ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ২৬ তম পর্ব

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ২৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকালকে আমাদের কলেজের একটা গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আজকে আমাদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু হঠাৎ আমাদের এলাকাতে কাল রাত তিনটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি তখন পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছিল। হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা খেয়ে বাইক নিয়ে ভিজতে ভিজতে বের হয়ে পড়লাম পরীক্ষা দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। মাছ রাস্তায় গিয়ে দেখে বিপ্লব বন্ধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। বিপ্লব কে সাথে নিয়ে আমিও পরীক্ষা দিতে চলে গিয়েছিলাম সেখানে যাওয়ার পরে জামাপ্যান্ট পুরো ভিজে গিয়েছিল। সেখানে থেকে একটি গেঞ্জি কিনে গেঞ্জি চেঞ্জ করেছিলাম। তারপর কিছু সময় পর আমাদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আমাদের এলাকায় পানি থামছিল না। আসলে পানি অনেক জোরে হচ্ছিল না কিন্তু হালকা ঝিরঝিরি বৃষ্টি সব সময় পড়ছিল। পরীক্ষা দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.......

প্রথমে আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে মাধবকুণ্ড ইকো পার্কের ছবি তুলে শেয়ার করেছি। সেখানে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক সুন্দর ভাবে গোসল করেছিলাম এবং আমাদের বেশ কিছু ছবি তুলে দিয়েছিল। আসলে সেখানে চোরাবালি ছিল তাই গোসল করার জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা ছিল সেখানে আমরা সকলে মিলে বেশ আনন্দ উল্লাসে গোসল করেছিলাম। আসলে বন্ধুরা মিলে যদি একত্রে কোন কাজ করা যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। আসলে কলেজ থেকে পিকনিকে আমাদের সাথে অনেক বন্ধু-বান্ধব এবং স্যার সবাই গিয়েছিল সত্যি বেশ মজা করেছিলাম আমরা সেই পিকনিকে। এবার পরীক্ষা শেষে আমাদের আবারও সাজেক যাওয়ার কথা আছে। আশা করি এবারও পিকনিকে আমরা বেশ ভালোভাবে যেতে পারবো।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি যখন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে গোসল করতে ছিলাম তখন বেশ কয়েকটি ছবি তোলা হয়েছিল ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। আসলে সেখানে ছবি তোলার জন্য প্রথমে আমরা ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়া করেছিলাম। সেখানে আমরা বন্ধুরা সকলে মিলে একটি ক্যামেরা ভাড়া করেছিলাম। ছবি তোলা পরে আমাদের ক্যামেরার বিল এসেছিল প্রায় ৭০০ টাকা। আমরা তিনজন বন্ধু মিলে সেখানে ডিএসএলআর ক্যামেরার বিল পরিশোধ করেছিলাম। আসলে তখন আমার নিজের ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিল না। তবে এখন যদি পিকনিকে যাওয়া হয় নিজের ডিএসএলআর ক্যামেরা আছে আরো বেশি মজা হবে। সেখানে নদীর মধ্যে যখন গোসল করেছিলাম ডিএসএলআর ক্যামেরাম্যান বেশ কিছু স্টাইলে আমাদের সকলের ছবি তুলে দিয়েছিল। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার দুই বন্ধুর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা সকলেই আমার বন্ধু পারভেজকে কম বেশি চেনেন। আসলে পারভেজ হচ্ছে কলেজ লাইফে আমার সবথেকে কাছের একজন বন্ধু। সব সময় তার সাথে ভালো মন্দ সব কথাই আমি শেয়ার করে থাকি। আসলে আমার দুঃখের সময় এবং সুখের সময়ও আমি তাকে পাশে পাই। আসলে নদীতে গোসল করতে পারভেজ অনেক ভয় পাচ্ছিল তাই আমরা সকলেই পারভেজ এর কাছে মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগ জমা দিয়ে গোসল করতে গিয়েছিলাম। আসলে গোসল করতে সত্যিই সকলে বেশ মজা করেছিলাম। তবে সিলেট ভবনের সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকটা জায়গায় গোসল করার মত জায়গা ছিল এটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আরো সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। এবার আমরা নৌকায় চড়ে নদী পথ পাড়ি দিয়ে লাল খাল যেতে ছিলাম। আসলে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এই লালাখালে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন হালকাই বৃষ্টি পড়ছিল এখানে প্রায় দিন নাকি কম বেশি বৃষ্টি হয় সেখানকার মানুষের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম। নদী পথ পাড়ি দেওয়ার সময় বেশ দারুন ভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম। লালা খালের মধ্যে বেশ ছোট ছোট গাছপালা ছিল সেখানে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমরা। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।