"বাংলা মোদের গর্ব" : পর্ব ৫

নমস্কার বন্ধুরা,

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে সেলুলার জেলের নামটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেল ১৮৫৭ সালের প্রথম সিপাহী বিদ্রোহের পরে ব্রিটিশরা গড়ে তোলে। যেটা বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আটক করে রাখার মূল জেল হয়ে উঠেছিল। যুগান্তর দল, অনুশীলন সমিতির বহু বিপ্লবীকে কোনো না কোনো সময়ে সেলুলার জেলে জেলবন্দী থাকতে হয়েছে। বাঙালি বিপ্লবীদের পাশাপাশি সেলুলার জেলে পাঞ্জাবের গদর পার্টির প্রচুর বিপ্লবীদেরকেও আটকে রাখা হয়েছিলো।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যখন ভারতের বিপ্লবীরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে আগুন ঝড়িয়ে চলেছে সেই সময়ে বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বিভিন্ন বিপ্লবীকে দ্বীপান্তর করে সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী পুলিন রায়, আশুতোষ দাশগুপ্ত সেলুলার জেলে নিয়ে আসা হয়। রাজাবাজার বোমা মামলায় অনুশীলন সমিতির শশাঙ্ক শেখর হাজরার ঠাঁই হয় এই সেলুলার জেলেই। সেই সাথে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মতো বিপ্লবীদের এই জেলেই বন্দী হতে হয়। সেলুলার জেলে বিপ্লবী উপরে যে অকথ্য অত্যাচার করা হতো সেগুলো বিভিন্ন বিপ্লবীদের লেখায় পাওয়া যায়।

সেই সময়ে বহু বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর জন্য সেলুলার জেলকে মূলত ব্যবহার করা হতো। কারণ তখন সমুদ্র পারাপার করার এত সুযোগ-সুবিধা কিছুই ছিল না। সেই জন্য কোনো বিপ্লবীকে কঠোরতম শাস্তি দিতে গেলে ব্রিটিশদের প্রধান অস্ত্র ছিল আন্দামানের জেল। বীর সাভারকার-কে ১৪ বছর আন্দামানের এই জেলেই বন্দী হিসেবে কাটাতে হয়। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায় সেই সময়ে কিভাবে সেলুলার জেলে আটক রাখা বিপ্লবীদেরকে তিলে তিলে মানসিক ও শারীরিক ভাবে ভেঙে ফেলা হতো।

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যাপক অধ্যায় এই জেলের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে যা আজ ইতিহাসের পাতায় বিস্তৃত হয়ে বসেছে।

---

---

||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||

---

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy