ব্যাথায় ঔষধ খাবেন,কেন খাবেন না?১০% প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু অলাইকুম/আদাপ,
কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ,ভালো আছি।প্রশিক্ষনের সময় যেনো যেতেই চায় না।যার কারনেই অনেকটায় অনিয়মিত লেখালেখি চলছে।যাইহোক,আমি মনেকরি যে লেখায় অন্যরা উপকারভোগী বেশি হয় সেটাই বেশি লিখতে।তবে কতটুকু উপকৃত করতে পারছি তা জানিনা।ব্যাথা প্রশমনে ব্যবহৃত ঔষধ নিয়ে আজকের পর্বটি সাজানো হয়েছে।আশা করি ভালো লাগবে।
ব্যাথা হলে নিশ্চয়ই আমরা ঔষধ গ্রহন করে থাকি।ব্যাথা উপশমে ঔষধ যতটানা কার্যকর তার চেয়েও বেশি কার্যকর আমাদের হিউম্যান বডিতে স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা দান করতে।এখন কথা হলো ব্যাথা হলে কি ঔষধ গ্রহন করা যাবে না? নিশ্চয়ই যাবে,কিন্তু ব্যথার পরিমাণ যদি এমন হয় শরীরের ভালো কিছু কে নষ্ট করে ব্যাথা থেকে প্রশমিত হওয়া দরকার। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যাথার ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাথা যেটা সহ্য করার মতো, অন্তত সেটার জন্য ব্যাথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাথার ওষুধের পার্শ্ব- প্রতিক্রিয়া। ব্যাথার ঔষধ যে জায়গা গুলোতে আক্রমণ করে ব্যাথা প্রশমন করে সেই জায়গা গুলোর কাজ হচ্ছে; রক্তের অবাধ চলাচল করানো, রক্তনালীর প্রসারন করা, স্মল ইন্টেসটাইনকে রক্ষা করা। অন্যদিকে, ইনফ্লামেশন,পেইন, জ্বর, হার্টের স্বাভাবিক কাজ করা ইত্যাদির উদ্বেগ তৈরি করা।
আমাদের দেশে ব্যথা নিরাময়ের জন্য দুই ধরনের ঔষধ বাজারজাতকরণ করা হয়। নন স্টেয়ডাল এন্টি ইনফ্লামেশন ড্রাগ। যদিও বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধগুলো ব্যবহারের ভিন্নতা রয়েছে। এদের উভয়ের জেনেরিক হচ্ছে ন্যাপ্রোক্সেন। এরমধ্যে একটি সিলেক্টিভ আরেকটি নন-সিলেক্টটিভ রয়েছে। নন সিলেক্টিভ ঔষধ হাউসকিপিং এবং ইনফ্লাম্মেশনে উভয়ে কাজ করে। আরেকটি শুধুমাত্র ইনফ্লামেশন এ কাজ করে। ক্ষতি দুইটাতেই রয়েছে কিন্তু ক্ষতির ভাগ ভিন্ন, যাদের শ্বাস-প্রশ্বাস কিংবা হার্টের সমস্যা তাদেরকে অবশ্যই নন সিলেক্টিভ ট্যাবলেট খেতে হবে। কেননা ব্যাথা নিরাময় করার জন্য এই ঔষধটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হার্টের বেশি ক্ষতি করে থাকে। অপরদিকে অন্যটি জি আই প্রটেকশন সহ রক্ত সম্পর্কিত জায়গাগুলোতে ক্ষতি করে থাকে। এখন কথা হল ব্যথার জন্য কি ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না? অবশ্যই খাওয়া যাবে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেকটাই সচেতন হতে হবে।
অনেকক্ষেত্রে অসাবধানতায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই আমরা ব্যাথা নিরাময়ের ঔষধ গ্রহন করে থাকি,তাদের সতর্কতার জন্য আমার এই লেখাটি। কেননা যারা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করেন তারা অবশ্যই ডাক্তারকে রক্ত চলাচল এবং হার্টের সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। আর যারা প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ঔষধ গ্রহন করবেন তাদেরকে অবশ্যই দুটি বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা এবং সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আমি মনে করি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করা অনেকটাই বোকামি। কেননা সামান্য অসতর্কতার কারণে ধীরে ধীরে
ঝরে যেতে পারে অনেক তাজা প্রাণ। ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই এন্টি-আলসারেন্ট(পিপিআই) যেটাকে আমরা গ্যাসের ঔষধ বলে থাকি,এটা খেতে হবে। গ্যাসের ঔষধ খাওয়া ছাড়া ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহন করা অনেকটাই বড় মাপের বোকামি। কেননা পিপিআই এর সাথে ব্যথানাশক ঔষধের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকটা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রয়েছে। দুই বছরের নিচে কোন বাচ্চাকে কখনোই ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ানো যাবে না।
সোর্স
এ ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সর্তকতা রয়েছে, প্রেগনেন্সি মহিলাদেরকে কখনোই ব্যাথা প্রশমন করার জন্য এমন ঔষধ গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ থেকে সতর্ক না হলে নবজাতক কিংবা মা অকালে মারা যেতে পারেন। ব্যাথানাশক ঔষধ গ্রহন করার সময় সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা দরকার আমাদের হিউমান বডির অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়ে। ব্যাথা নিরাময়ের জন্য এমন ঔষধ কখনোই ৬থেকে ৭ মাসের বেশী একটানা গ্রহণ করা সমীচীন নয়। কেননা একটানা ব্যবহারে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগুলো এমন বেশি হয়ে যাবে হুটহাট করে হার্ট ব্লক করতে পারে। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ, ঔষধ সেবনে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। বিশেষ করে ব্যাথানাশক ঔষধ না খাওয়াই ভালো যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যাথা সহ্য করার মাত্রায় থাকে। আপনি মনে রাখবেন, আপনার ব্যাথা সারাতে যতটুকু না এই ঔষধ কাজ করবে তার চেয়েও দীর্ঘমেয়াদী সেবন করা ক্ষতির পরিমাণ বেশি বাড়িয়ে দিবে। ঔষধ গ্রহণের সতর্ক হোন সুস্থ্য জীবনযাপনে নিজেকে অভ্যস্ত করুন।লেখায় ভুল হলে অবশ্যই সংশোধন করে দিবেন। উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
বিষয় | ঔষধ সচেতনতা |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
লোকেশন | w3w |
ডিভাইস | Samsung A32 |
তারিখ | ১৫ মে ২০২২ |
এতক্ষন সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরণের সর্বাত্মক ছুটে চলা।একজন সাদাসিধা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ।দু-চোখে যা দেখি শব্দাকারে তা লিখতে থাকি।ভালো কাজে পাশে থাকি।একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার চেস্টায় চিরকৃতজ্ঞতায় পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণ@amarbanglablog
ওয়াও দারুন লিখেছেন ভাই, আসলে আপনার এই পোস্টে না জানা অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং আমার মত অনেকেরই উপকার আসবে। এবং সবাই সচেতনতা অবলম্বন করে চলবেন। খুব সুন্দর একটি শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এবং খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন, আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনি দারুন করে মন্তব্য করেছেন। সেই সাথে খুব মনোযোগ দিয়ে আলোচনাটি পড়েছেন।এমন মনোভাব জেগে উঠুক সকলের। ভালবাসা রইলো শ্রদ্ধেয়।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমরা সাধারনত হরহামেশাই ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকি। একটু ব্যথা পেলেই ব্যথার ওষুধ খুঁজতে থাকি কিন্তু এটি মোটেও উচিত নয় ।আমাদের এমন সময় ব্যথার ঔষধ খাওয়া উচিত যখন ব্যথা আমার সহ্য করতে পারছি না। আমি নিজেও হরহামেশাই ব্যথার ওষুধ খাই না যে ব্যথা আমি সহ্য করতে পারি না শুধু মাত্র তখন আমি ব্যথার ওষুধ নেই। আপনার লেখা অবশ্যই শৈল দেখে আমি মুগ্ধ এত সুন্দর ভাবে আপনি গুছিয়ে তথ্যমূলক একটি পোস্ট করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি খুব ভালো বুঝছেন। আসলেই আমাদের সকলের বোঝা উচিত। হরহামেশাই ব্যাথানাশক এমন ঔষধ না খাওয়া।চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ সচেতন মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আমি মনে করি সচরাচর ওষুধ খাওয়া ঠিক না যদি সিরিয়াস কোন ব্যাপার না থাকে।বিশেষ করে কারো দেখা গেছে হালকা একটু মাথাব্যথা সে এর জন্য ওষুধ খেয়ে ফেলে ব্যথানাশক ওষুধ। কিন্তু না তখন এটা না খেয়ে যদি একটু লেবু বা রঙ চা করে খাওয়া যায় সেটার প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক কিছু একই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমাদেরকে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিৎ।প্রাকৃতিক উপশমে প্রয়োজনীয় উপাদানে এগিয়ে আসা দরকার।ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে, প্রাকৃতিক ভাবে দমন করাই উত্তম। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
আসলে ভাই এর আগেও আমি শুনেছি যে ব্যথার ওষুধ টা অনেক বেশি ক্ষতিকারক। এজন্যই আমরা চেষ্টা করি যে ব্যথার ওষুধ টা যাতে না খাওয়া লাগে। আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন অনেকেরই উপকার হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। হ্যাঁ সত্যিই শুনেছেন।যতটুকু সহ্যকরার মতন তা করতেই হবে।নাগালের বাহিরে গেলে অবশ্যই ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমাদের অনেকের অভ্যাস সামান্য ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ খেয়ে ফেলি। কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ ছাড়াই। এতে করে সমসাময়িক অসুবিধা না হলেও ভবিষ্যতে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে । এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়, দারুন মন্তব্য করেছেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যাথানাশক খাওয়া ঠিক হবে না।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করলেন ভাইয়া। আসলে আমরা যখন তখন ব্যথার ঔষধ খেয়ে থাকি কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে এই ধরনের ঔষধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের উচিত যে কোন কারনে ঔষধ না গ্রহণ করা।
আপনি চমতকার মন্তব্য করেছেন। আমাদেরকে ব্যাথানাশকসহ অন্যান্য ঔষধ গ্রহনে সচেতন হওয়া উচিৎ।