মাঝ রাতের শো: পর্ব ৫
নমস্কার বন্ধুরা,
মাঝ রাতের শো: পর্ব ৪ এর পর....
অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুদীপ্তার মাথায় বারবার ঘুরতে থাকলো, পছন্দের কাজের জন্য হয়তো তাকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় অন্য কোনো শহরে চলে যেতে হবে। একদিকে যেমন স্বপ্ন পূরণের হাতছানি তেমনি আরেক দিকে রয়েছে ঘরছাড়া হওয়ার বেদনা। বাড়ি পৌঁছে সুদীপ্তা মাকে কিছুই না জানিয়ে অল্প কিছু মুখে দিয়ে শুয়ে পড়লো। শুয়ে সুদীপ্তার কিছুতেই ঘুম আসছিলো না। শুধুই এপাশ ওপাশ করছিলো। আর মনে ভাসছিল একটা প্রশ্ন, স্বপ্ন পূরণ নাকি শহর ছেড়ে যাওয়া কোনটাকে বেছে নেবে সে। সেই চিন্তাই যেন তাকে ঘুমোতে দিচ্ছিলো না। সারাটা রাত এভাবেই কেটে গেলো। ভোরের আলো ফুটতে চোখটা বুজে এলো যদিও ক্ষণিকের জন্য। অল্প কিছুক্ষণ চোখ বুঝতেই এলার্মে ঘুমটা ভেঙে গেল।
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই সুদীপ্তা ওর মাকে সবটা জানালো। সে যে দু জায়গা থেকে রেডিও সঞ্চালকের চাকরি পেয়েছে। সুদীপ্তার মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলো সেই সাথে লক্ষ্য করলেন যে মেয়ে এতদিন ধরে বহু ইন্টারভিউ দিয়েও হাল ছাড়েনি আজ যখন সফল হয়েছে তখন তার মধ্যে উৎসুকতা নেই। সেটা দেখেই সুদীপ্তাকে ওর মা জিজ্ঞেস করলো, কিরে খুকি তুই কি খুশি নোস?
সুদীপ্তা এবারে পুরোটা বললো, মা দুটোই বাড়ির বাইরে গিয়ে করতে হবে। আমার নিজের অফিসের পদটার জন্য শিলিগুড়ি যেতে হবে। একদিকে রেডিও সঞ্চালক হওয়ার স্বপ্নের হাতছানি কিন্তু আমি তোমাদের ছেড়ে যাবো কিভাবে। সেটা নিয়েই দ্বিধাগ্রস্ত। শিলিগুড়ি এতদূর যে একদিন যেতেই লেগে যায়। সুদীপ্তার মা পুরোটা শুনে বললো সুযোগ যখন এসেছে তখন তুই যা। কিছুদিন পরে যদি ভালো না লাগে তখন না হয় ভেবে দেখা যাবে।
সুদীপ্তা কিছুটা যেন আশ্বাস পেলো। ঠিক করলো আজ অফিসে গিয়ে অভীক দাকে চাকরি নেওয়ার কথাটা জানিয়ে দেবে।
অফিসে পৌঁছতেই সবাই সুদীপ্তাকে দেখে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এলো। সুদীপ্তা ভাবতে লাগলো, রাতের মধ্যে কথাটা কিভাবে ছড়িয়ে গেলো। আর মনে মনে ভাবতে থাকলো যে সে চাকরিটা নেবে তার অফিসের কলিগ রাই জানলো কিভাবে!!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আসলে বাসা ছেড়ে দূরে থাকাটা খুবই কষ্টের। হয়তো একটা সময়ে ঠিক হয়ে যায়। প্রথমবার আমি যখন বাসা ছেড়ে সাউথ কোরিয়াতে যাচ্ছিলাম,তখন যে কি পরিমাণে কষ্ট হচ্ছিলো,সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবে সুদীপ্তা অবশেষে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিলিগুড়ি না গেলে এতো বড় একটি সুযোগ মিস হয়ে যেতো। তাছাড়া এটা তো সুদীপ্তার অনেকদিনের স্বপ্ন। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।