চললাম কাঁথি
নমস্কার বন্ধুরা,
হঠাৎ পরিকল্পনা তারপরে বেরিয়ে পড়া। আবার গন্তব্য সেই কাঁথিতেই। সরস্বতী পুজোর সময় এক বন্ধুর নিমন্ত্রণে কাঁথিতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পুজো শেষ করার পর বন্ধুর সাথে এক দুপুরের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু সমুদ্র সৈকত ঘুরে নিই। জানিনা এইবার কি হবে তবে সেই সময়ের হালকা শীতে যখন এসেছিলাম তখন জায়গাটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। বন্ধুটি যখন কদিন ধরে ফের তার বাড়ি যাওয়ার কথা বলছিল আমি শেষে কলকাতার গরম এক প্রকার সহ্য করতে না পেরে ছুটলাম।
কদিন ধরে কলকাতার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখছি বৃষ্টি হবে কিন্তু কিছুতেই বৃষ্টির দেখা মিলছে না। প্রতিদিন সকালবেলা উঠে দেখি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কিন্তু বিকেল হতে হতে সমস্ত সম্ভাবনা উবে যায়। সেই অবস্থায় যখন জানতে পারি মেদিনীপুরে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে আমি আর অপেক্ষা করলাম না নিজের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে বিকেল বেলাতে বেরিয়ে পড়লাম।
শুরুতে ঠিক করলাম দীঘাগামী ট্রেন ধরবো কিন্তু হাওড়া স্টেশন গিয়ে টিকিট কেটে তারপর ট্রেনে ওঠার জন্য যে হন্তদন্ত করতে হবে সেটার ইচ্ছে মোটেই ছিলো না। তাই ধর্মতলা থেকে বাস ধরা শ্রেয় মনে হলো। ধর্মতলা পৌঁছে একের পর এক বাস ছেড়ে যেতে দেখলাম কিন্তু দুর্ভাগ্য কোনো টাতেই সিট নেই। এদিক ওদিক ঘুরে অবশেষে একটা বাতানুকূল বাস পেলাম, নাম ভরপেট। বাসের নাম দেখে আমি তো অবাক! নামটা অবাক হলেও বাসের টিকিট সাধ্যের মধ্যে। যেখানে সরকারি বাসের টিকিট ১১০ টাকা সেখানে ভরপেটে ভাড়া ২০০ টাকা। শুরুতে যদিও ২৫০ টাকা চেয়েছিল অল্প দরাদরি করে ৫০ কমাতে সক্ষম হলাম আরকি। টিকিট কেটে জানলার ধারের সিটে বসে পড়লাম। অবশেষে কিছুটা শান্তি! এতক্ষণ গরমে অবস্থা কাহিল হয়ে গিয়েছিলো।
সন্ধ্যে ৬ টা বাজতে বাস ছেড়ে দিলো। বাতানুকূল বাসের সিটে আমি আরাম করে বসে পড়লাম। ধীরে ধীরে বাস কলকাতা ছাড়িয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে হাওড়া জেলায় ঢুকে পড়লো। তারপর সাঁতরাগাছিতে অল্প কিছক্ষনের জন্য দাঁড়াতে দাঁড়াতে অন্ধকার হয়ে গেলো। বাতানুকূলের আরামে আমার চোখটা লেগে গেল। সোজা ঘুম ভাঙলো কাঁথিতে...
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আমাদের দেশের আবহাওয়ার রিপোর্টও এমনই। বৃষ্টি আসার কথা বললে রোদ উঠে যায় 😂। যাইহোক আপনার বন্ধু যেহেতু এতো করে বলছিলো তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে, সেহেতু বেশ ভালোই হয়েছে আপনার বন্ধুর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে। তবে বাসের নাম ভরপেট, এটা জেনে তো হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যাচ্ছে দাদা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাসের নামটা তো বেশ দারুণ। ভরপেট নামটা কিন্তু বেশ ইউনিক এই লাইনে আর নেই হা হা। আমাদের দিকেও এই অবস্থা দাদা। সকালে আকাশে কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টি নেই। অথচ বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেসব মেঘ কেটে ঝলমলে রোদ উঠে হা হা।
কাঁথির সরস্বতী পূজা খুব বিখ্যাত। মেইন টাউনে কিংবা স্কুলগুলোতে। আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম৷