আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। রেসিপিটা হচ্ছে চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভাজি রেসিপি। রেসিপিটা আগেই তৈরি করা ছিল। শেয়ার করা হয়নি। আমি এর আগে কখনো মিষ্টি কুমড়ার খোসা এরকম ভাজি করে খাইনি। তবে লাউয়ের ক্ষেত্রে সব সময় এরকম খোসা ভাজি করে খাওয়া হয়। একদিন হঠাৎ আম্মুকে বললাম লাউয়ের খোসা যদি খাওয়া যায় তাহলে এটা কেন খাওয়া যাবেনা। সেই চিন্তা থেকে একদিন এই রেসিপিটা তৈরি করলাম। চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি করেছি কারণ যদি খেতে খারাপও হয় চিংড়ি মাছটা দিলে অন্তত যেন একটু ভালো লাগে। তবে পুরো রেসিপিটা তৈরি করার পর যখন গরম গরম ভাতের সাথে খেয়েছিলাম তখন বেশ ভালোই লেগেছে। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই রেসিপিটা ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- মিষ্টি কুমড়ার খোসা
- চিংড়ি মাছ
- আলু
- রসুন কুচি
- পেঁয়াজ কুচি
- লবণ
- হলুদ গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়া
- কাঁচামরিচ
- ধনিয়া পাতা
প্রথমে আমি মিষ্টি কুমড়ার খোসা কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। খোসাটা একটু মোটা করেই ছাড়িয়েছি। এর সাথে একটা আলু কুচি করে দিয়ে দিলাম।
এরপর চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম এবং তেল গরম করে নিলাম। সেখানে চিংড়ি মাছগুলো প্রথমে ভেজে নিয়েছি।
চিংড়ি মাছ লাল লাল হয়ে এলে সেখানে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম। সেই সাথে দিলাম পরিমাণ মতো রসুন কুচি।
এরপর পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ গুঁড়ো ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
এরপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
এরপর সেখানে মিষ্টি কুমড়ার খোসা এবং আলু কুচি একসাথে দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো পানি যেন সবকিছু ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। পানি দেওয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
সবকিছু সিদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা সরিয়ে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল রেসিপিটি। একটা প্লেটে পরিবেশন করে নিলাম।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকে রেসিপিটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। |
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍
আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।তবে মিষ্টি কুমড়ার খোসা কখনও ভাজি করে খাওয়া হয়নি।কিন্তু ভর্তা করে খেয়েছি।আপনার রেসিপি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। আপনি সাথে আলু কুচিও দিয়েছেন।খুব ভালো লাগলো রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ভাল লাগাই আমার এই কাজের সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভাজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে ভেজে না খেলেও আলু দিয়ে ভেজে খেয়েছি। আপনি আজকে চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া খোসা ভাজি রেসিপি খুব সুন্দরভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়া ভাজি খেয়েছি কিন্তু কখনো মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভাঁজি করে খাওয়া হয়নি।আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম।যেহেতু চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভাঁজি করেছেন সেহেতু নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছে।সকাল সকাল ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
সম্ভব হলে এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই সুস্বাদু দেখতে একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এই রেসিপি দেখে একেবারে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ যেভাবে আপনি এই রেসিপিটি এখানে শেয়ার করেছেন তা ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ৷
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভাজি কোনদিন খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছটা আমার কিন্তু খুবই ফেভারিট। যাইহোক চিংড়ি মাছের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে আপনার এই রেসিপি।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়ার চামড়া এরকম ভাবে যে ভাজি করা যায় এটা আমার একেবারেই জানা ছিল না। আমার কাছে দেখে আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগলো। গরম ভাতের সাথে কিন্তু এরকম ভাজি রেসিপি বেশ ভালোই জমিয়ে খাওয়া যায়। আপনি এটার সাথে চিংড়ি মাছও দিয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। আপনার কাছ থেকে আজকে দেখে এটা শিখে নিলাম। অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো রেসিপিটা তৈরি করার জন্য।
সম্ভব হলে এরকম একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ।আশা করি আপনার কাছে ভালই লাগবে খেতে। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার মত আমারও তো সেই কথা আপু লাউয়ের খোসা খাওয়া গেলে কুমড়ার খোসা কেন খাওয়া যাবেনা। তবে আমাদের এদিকে দেখি কিন্তু এভাবে খাওয়া হয়। কুমড়োর খোসাকে আবার শাক দিয়েও রান্না করতে দেখেছি, খেতে ভালই লেগেছিল।চিংড়ি মাছ দেওয়ার কারণে এটার অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে উঠবে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিক বলেছেন লাউয়ের খোসা খাওয়া গেলে মিষ্টি কুমড়ার খোসা কেন খাওয়া যাবে না। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। একদিন অবশ্যই তৈরি করতে হবে।তবে আমার মনে হয় চিংড়ি মাছ দিলে তরকারির স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আপনার রেসিপি নিশ্চয় খেতে অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপনি খুবই মজা হয়েছে। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এভাবে লাউয়ের খোসা দিয়ে অথবা মিষ্টি কুমড়ার খোসা দিয়ে কখনো রেসিপি করা হয়নি। যদিও সবার কাছ থেকে সুস্বাদু রেসিপিগুলো দেখতে পায়। কিন্তু ইচ্ছেও করে এমন ধরনের রেসিপি গুলো তৈরি করে খেতে। আপনি বেশ মজার করে চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার খোসা এবং আলু দিয়ে ভাজি করলেন।কালার দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।
হ্যাঁ আপু রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।