বিষ্ণুপুর রাধা মাধব মন্দির

নমস্কার বন্ধুরা,

রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে বেরিয়ে অল্প।হেঁটেই একদম ঠিক উল্টো পাশেই থাকা রাধামাধব মন্দিরে চলে গেলাম। গোবিন্দ মন্দিরের পরিসরেই পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগের বিষ্ণুপুর শাখায় বানানো রয়েছে। ১৭৩৭ সালে মল্ল রাজা গোপাল সিংহের পুত্রবধূ রানী চূড়ামণির নির্দেশে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। ল্যাটেরাইট পাথর দিয়ে নির্মিত একরত্ন শেলীর মন্দিরটির, দক্ষিণে ত্রি খিলান বিশিষ্ট তোরণ রয়েছে এবং মূল মন্দির টি আয়তাকার দালানের উপর নির্মিত। ভিত্তিবেদীর দুই সারিতে নানান পৌরাণিক ইতিহাস নিপুণ ভাবে খোদিত করা রয়েছে। দেওয়াল গাত্রে নানান ভাস্কর্যর দেখা মেলে।

বিষ্ণুপুরের প্রাচীন টেরাকোটার মন্দিরগুলি স্থাপত্য কলার জন্য বিখ্যাত। সেই স্থাপত্যকলার নির্দশন পাওয়া যায় রাধা মাধব মন্দিরেও। মন্দিরের খিলান ও স্তম্ভগুলিতে খোদাই রয়েছে মহাভারত, রামায়ণের বহু চরিত্র। মন্দিরের সামনে একটি দো চালা মন্ডপ রয়েছে। আগে রাধা মাধব মন্দিরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করা হলেও বর্তমানে মূর্তিটিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপুরের মোট সাতটি এক রত্ন মন্দির মধ্যেই একটি রাধা মাধব মন্দির।

এক চালা বিশিষ্ট মন্দিরের উপরে শিকারা দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরের দু পাশে তিনটি করে খিলান রয়েছে। মন্দিরের সামনে একটি তুলসী বেদী রয়েছে এবং মন্দিরের আরেক পাশেই রয়েছে ভোগ কক্ষ। একসময় যখন রাধা মাধব মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের পুজো হতো সেই সময় ভোগ রান্না মন্দিরের সংলগ্ন ভোগ কক্ষেই করা হতো।

মন্দির ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ নিয়ে নেওয়ার পরে কিছুটা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করলেও মূল ভাস্কর্য বর্তমানে অনেকটাই ক্ষয়ে গিয়েছে। তবে পৌরাণিক ইতিহাসের বহু কাহিনী যে মন্দিরের গাত্রে একসময় জ্বলজ্বল করেছে সেটা বর্তমান সময়েও পরিলক্ষিত।

---

---

||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||

---

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy