সরস্বতী পুজো পরিক্রমা ২০২৪ : পর্ব ৮
নমস্কার বন্ধুরা,
রামনগরের রাস্তায় দুপাশে বেশ কয়টি সরস্বতী পুজো ছিল যে কারণে মূলত বাইক পার্কিং করেই হেঁটে হেঁটে ঘুরছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে কিছু গিয়ে পেলাম আরো দু দুটো সরস্বতী পুজো। তারাও অত্যন্ত অল্প বাজেটের মধ্যে সুন্দর মন্ডপ জনসাধারণের জন্য তুলে ধরেছে। প্রথম মন্ডপ ছিলো অঙ্গনা পরিবারের। তখন মনে পড়লো পূর্বে পেজ ১১ এর পরিবারের পুজো মন্ডপ দেখেছি। এমন নামকরণের আসল কারন কি সেটা বুঝিনি তবে ক্লাবের পুজো পরিবারের পুজোর মতো।
অঙ্গনা পরিবারের এবছরের পুজোর মূল ভাবনা মঙ্গল দ্বীপ জ্বালানো সন্ধানে। তাদের পুজোর মূল ভাবনায় পুরো পুজো মণ্ডপে দ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করা রয়েছে। দূর থেকে মন্ডপ সজ্জায় অনেক প্রদীপের দেখা মিলছিল, সেগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো সেগুলো আসল প্রদীপ। কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম সেগুলো সুন্দরভাবে করা লাইটিং। তবে যে জিনিসটা বিশেষ ভালো লেগেছে সেটা হলো পুরো মন্ডপের কাজ বেতের উপরে করা হয়েছে। দেবী প্রতিমার মধ্যেও এক অনন্য ছাপ দেখেছি।
অঙ্গনা পরিবারের পুজো মন্ডপ দেখে কিছুটা দূরে উল্টো পাশে পেয়ে গেলাম বাণী বন্দনায় সিটি বয়েজ ক্লাবের পুজো। ১২ তম বছরে পদার্পণ করে এ বছরে তারা পূজোর মূল ভাবনা হিসেবে তুলে ধরেছে পুতুল ঘর। তাদের ভাবনায় বর্তমান সমাজের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছে। বর্তমানে সরকারি চাকরির জন্য সাধারণ মানুষের দৌড়াদৌড়ি দেখতে পাওয়া যায়। একটা সরকারি চেয়ার দখলের জন্য আমরা অসৎ উপায়ও গ্রহণ করি। সমাজের আয়না হিসেবে পুজো কমিটি তাদের মূল ভাবনা তুলে ধরেছে।
বাণী বন্দনায় সেটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা হয়তো তথাকথিত শিক্ষিত হচ্ছি কিন্তু অসৎ উপায়ের কোনো কাজ করলে কি আদৌ প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া যায়। অঙ্গনা পরিবারের দেবী প্রতিমা জাপানিজ আদলে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে খুব সুন্দর সুন্দর পুজো মন্ডপ গুলো দেখে আসছি। আজকের অঙ্গনা পরিবারের পুজো মন্ডপ কিন্তু খুব সুন্দর আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। ডিজাইনটাও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। তবে এই পূজা মন্ডপ দেখে এরপর আবারও বাণী বন্দনায় সিটি বয়েজ ক্লাবের পুজো দেখেছেন দেখছি । দুইটা কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সত্যি অনেক সুন্দর ছিল।
পুজো কমিটি গুলোর নাম বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো।
দাদা অঙ্গনা পরিবারের পূজা মন্ডপ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। কতো সুন্দর করে বেতের উপর ডিজাইন করা হয়েছে। তাছাড়া সিটি বয়েজ ক্লাবের পূজার আয়োজনটাও দারুণ হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সরস্বতী পূজার সময় তো দেখছি অনেকগুলো মন্ডপ ঘুরেছেন দাদা। যাইহোক পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেতের কাজ যথেষ্ট কঠিন। পুরো কৃতিত্ব শিল্পীদের প্রাপ্য
বাইক পার্কিং করে হাঁটতে হাঁটতে অনেকগুলো মন্ডোপ দেখতে পেলেন।সবগুলোতেই খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছেন।বাজেট অল্প হলেও সাধারণ জনগণের বেশ পছন্দসই।ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পৌঁছে দেখি, পুরো রাস্তার দুই পাশে মণ্ডপের ছড়াছড়ি। নেমে গিয়ে ভালোই করেছিলাম।
অঙ্গনা পরিবার নামটি বেশ ভালো লাগলো তবে এটি ক্লাবের পুজো জেনে আমিও অবাক হলাম।দাদা,আসলেই আধুনিকতা আমাদের নতুন নতুন চমক দেখাতে সাহায্য করে।তেমনি এই লাইটিং প্রদীপগুলি এককথায় দুর্দান্ত।থিমের বিষয়টি সুন্দর,ফটোগ্রাফিগুলি দারুণ ছিল।সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে জাপানিজ আদলে সরস্বতী ঠাকুরকে।ধন্যবাদ দাদা।
আমার মনে হলো, আশেপাশের সব বাসিন্দারা মিলে পুজোটা করেন।
জাপানে দেবী সরস্বতীর নাম দেবী বেনজেইতেন।
জাপানে সরস্বতী দেবীর নাম জেনে ভালো লাগলো😊.