ইকো পার্কে বহুদিন পরে

নমস্কার বন্ধুরা,

আবারও বহুদিন পর ইকো পার্ক থেকে ঘুরে এলাম। ঘরের খুব কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও প্রায় বছর দুয়েক পরে ফের গেলাম। শেষ গিয়েছিলাম ২০২১ এর করোনার ঠিক পরে তখন যদিও মানুষজন ইকো পার্কে অনেক কম আসছিল। তারপর আরেকবার ইকোপার্কে যাওয়ার প্ল্যান হলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি, যখন হাফিজ দা'রা কলকাতা ঘুরতে এসেছিলেন। আসলে সেবার ইকো পার্কের প্ল্যান মাঝ পথে থেমে যায় তার কারণ হলো সোমবার ইকোপার্ক বন্ধ থাকে সেটা জানতামই না, আর আমরা সোমবার দিনেই সেখানে ঘুরতে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে গুগল ম্যাপ দেখে ফিরে যাই। সেই ঘটনার পরে এবার গেলাম ইকোপার্ক বেড়াতে।

বিকাল বিকাল পৌছে গিয়েছিলাম ইকো পার্কের সামনে। অনেকদিন পরে যাওয়া তাই চিনতে পারি নি, সেই সুযোগ নিয়ে বাস ওয়ালা আমাকে মূল গেটের আগেই ৪ নম্বর গেটে নামিয়ে দিলো। সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় হওয়ার জন্য তুলনামূলকভাবে গেটের বাইরেটা ফাঁকাই ছিলো। টিকিট কেটে সোজা ঢুকে পড়লাম ইকো পার্কের ভেতরে। এতদিন পরে ঘুরতে আসায় আমার মধ্যে এক অদ্ভুত উত্তেজনা কাজ করছিল। ভেতরে ঢুকে পেলাম সপ্তাশ্চর্য, সেটাকে কাটিয়ে হাঁটতে থাকলাম ইকোপার্কের মাঝের দিকে।

ইকো পার্ক ১০৪ একর জমির উপরে নির্মিত যেখানে সাধারণ পার্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন মনোরঞ্জনের জায়গা এবং একটি বড়সড় জলাশয় পর্যন্ত রয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম মুখোশ পার্কের সামনে। মুখোশ দেখে দাদার সেই মুখোশ পার্ক নিয়ে পোস্টটা খেয়াল পড়ে গেলো। আমিও দু-একটা মুখোশের ছবি তুলে এগিয়ে যেতে থাকলাম। অল্প এগোতেই গায়ে হাওয়া বেশি বেশি করে লাগতে থাকল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইকো পার্কের বিশাল জলাশয়ের সামনে পৌঁছালাম। সেখানে পৌঁছে হাওয়ায় উড়িয়ে যাওয়ার মতন অবস্থা হলো।

জলাশয়ের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সবচেয়ে হাওয়া বিশিষ্ট জায়গাটায় গিয়ে সেখানেই এক ব্রেঞ্চ দেখে বসে পড়লাম। হাওয়া খেতে খেতে এক কাপ করে লেবু চা জমিয়ে খেলাম। যদিও চায়ে অল্প বেশি নুন এবং লেবু দিয়ে দেয়ার জন্য স্বাদ বদলে গিয়েছিলো তবে সেটুকু মেনে নেওয়াই যায়।

---

---

||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||

---

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy