বিষ্ণুপুর ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দির
নমস্কার বন্ধুরা,
বিষ্ণুপুর স্টেশনের বাইরে মুড়ি আলুর দম খেয়ে পেট কিছুটা শান্ত করে বেরিয়ে পড়লাম আমার বিষ্ণুপুরের প্রথম গন্তব্যের পথে, ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দিরে। কলকাতা থেকে আসবার সময় মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম বিষ্ণুপুরের পরিক্রমা শুরু করবো মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়েই। বিষ্ণুপুর শহরে অবস্থিত ছিন্নমস্তা মা খুবই জাগ্রত। হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে মায়ের অত্যন্ত মান্যতা রয়েছে। স্টেশন থেকে মায়ের মন্দির প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে তাই সেখান থেকে একটা টোটো চেপে সোজা মায়ের মন্দিরে পৌঁছে গেলাম।
বিষ্ণুপুরের অবস্থিত ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দিরটি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন মেদিনীপুরের বিখ্যাত ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র গুঁই মহাশয়। যদিও মন্দিরটি ইদানিং সময়ে বানানো হয়েছে তবে ছিন্নমস্তা মায়ের মূর্তিটি অনেক পুরনো। বিষ্ণুপুরের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, ছিন্নমস্তা মায়ের মূর্তিটি দীর্ঘদিন হরি তপোবন আশ্রমের ভেতরে স্থাপিত ছিল যা কৃষ্ণচন্দ্র গুঁই মহাশয় স্বপ্নাদেশ পেলে মাকে নিয়ে এনে সুসজ্জিত মন্দির প্রতিষ্ঠা করে সেখানে স্থাপন করেন।
সকালবেলা স্নান করে যাইনি এদিকে স্টেশনে নেমে হালকা মুড়ি আলুর দম খেয়ে নিয়েছি সেজন্য প্রাথমিক ভাবে মন্দিরে পৌঁছে চিন্তা করেছিলাম মাকে শুধু প্রণাম করলেও পুজো দেব না। মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছে মনে হলো এতদূর এসেছি মায়ের পুজো না করাটা অনুচিত হবে সেজন্য মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে নিলাম। ভেতরে ছবি তোলা একেবারেই নিষিদ্ধ তাই মায়ের ছবি তুলিনি। শুধু মাত্র পুজো দিয়ে বেরিয়ে এলাম। ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দির প্রাঙ্গনে মায়ের মূল মন্দিরের পাশাপাশি আরো দুটো মন্দির রয়েছে। ডান পাশে দেবাদিদেব মহাদেবের একটি মন্দির এবং বাম পাশে রয়েছে রাধা গোবিন্দ মন্দির।
ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দিরে বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা থেকে শুরু করে বহু পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে তাই মন্দিরের পাশে গড়ে উঠেছে বাঁকুড়ার অন্যতম বিখ্যাত জিনিস, টেরাকোটা জিনিসপত্রের দোকান। যেটা মন্দিরের দুপাশ সংলগ্ন জায়গাতেই পাবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা বিষ্ণুপুর গিয়ে একেবারে ভিন্ন ধরনের নাস্তা খেয়ে তাহলে বিষ্ণুপুর ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দির দর্শন করতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া সেখানে গিয়ে পূজা দিয়েছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। মন্দিরটা তো দেখছি খুবই সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।