বিষ্ণুপুর রাধা গোবিন্দ মন্দির
নমস্কার বন্ধুরা,
নন্দলাল মন্দির থেকে বেরিয়ে পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে সোজা হাঁটতে থাকলাম। নন্দলাল মন্দিরের পরে আমার পরবর্তী গন্তব্য রাধাগোবিন্দ মন্দির, যেটা অল্প কিছুটা দূরে ছিলো। ৩০০ মিটার মতন পাকা কংক্রিটের রাস্তা উপর দিয়ে হেঁটে পৌঁছে গেলাম রাধাগোবিন্দ মন্দিরের সামনে। পূর্বে যখন বিষ্ণুপুরে এসেছিলাম তখন রাধাগোবিন্দ মন্দিরে যাওয়া হয়নি। এইবার তাই আগে থেকেই সব ম্যাপ চিহ্নিত দেখে এসেছিলাম।
পূর্বমুখী এক রত্ন শ্রেণীর রাধাগোবিন্দ মন্দির বিষ্ণুপুরের অন্যান্য মন্দিরের মতোই লাল ল্যাটেরাইট পাথর বা মাকড়া পাথর দিয়ে তৈরি। নন্দলাল মন্দিরের মতনই এটিও বর্গাকার ভিত্তির উপরে তৈরি। মন্দিরের শিকারা একটি মাত্র চূড়া বিশিষ্ট ও অনেকটা ঘটির আকৃতির। মন্দিরের সামনের দিকটায় দালান বারান্দা এবং সামনে রয়েছে মন্দিরে গর্ভগৃহে ঢোকার দরজা।
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে মল্ল রাজ কৃষ্ণ সিংহের আমলে রাধা গোবিন্দ মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। লাল মাকড়া পাথর দিয়ে নির্মিত মন্দিরটি বিষ্ণুপুরের অন্যান্য মন্দিরের মতোই স্থাপত্য কলায় ভরপুর। মন্দিরের গাত্রে পাথরে খোদাই করা মহাভারত, রামায়ণের বহু চরিত্র এবং বহু পটভূমির দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরটির সব পাশই তিনটি করে খিলান দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরের সামনেই একটি রথ আছে। বর্তমান সময়ে মন্দিরের স্থাপত্য শিল্পের অনেকটা ক্ষয় হয়ে গেলেও বহু কারুকাজ বোঝা যায়।
পূর্বে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের গর্ভ গৃহে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতিমা বিরাজমান হলেও বর্তমানে মন্দিরে আর কোন মূর্তি নেই। তবে যে জিনিসটি বিশেষভাবে ভিন্ন অন্য মন্দিরের সাথে তা হলো রাধা গোবিন্দ মন্দিরের সামনের রথ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বিষ্ণুপুর নিয়ে আপনার যে ধারাবাহিক পোস্ট চলছে তা আমায় মুগ্ধ করছে। বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজাদের ঐতিহ্য এইসব টেরাকোটার মন্দির। সেই মন্দিরগুলোকে এত সুন্দর করে আপনি তুলে আনছেন সকলের সামনে তাতে পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে খুব গর্বিত লাগছে। বিষ্ণুপুর আমাদের গর্ব৷ এই জায়গা আমাদের মধ্যযুগীয় ঐতিহ্যের ইতিহাস বহন করে। ছবিগুলো ভীষণ দক্ষ হাতে তুলেছেন৷ সঙ্গে তার ডিটেলিং ব্লগটিকে সমৃদ্ধ করছে।
বিষ্ণুপুর বাঙ্গালি জাতির গর্ব। ৩০০ বছর আগের মন্দির এখন টিকে আছে, সত্যিই অতুলনীয়।
বিষ্ণুপুর গিয়ে তো দেখছি প্রচুর ঘুরাঘুরি করেছেন দাদা। একের পর এক মন্দিরের ফটোগ্রাফি দেখেই যাচ্ছি। যাইহোক একসাথে তিনটি করে খিলান দেখতে কিন্তু দারুণ লাগে। তাছাড়া এখনো যে মন্দিরের দেয়ালে কারুকাজ বুঝা যাচ্ছে, এটাই তো অনেক। আগের দিনের শিল্পীদের কাজ নিখুঁত ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ কাজে ভেজাল আর ভেজাল। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ। প্রচুর ঘুরেছি। মাঝে কাজের জন্য দুঘন্টা ঘুরতে পারিনি নইলে তো পুরো শহর চষে ফেলতাম।