ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১৮ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৮-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১৮ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই রওনা দিয়েছিলাম কোচিং এর উদ্দেশ্যে। কোচিং শেষ করে আজকে বন্ধুদের সাথে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। গত কয়েকদিন আগে রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করা হয়েছে সেজন্যই আমরা মূলত খেতে গিয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে এসে দেখি বিদ্যুৎ নেই। আসলে অতিরিক্ত তাপমাত্রার পরেও যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে সত্যিই বেশ অসহ্য মনে হয়। তারপরে বাড়ি থেকে একটা বই এবং মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে বের হলাম বাগানের উদ্দেশ্যে। বাগানে গিয়ে প্রথমেই পোস্ট লেখা শুরু করলাম ভাবলাম পোস্ট লিখে কিছু সময় পড়বো তারপরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে নৌকায় চড়ে আমরা বন্ধুরা যখন নদীর মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন আমরা সকলেই নৌকার মাথায় বসে বেশ দারুন দারুন কিছু ছবি উঠেছিলাম। আমি সেখান থেকে আমার একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাঝে মাঝে যখন পানি ঢেউ আসছিল দেখে বেশ ভয় পাচ্ছিলাম আমার কাছে মনে হচ্ছে আমাদের নৌকা ভাসিয়ে অনেক দূরে নিয়ে চলে যাবে। আসলে এর আগে আমি কখনো নদীর মধ্যে নৌকায় চলেছিলাম না সেই জন্য এত ভয় পেয়েছিলাম। সব মিলিয়ে সিলেট ভ্রমণের তিন থেকে চার দিন বন্ধুদের সাথে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম। তবে নদীর পানি গুলো দেখে আমার কাছে বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছিল আসলে মনে হচ্ছে নদীর পানিতে হালকা লালচে রং ধারণ করেছে। এক কথায় খেজুরের রসের মতো কালার দেখাচ্ছিল নদীর পানির। বেশ ভালই লাগছিল এসব কিছু উপভোগ করতে।
এবার আমরা বন্ধুরা মিলে আবারো অনেক সুন্দর ভাবে আমি আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে আমরা যখন সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন আবহাওয়া ছিল হালকা শীত হালকা গরম বেশ ভালই লাগছিল। কিন্তু আমরা যেদিন সিলেটে গিয়ে পৌঁছেছিলাম সেই দিন সকাল বেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছিল সিলেটে। সিলেট জাফলং একটি বিজিবি ক্যাম্প ছিল আমরা সেখানে এসেছিলাম ঘুরে দেখতে। সেখানে একটি বসার জায়গা ছিল আমরা বন্ধুরা মিলে সকলেই সেখানে বসে বেশ কিছু দারুণ ছবি তুলেছিলাম। আসলে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। এত সুন্দর সুন্দর পাহাড়ের আগে কখনো আমি দেখেছিলাম না। আসলে আমরা যেখানে বসে ছিলাম তার সামনেই ছিল ভারতের সীমান্ত। পাহাড়ের মধ্যে ভারতের বেশ কিছু মানুষের বাড়িঘর দেখেছিলাম সত্যিই বেশ অপরূপ সুন্দর ছিল দেখতে। সব মিলিয়ে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
সবার শেষে আমরা রাতে সিলেটে থাকবো বলে আবারও জাফলং থেকে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। শহরের মধ্যে যাওয়ার পরে আমরা প্রথমে হযরত শাহ্পরাণ (রা:) মাজার শরীফ দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কিছু সময় ঘুরে দেখার পর আমরা সেখানেই হোটেল ঠিক করেছিলাম সবাই মিলে থাকার জন্য। সেখানে আমরা প্রায় ছয়টি রুম নিয়েছিলাম। এক রুমে আমরা প্রায় ৮ জন করে ছিলাম। রুমের মধ্যে ব্যাগগুলো রাখার পরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার জন্য আবারো নিচে এসেছিলাম। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা চারজন বন্ধু একই টেবিলে বসে আছি রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে সিলেট ভ্রমণে বন্ধুদের সাথে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমরা সকলে মিলে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভ্রমণ হচ্ছে ছাত্র জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ ছাত্র জীবনে যেমন লেখাপড়া প্রয়োজন ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার একটা শিক্ষনের বিষয়। কারণ ভ্রমণ করলে মন ভালো হয় তাছাড়াও জ্ঞান বাড়ে। বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ সিলেট ভ্রমণের ১৮তম পর্ব। তোমার এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছি এবং খুবই ভালো লেগেছিল এবং আজকে দেখতে পেয়েও বেশ ভালো লাগলো। বন্ধুদের সাথে এই ভ্রমণে খুবই আনন্দের একটা সময় উপভোগ করেছ যা আমি বরাবরই জানি। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমার আজকের এই পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছ বন্ধু আসলে ভ্রমণ করলে প্রত্যেক মানুষের সেই ভৌগোলিক জায়গা সম্পর্কে বেশ জ্ঞান লাভ করতে পারে।
আমিও সিলেটে ভ্রমণ করেছিলাম। জায়গা গুলি বেশ সুন্দর। আজকে আবারো অতীত মনে পড়ে গেল
আকাশের দৃশ্যগুলি দেখতে ভীষণ ভালো লাগতেছে। আমি শাহাপরান মাজার শরীফে গিয়েছিলাম। ওখানে আসলে দেখার মত একটা জায়গা সিলেটে থাকতে হলে এক মাস প্লান করে যেতে হবে। ঘোরাঘুরির জন্য এত সুন্দর জায়গা। যেদিকেই তাকাই শুধু সৌন্দর্য আর সৌন্দর্য।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে সিলেটে থাকতে হলে অনেকদিনের প্ল্যান করে যেতে হবে।
আপনি সিলেট ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ভ্রমণ জাতীয় পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। সিলেটের অনেক ফটো দেখে ফেললাম আপনার পোষ্টের মধ্যে থেকে। পাশাপাশি সিলেটের বেশ কিছু সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। আজকের পোস্টটাও বেশ দারুন ছিল।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
দেখতে দেখতে আপনার আজকের সিলেট ভ্রমনের ১৮ তম পর্ব দেখতে পারলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকের পর্বের মাধ্যমে অনেক কিছুই আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব সুন্দরভাবে আপনি সবকিছু এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর পোস্টটি পড়ে।
চেষ্টা করি ভাই প্রত্যেকটি পোস্ট আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
সবসময় আপনার ভ্রমণের পর্বগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আসলেই গরমের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।আর আপনি ও আপনার বন্ধুরা মিলে সিলেট ভ্রমণ করে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।ঘুরতে গেলে মন যেমন ভালো থাকে তেমনি সময়গুলো স্মৃতির খাতায় যুক্ত হবে।ছবিগুলো সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে গরমের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে সত্যি বেশ বিরক্ত লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।