ট্রাভেল পোস্ট- " সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমণ শেষ পর্ব " II written by @maksudakawsarII

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম

ভ্রমন পিপাসু মানুষ গুলো কোথাও একটু সুন্দর প্রকৃতির খোঁজ পেলেই দৌড়ে যায় নিজেদের কে কিছুটা স্বস্থি দিতে। আর যদি হয় সেই জায়গাটি মনের মত সুন্দর। মনের রঙের সাথে যদি জায়গাটির প্রকৃতি মিশে যায় তাহলে মন হয়ে উঠে প্রানবন্ত। দেহ আর মনে খুজেঁ পাওয়া যায় প্রাণ চঞ্চলতা। আর এই কারনেই সব সময় প্রকৃতির অপার সৌন্দয্যের মাঝে মাঝে মাঝে হারিয়ে ফেলতে হয়।

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন বলেন তো? আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো আছি। আর ভালো আছি বলেই প্রতিদিনের মত আজও আবার চলে আসলাম। চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অবশ্য এতক্ষনে টাইটেল পড়ে আপনারা বেশ ভালোই বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট নিয়ে এসেছি। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমণের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা যারা এই ভ্রমন পোস্টের আগের পর্ব গুলো পড়েন নি তারা চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন সব পর্ব।

image.png

image.png

👌প্রথম পর্ব

👌দ্বিতীয় পর্ব

👌তৃতীয় পর্ব

👌চতুর্থ পর্ব

👌পঞ্চম পর্ব

সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমন শেষ পর্ব

image.png

image.png

যাই হোক অবশেষে আমরা পেয়ে গেলাম আমাদের কাঙ্খিত সেই সাফারী গাড়ীটি। যে গাড়ীতে চড়ে আমরা পুরো সাফারী পার্ক ভ্রমন করেছিলাম। একটি গাড়ীতে মোট ১৫ জন যাত্রী উঠতে পারে। আর আমরা ছিলাম মাত্র ৪ জন। তাই অন্য অন্য পরিবারের আরও ১২ জন যাত্রী উঠলো গাড়ীতে। অবশ্য যে মহিলার সাথে আমাদের ঝগড়া হয়েছিল তারা অন্য গাড়ীতে উঠেছে। সেই গাড়ীতে সীট থাকার পরও আমরা সেই গাড়ীতে উঠিনি। যদি আবার ঝগড়া বাধিঁয়ে দেয়।

image.png

image.png

গাড়ীতে উঠার কিছুক্ষনের মধ্যেই গাড়ী ছেড়ে দিলো। চারদিকের সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে আমরাও এগিয়ে যেতে লাগলাম সাফারী পার্কের দিকে। বেশ দারুন লাগছিল কিন্তু চারদিকের পরিবেশ। যতই গাড়ী যাচ্ছে ততই যেন প্রকৃতি আরও সুন্দর হয়ে উঠছে। প্রকৃতির এমন রূপ কে মোবাইলে বন্দী করতে চারজনের একজন কে দায়িত্ব দিলাম। যা পরবর্তী কোন ফটোগ্রাফি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ্। দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম সাফারী পার্কের ভিতরে। বিশাল এক মাঠ। মাঠে গাড়ী প্রবেশ করতেই লম্বা একটি পশু গাড়ীর সামনে এসে দাঁড়ালো। আমি ভাবলাম আমাদের কে দেখতে এসেছে। কিন্তু না রে ভাই। গাড়ীর নীচেই এদের জন্য খাবার দেওযা থাকে। তারা সেই খাবার খেতেই গাড়ীর সামনে এসে দাঁড়ায়।

image.png

image.png

সু বিশাল একটি মাঠের মধ্যে চড়ে বেড়াচ্ছে ঘোড়া, মহিষ, গরু আর হাসের পাল। গাড়ীর মধ্যে থাকা সব যাত্রীরাই বেশ আনন্দ নিয়ে এসব দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলো। অবশ্য কেউ কেউ নামতে চাইলেও নামতে দেওয়া হয়নি। সেখানে নামার কোন অনুমতি নেই। তাই গাড়ীতে বসেই উপভোগ করতে হলো এত সুন্দর দৃশ্য গুলো। কিছুদূর যাওয়ার পরই চোখে পড়লো নেটের মধ্যে রাখা হয়েছে কত গুরো হরিণ। জীবনে এর আগে কখনও হরিণ এমন করে সামনা সামনী দেখিনি। তাই আমি নিজেও একটু এক্সাইটেড ছিলাম। সেখানেও গাড়ী কিছুটা সময় দাঁড়ালো। যাতে করে যাত্রীরা কিছু ফটোগ্রাফি করতে পারে।

image.png

image.png

কিছুদূর গেয়েই দেখলাম একটি বাঘ। প্রথমেই মনে করেছিলাম যে আসল বাঘ। কিন্তু পড়ে বুঝতে পারলাম যে না না এটা হয়তো মাটি দিয়ে বানানো কোন বাঘ। যাই হোক বাঘ দেখতে দেখতে সামনের দিকে এগুতে লাগলাম। সন্ধ্যা হয়ে পড়ায় কিন্তু চারদিকের বনের মধ্যে থাকা অনেক পশুই আমরা দেখতে পারছিলাম না। শুধু জঙ্গলই উপভোগ করছিলাম। হয়তো দিনের বেলায় গেলে আমরা এখানে আর অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু পশু পাখি দেখতে পেতাম। যাই হোক আফসোস করি না। আবার একদিন যাবো এমন সুন্দর একটি সাফারী পার্ক ভ্রমন করতে।

image.png

image.png

image.png

অবশেষে সাফারী গাড়ীতি ধীরে ধীরে আমাদের কে নিয়ে সাফারী পার্ক হতে বের হয়ে গেল। বেশ দারুন ছিল সাফারী পার্কের চারদিকের প্রকৃতি। দারুন ছিল সাফারী পার্কের দৃশ্য গুলো। আর দারুন ছিল সাফারী পার্কের লেকটিও। আমরা আস্তে আস্তে গাড়ী থেকে নেমে গেলাম। তারপর কিছুটা সময় বসে কফি খেলাম। কারন রাতের দৃশ্যটি তো ক্যামেরা বন্দী করা লাগবে। কিছুক্ষনের মধ্যে দিনের আলো ঢেকে গিয়ে রাতের আধাঁর নেমে এলো পুরো সুবর্ণ পার্ক রিসোর্টে। আর আমরা সেই সময়টিকে এতটুকু মিস করিনি। মনের মত করে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। তারপর সুবর্ণ গ্রাম কে বিদায় জানিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।

শেষ কথা

আমি আশা করবো আপনাদের কাছে যদি এতটকু সময় থাকে তাহলে একবার হলেও এমন সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমন করে আসবেন। আমি মনে করি আপনারা নিরাশ হবেন না। এতটুকু হলেও আপনাদের মন কে ছুঁয়ে দিবে সুবর্ণ গ্রামের প্রকৃতি।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 months ago 
 2 months ago 

সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমনের শেষ পর্বে আপনি তো দেখছি খুব সুন্দর করে সাফারী পার্কের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। আপনার শেয়ার করা আজকের পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেল সেদিন আমরা সাফারী পার্কেও দারুন কিছু সময় পার করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করায়।

 last month 

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপু ভ্রমণ করতে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি তো পড়ালেখার পাশাপাশি অবসর সময় ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। আপনারা সাফারি গাড়িতে করে পার্কে বেশ দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ঘোরাঘুরির মধ্য দিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57653.41
ETH 3122.86
USDT 1.00
SBD 2.41