সরস্বতী পুজো পরিক্রমা ২০২৪ : পর্ব ৪
নমস্কার বন্ধুরা,
নান্দনিক ক্লাবের অতীব সুন্দর ভাবনা ও মন্ডপ দেখে এগিয়ে গেলাম কাঁথি শহরের মাঝামাঝি। যদিও কিছুদূর গিয়ে পেলাম কাঁথি কলেজ তবে সেখানে ঢোকার সাহস ছিলো না। আসলে কলেজের গন্ডি পেরিয়েছি বহুদিন হলো তাই কেউ যদি হঠাৎ কাকু ডেকে ফেলে সেই ভয়ে কাঁথি কলেজ এড়িয়ে পৌঁছে গেলাম কাঁথি শহরের অত্যন্ত জাগ্রত মা ভবতারিণী মাতার মন্দিরে সামনে। মায়ের মন্দিরে প্রণাম ঠুকে সেখানেই পাশাপাশি দু দুটি পুজো মন্ডপ পেয়ে গেলাম। সরস্বতী পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে যেটা আর অস্বাভাবিক লাগছে না। কারণ কিছু আগে ক্ষুদিরাম মার্কেটে এক জায়গাতেই পরপর তিন তিনটি সরস্বতী পুজো দেখেছিলাম এখানেও যখন দুটো সরস্বতী পুজোর মন্ডপ দেখলাম তখন প্রথমে একটু আশ্চর্য হলেও মানিয়ে নিতে অসুবিধা হলো না।
প্রথমে পুজো মন্ডপ পেলাম মিনার্ভা ক্লাবের। তাদের পুজোর ভাবনা যে কোনো ভারতবাসীর মনকে নাড়িয়ে দেবে। আসলে এইবার সরস্বতী পুজো ছিলো ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তারিখে যেটা ভারতবাসীর জন্য একটা কলঙ্কের দিনও বটে। কারণ ১৪ ই ফেব্রুয়ারির দিনে আত্মঘাতী এক জঙ্গির সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়িতে হামলা করে যার ফলে চল্লিশ সিআরপিএফ জওয়ান বীরগতি প্রাপ্তি হয়। মিনার্ভা ক্লাবের পুজো কমিটি সেই জওয়ানদেরকে স্মরণ করে উৎসর্গ করেছে তাদের পুজো ভাবনা।
মিনার্ভার মন্ডপ তেমন বড় না হলেও মন্ডপের ভিতরে সেই বীরগতি প্রাপ্ত চল্লিশ সিআরপিএফ জওয়ানের নাম নামাঙ্কিত করা হয়েছে।
মিনার্ভা ক্লাবের ঠিক পাশে পেয়ে গেলাম ক্যালিক্স ক্লাবের পুজো মন্ডপ। ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করা নব্য এই ক্লাবটি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো কৃত্রিম ফুলের মন্ডপ সর্ব সাধারণের সামনে তুলে ধরেছে। মণ্ডপের মাঝে শ্বেত শুভ্র দেবী প্রতিমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। যেটি পুজোর মাহাত্ম্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ পুজোর মূল বিষয়টা হলো নিয়ম মেনে ভক্তি ভরে পুজো করা আর সেটাই করেছে ক্যালিক্স ক্লাব। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি কিংবা আড়ম্বর নেই, ছিমছাম পুজো। আর যখন আমি পৌঁছেছি তখন ক্যালিক্স ক্লাবে মায়ের পুজো চলছে।
মন্ত্র শুনে সেখানেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়লাম। আসলে সুন্দর সংস্কৃত উচ্চারণ শুনলে আমি দাঁড়িয়েই পড়ি। বেশিক্ষণ সে আনন্দ ধরে রাখা গেল না শেষমেষ এগিয়ে গেলাম পরের মন্ডপের দিকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টের শুরুটা পড়েই তো অনেক হাসলাম। কাকু ডাক শোনার ভয়ে দেখছি কাঁথি কলেজ এড়িয়ে গেলেন। কেন আপনার কি কাকুর হওয়ার ইচ্ছে নেই ? হা হা। মিনার্ভা ক্লাবের পুজো মণ্ডপটা কিন্তু সুন্দর ছিল। গত পর্বে ও সুন্দর একটা পূজা মন্ডপ দেখেছিলাম। আজকেও কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে এগুলো যদি চোখের সামনে দেখতে পারতাম তাহলে বেশি ভালো লাগতো।
কাকু ডাক শুনতে কিন্তু খারাপ লাগতো না দাদা। বিশেষ করে কোনো সুন্দরী মেয়ে যদি আপনাকে কাকু ডাকতো, তাহলে ভাবুন তো অবস্থাটা কেমন হতো😂। যাইহোক মিনার্ভা ক্লাবের পূজার ভাবনা এবং মন্ডপ ভীষণ ভালো লেগেছে। তাছাড়া ক্যালিক্স ক্লাবও মোটামুটি ভালো আয়োজন করেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কেন ভাই কাকু ডাকলে তো ভালোই হতো। মনে হচ্ছে আপনি মেয়েদের কাছ থেকে কাকু ডাক শুনতে চাইছেন না তাইনা ভাই? তবে একটা জায়গায় গিয়ে দুইটা মন্ডপ পেয়ে গেলেন এটাই বেশ ভালো লাগলো। আবার দেখছি এর আগেও একসাথে তিনটা মন্ডপ দেখেছিলেন। আসলে আপনাদের পূজো মণ্ডপ গুলো আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। এক একটা এক এক থিম নিয়ে সাজানো হয়। আজকের পোস্ট পড়েও ভীষণ ভালো লাগলো।
কলেজের গণ্ডি অনেকদিন পেরিয়েছো এই জন্য যেতে ভয় লাগছে এটা মেনে নিলাম, তাই বলে কাকু বলে ডাকবে কেন! হা হা হা... 😂🤭 দাদা, এখানে তুমি যে সরস্বতী পুজোর মন্ডপ দুটি শেয়ার করেছো তা বেশ ভালো ছিল। তবে সব থেকে বেশি ভালো লাগলো মিনার্ভার মন্ডপ এর পুজোর থিমটা।