সরস্বতী পুজো পরিক্রমা ২০২৪ : পর্ব ৫
নমস্কার বন্ধুরা,
সরস্বতী পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে মোটামুটি পুরো কাথি শহর চষে ফেললাম। জেলা সদর শহর গুলো যেহেতু তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই ছোট হয় সেজন্য খুব তাড়াতাড়ি কাথি শহর ঘুরে ফেলা সম্ভব হলো। যদিও মাঝে আরো দুটো পুজো মন্ডপ দেখে নিলুম। মা ভবতারিনী মন্দিরের ঠিক উল্টো পাশেই দুটো পুজো দেখার পরে কাঁথি শহরের একদম ঠিক অন্য পাশে পৌঁছে গেলাম। নতুন শহরে এসে অলি গলিতে ঘুরতে ঘুরতে শহরটাকেও খানিকটা যেন চিনে ফেললাম।
শহরের অলিগলির মধ্যেই যে পূজা মন্ডপটা দেখলাম সেটার ক্লাবটির নাম ছিল ইউনিক। তাদের নামটা যেমন ইউনিট তাদের পুজো মণ্ডপ তেমনই ইউনিক। ২০২৪ সালে শ্রী রাম মন্দিরের শুভ উদ্বোধন হওয়ায় প্রচুর জায়গাতে রাম মন্দিরের আদলে মন্ডপ বানানো হয়েছে। ইউনিক ক্লাবের পুজো কমিটি সেই পথেই হেঁটে এবার পুজো মন্ডপ শ্রী রাম মন্দিরের আদলে বানিয়েছে। বুঝলাম পুজো কমিটি এই বছর রাম মন্দির স্থাপনের আনন্দে সামিল হতে চায়।
২০১৪ সালের স্থাপিত হওয়া নব্য এ পুজো মন্ডপটির দেবী প্রতিমা অনেকটাই ভিন্ন ধরনের। গেরুয়া রঙা মা সরস্বতীর রূপ ও ভারত মাতার রূপের মিশেলে এক অনন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যেটা পুজো মন্ডপের সাথে খুব সুন্দরভাবে মানিয়েছে।
ইউনিক ক্লাবের পুজো মন্ডপ টি দেখার পরে তারপরে কাঁথির অলিগলি পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম ১৬ তম বর্ষে পদার্পণ করা ফারভিড নামে একটি ক্লাবে। ২০০৯ সালের শুরু হওয়ার এই ক্লাবটি নাম বড়ই অদ্ভুত লাগলো। জানিনা তাদের এমন নামের অর্থ কি তবে তাদের পুজো মণ্ডপ টি সত্যিই অন্য ধারার ছিল। তারা এ বছর সাঁওতাল জনজাতির পুজো পদ্ধতি নিয়ে তাদের পুজো মন্ডপটিকে সাজিয়েছে। মন্ডপ সজ্জায় নানান ধরনের সাঁওতাল মুখোশ স্থান পেয়েছে। তাছাড়া মন্ডপের সামনে সাঁওতালদের মূর্তি বসানো হয়েছে।
মায়ের প্রতিমা সাঁওতালদের পুজোর অনুকরণে মণ্ডপের সাথেই সামঞ্জস্য রেখে বানানো। যেটা মন্ডপের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সরস্বতী পুজো তে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা। প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপ দেখে ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সাঁওতালদের পুজো অনুকরণ করে তৈরি করা মণ্ডপটি বেশি ভালো লেগেছে। ভিন্ন রকমের কিছু দেখতে পেয়েছি। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার পোস্ট পড়ে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দাদা।
কাঁথি শহরে তো বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন দাদা। যাইহোক ইউনিক ক্লাব এবং ফারভিড ক্লাব তো দেখছি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দারুণ আয়োজন করেছে। ইউনিক ক্লাবের চেয়ে ফারভিড ক্লাবের আয়োজন আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। সাঁওতালদের মূর্তি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে দাদা পুজো দেখার থেকে পুজোর থিম আরো অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে যে দুটো সরস্বতী পুজোর থিম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেগুলো সত্যিই খুব সুন্দর ছিল। বিশেষ করে শেষের পুজোর থিমটা অনেকটাই আলাদা ছিল। তারপরে আবার সরস্বতী মায়ের মুখ দেখেও মন ভরে গেল দাদা।
২০২৪ সালে শ্রী রাম মন্দিরের শুভ উদ্বোধন হওয়ায় আগেই তো আমাদের কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কয়ার ক্লাব ওই একই থিম বানিয়েছিল। তোমার শেয়ার করা দাদা দুটো পুজোর থিমই আমার কাছে বেশ খানিকটা ইউনিক লাগলো। তবে দ্বিতীয় থিমটা অর্থাৎ সাঁওতাল জনজাতির পুজো পদ্ধতি অনুকরণে যে থিমটা, ওটা একটু বেশি ইউনিক লাগালো। তাছাড়া প্রথম পুজো মন্ডপের সরস্বতী মায়ের মূর্তিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।