বাঁকুড়ার জলখাবার দিয়ে সকালের শুরু
নমস্কার বন্ধুরা,
বিষ্ণুপুর স্টেশন থেকে বেরিয়ে প্রথমেই স্টেশন চত্বরে এক কাপ খুঁজতে শুরু করলাম। আসলে টানা ৩ ঘণ্টা ট্রেনে থাকার পরে চা ছাড়া যেমন আড়ষ্টতা কাটত না তেমনি যাত্রা শুরু করেও খুব একটা শান্তি পেতাম না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্টেশন চত্বরেই বেশ কিছু চায়ের দোকান পেয়ে গেলাম। সেখান থেকে এক কাপ কড়া চা খেয়ে সেই কাকুর কাছ থেকে বিষ্ণুপুরের ঘোরার দিক নির্দেশনা শুনে নিলাম। দিক নির্দেশনা দেওয়ার সময় মনে হলো উনি সারা দিনে এরকম বহু মানুষের প্রশ্ন পান তবুও হাসিমুখে রাস্তা বাতলে দিলেন। আমার ইচ্ছে তাকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, শহর পরিক্রমা শুরু করবো ছিন্নমস্তা কালী মন্দিরে মাথা ঠুকেই।
চায়ে চুমুক দিয়ে স্টেশন থেকে বেরোলাম। স্টেশন চত্বরের বাইরেই দেখি একটা দোকানের বেশ কিছু মানুষ ঘিরে আছে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও কাছে গিয়ে দেখি সবাই চপ, মুড়ি সাথে আলুর দম খাচ্ছে। তখন খেয়াল পড়লো, বাঁকুড়ার মানুষের সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হলো চপ, মুড়ি সাথে আলুর দম। পুরো ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া তিন জেলার মানুষ সকালবেলা উঠে চপ মুড়ি খেতে খুব পছন্দ করেন। তাদের এমন খাদ্যাভ্যাসটা ঠিক কবে থেকে হয়েছে জানি না তবে বর্তমানে সেটা বাঁকুড়া জেলার মানুষের সকালবেলার ব্রেকফাস্ট হিসেবে পরিচিত।
খুব সকালে উঠেছিলাম সেজন্য অল্প খিদে পেয়ে গেছিলো। আর দেখলাম দোকানে বেশ ভিড় আছে অর্থাৎ স্থানীয় মানুষ রাও এখানে খান। আমরাও মুড়ি আলুর দম খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে পড়লাম। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই প্রায় কুড়ি জন মুড়ি চপ খেয়ে বেরিয়ে পড়লেন। অপেক্ষার অবসান হয়ে মুড়ি আলু দম হাতে পেলাম তবে চপ বাদ দিলাম। বাঁকুড়ার মানুষ চপ মুড়ি সকালবেলা সহ্য করে নিলেও আমার সহ্য হবে না। শালপাতার বাটিতে ছোট্ট ছোট্ট মুড়ি এবং আলুর দম পেলাম সাথে কাঁচা লঙ্কা।
হাত ধুয়ে মুড়ির উপরে হামলে পড়লাম। আহ কি স্বাদ। জেলার মুড়ির স্বাদই আলাদা। সঠিক মাত্রায় নুন এবং দেশী চালের স্বাদ। আর হালকা ঝালের আলুর দম সকাল বেলায় অমৃত লাগছিল। খাওয়ার পরে বুঝলাম মানুষজন কেন এত ভিড় করে থাকছেন। দারুন আয়েশ করে খেলাম। পেট ঠান্ডা করে তারপর বেরিয়ে পড়লাম বিষ্ণুপুর পরিক্রমাতে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বাঁকুড়া স্টেশনে অন্যরকম জলখাবার করেছেন দেখছি।জার্নি করলে এমনিতেই খুদা লাগে। তার উপর সকাল সকাল উঠেছেন আর এই ধরনের নাস্তা হলে তো কোন কথাই নাই। নাস্তাটি এতই মজা যে আশে পাশের সবাই এ নাস্তা খেতে পছন্দ করে। আপনি খাওয়ার পর আপনার ও পছন্দের হয়ে গেছে। আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা বাঁকুড়ার মানুষ তো দেখছি একেবারে ভিন্ন ধরনের নাস্তা করে সকালে। মুড়ি দিয়ে আলুর দম খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমি অনেক বছর আগে খেয়েছিলাম। তাছাড়া আলুর দম এমনিতে আমার ভীষণ পছন্দ। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। যাইহোক ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি যখন বেশ কিছুদিন আগে বাঁকুড়া গেছিলাম, তখন আমি চপ ও মুড়ি সাথে আলুর দম খেয়েছিলাম। ওটাই ওখানকার সকাল বেলার টিফিন। তবে তুমি দাদা মুড়ি আলুর দম খেয়েছিলে ঠিক আছে, তবে চপটাও খেতে পারতে। ওখানকার চপ গুলো খুব সুস্বাদু হয়। যাইহোক, তোমার বিষ্ণুপুর পরিক্রমণের পর্বগুলো সামনের দিনগুলোতে পর পর দেখতে পাবো আশা করি।