"বাংলা মোদের গর্ব" : পর্ব ৩
নমস্কার বন্ধুরা,
স্বাধীনতা সংগ্রাম আটকাবার জন্য তৎকালীন ইংরেজ শাসকরা সেই সময়ে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় থাকা নানান জেল গুলোকে তাদের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে নিয়েছিল। বিপ্লবীদেরকে আটকানোর একটা পথকেই তারা দেখতে পেয়েছিল তা হলো বিপ্লবীদের মামলায় ফাঁসিয়ে তাদেরকে জেলে বন্দী করে রাখা।অনেক সময় তাদের ফাঁসি কাঠে ঝুলিয়ে দেওয়া। আমাদের বিভিন্ন জেল গুলোর সাথে তাই জড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রত্যক্ষ ইতিহাস। যে ইতিহাস আজ আপামর বাঙালি এবং ভারতবাসী ভুলতে বসেছে।
সেই সময়ের জেলগুলির মধ্যে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল ছিল ইংরেজদের অন্যতম হাতিয়ার। ১৯০৬ সালে তৈরি হওয়া আলিপুর সেন্ট্রাল জেল অন্যান্য জেল গুলির থেকে বেশ আঁটোসাঁটো করে বানানো হয়েছিলো, অনেকটা ঘেরাটোপের মত। অহিংসা আন্দোলনে যে সমস্ত বাঙালি বিপ্লবীদের সেলুলার জেলে রাখা হয়েছিল পরবর্তীতে তাদেরকে আলিপুর জেলে নিয়ে আসা হয়। আলিপুর জেলের বিশেষ একটি ওয়ার্ড ছিল যার নাম হয় বোম্ব ওয়ার্ড। কারণ সেখানে জায়গা পেয়েছিলেন ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, অমৃতপাল, মদন ভৌমিকের মতো প্রমুখ বিপ্লবীরা।
১৯২১ সালে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে বাংলার জেলগুলি বিপ্লবীতে ভরিয়ে দেওয়া হয়। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী করে নিয়ে আসা হয় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ডক্টর বিধান চন্দ্র রায় মতো মানুষদের। পরবর্তীতে ১৯৩০ সালে লবণ আইন অমান্য আন্দোলনের সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিধানচন্দ্র রায় এবং দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তকে আবার এক কারাগারে বন্দী করা হয়।
ইংরেজ শাসকের ত্রাস অনুশীলন সমিতির বিভিন্ন বিপ্লবীদের কেও এই আলিপুর জেলে বন্দি হিসেবে রাখা হয়। মজার বিষয় হলো অনুশীলন সমিতির বেশ কিছু বিপ্লবী এই জেল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের মাধ্যম হয় আদি গঙ্গা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.