আপনার মত আমিও মাটির ব্যাংক কিনতাম টাকা জমাতে।আপনার মাটির জিনিসগুলো কেনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো। আপনার মাটির জিনিস কেনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কষ্ট না করলে কেষ্ট জমে না। এ কথাটি আজ আপনার পোস্ট পড়ে আবার মনে পড়ে গেল। অবশেষে অনেক ঘুরাঘুরি করে আপনার পছন্দে জিনিস গুলো কিনতে পারলেন। আমার কিন্তু মাটির তৈরি জিনিস গুলো বেস ভাল লাগে। আসলে ইদানিং মাটির তৈরি জিনিস গুলো একটু দামী হয়ে গেছে । যাক ভাইয়া আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ কিছু মাটির জিনিস দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।