এলোমেলো আলোকচিত্র
নমস্কার বন্ধুরা,
কদিন আগে আপনাদের সাথে আমার ফোনের গ্যালারি থেকে আমার তোলা কয়েকটা ছবি ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজ আবারো আরো কয়েকটা ছবি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে পড়েছি। ছবি তুলতে আমি মোটেই ভালো পারি না। কারণ ছবি তোলার জন্য যে প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার সেটা আমার নেই। কোনটা ছবির সঠিক আলো কিংবা দৃষ্টিকোণ দুটোই আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। তবে অনেকগুলো ছবি তুললে মাঝেমধ্যে দুই একটা ছবি ভালো চলে আসে সেগুলোর মধ্যে থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
আপনাদের সামনে যে ছবিটা প্রথমে ভাগ করে নেব সেটা হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। পার্কে হাঁটতে হাঁটতে এক জায়গায় কিছু সূর্যমুখী ফুলে দেখতে খুব সুন্দর লেগে গেলো। ফুল দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছি দেখি ফুলের উপরে একটা মৌমাছি বসে মনের সানন্দে মধু চুষছে। দেখে খুবই সুন্দর লাগলো বিষয়টাকে তাই ফ্রেমবন্দি করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।
কয়েক মাস আগে ধান্যকুড়িয়া নামে এক গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেইখানে বিভিন্ন রাজকীয় ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য দেখে এক অন্য রকমের অনুভূতি হয়েছিল। কিছু বাড়ির আজ ভগ্নপ্রায় তবে সেকালে কেমন তাদের স্থাপত্য কলা তা এক সাধারন জানলা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। রং উঠে যাওয়া জানলার মধ্যে আভিজাত্য ব্যাপারটা ছিল সেই সাথে জানলার উপরে থাকা নকশা আলাদা মাত্রা দেয়। বর্তমান সময়ের বাড়িতে তেমন নকশা খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না।
আপনাদের ওদিকে শীতকালীন ধান চাষ হয় কিনা তবে আমাদের কিছু জমিতে আমরা শীতকালীন ধান চাষ করে থাকি। শীতে যখন বাড়ি গিয়েছিলাম তখন সেরকমই কিছু জমিতে সবে মাত্র ধান রোপন করা হয়েছে তাই সেই জমি জলে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। আর দূরে পড়েছে ঘন কুয়াশা।
কদিন আগে ইকো পার্কে গিয়েছিলাম সে ব্যাপারে আপনাদের আগেই জানিয়েছি। সেদিন ইকো পার্কে হাঁটতে হাঁটতে মাঝে একটা বিশাল ফাঁকা জায়গায় পৌঁছেছি। মাথা ঘুরিয়ে পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দেখি আকাশ আসন্ন অন্ধকার ও সূর্যের শেষ আলোর মধ্যে সুন্দর কন্ট্রাস্ট তৈরি করেছে।
পরিশেষে খাবারের দিকে চলে যাবো। ফটোগ্রাফি পোস্টে খাবার রাখবো না তা কখনো হয়। মোমো বর্তমান সময়ে অত্যন্ত ট্রেন্ডি খাবার। যদিও আমি যখন উচ্চমাধ্যমিকে পড়তাম তখন শীত হলে মোমো খাওয়া আমার রোজকার বিষয়। কলকাতাতে মাঝে মধ্যে মোমো খাই। এখানে মোমো নানান স্বাদ ও রঙের পাওয়া যায়। সেরকমই এক ধরনের মোমো খেয়েছিলাম, গন্ধরাজ চিকেন মোমো। গন্ধরাজ লেবুর হালকা সুবাস আর ভরপুর চিকেন। আহা।
ক্যামেরা: LGE LM-G850
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তো আর মনে হয় না যে আপনি ফটোগ্রাফি বুঝেন না। দারুন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে তো আমি মুগ্ধ। সবগুলোই কিন্তু বেশ হয়েছে দাদা।
দাদা আপনি এলোমেলোভাবে বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি এত সুন্দর হয়েছে যে আর কি বলবো। যতই দেখছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। সর্বপ্রথম সূর্যমুখী ফুলের ফটোগ্রাফি টা দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। সূর্যমুখী ফুলটা অনেক বেশি সুন্দর। ফুল তার উপরে মৌমাছি বসার কারণে আরো সুন্দর লাগছে। ইকো পার্ক থেকে তোলা ফটোগ্রাফিটাও অনেক ভালো লেগেছে দাদা। সবশেষে খাবারের ফটোগ্রাফি কেন যে শেয়ার করলেন। দেখেই তো লোভ সামলাতে পারছিনা। যাইহোক দুর্দান্ত ছিল সবগুলো ফটোগ্রাফি।
কে বলেছে আপনি ফটোগ্রাফি করতে পারেন না। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। মোমো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এর পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি অসাধারণ কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। বিশেষ করে সূর্যমুখী ফুলের ফটোগ্রাফিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি যে ভালো একজন ফটোগ্রাফার নন এটা কে বলল। কি চমৎকার ভাবে আপনি প্রতিটি দৃশ্য ক্যাপচার করেছেন।আমার কাছে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি ই ভালো লেগেছে। চমৎকার বর্ননায় আরো বেশী উপভোগ করলাম।ধন্যবাদ আপনাকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা ফটোগ্রাফি করাটা আসলে ধৈর্যের ব্যাপার। ধৈর্য ধারণ করে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলে অবশ্যই সুন্দর হয়। আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালো লেগেছে দাদা। বিশেষ করে শীতকালীন ধান চাষ এবং ইকো পার্ক থেকে ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি দুটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।