ভালোবাসা রং বদলায় || একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে গল্প || পর্ব-১
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সামনে এমন একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করব যা শুনে অনেকটাই অবাক হয়ে যাবেন। কেননা বিষয়টা শোনার পর বা জানার পর আমারও খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। ভালোবাসা কত অদ্ভুত তাই না। সংসার জীবনও খুবই কঠিন। আমরা একে অপরকে চিনিনা জানিনা অথচ যুগের পর যুগ একসাথে সংসার জীবন কাটিয়ে দেই। আবার দীর্ঘদিন সংসার করার পর গিয়ে মনে হয় যে কোথাও গিয়ে মনের মিল হচ্ছে না কিংবা কিছু কিছু মানুষ নিজের ইচ্ছাকৃতভাবেই সুন্দর সংসার ভেঙে ফেলে। আজ যে গল্পটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এটি হয়তো আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। হয়তো আমাদের আশেপাশের অনেকের পরিচিত মুখের সঙ্গে এই গল্পটা মিলে যেতে পারে। তো চলুন শুরু করি।
সাগর গ্রামের অনেক প্রভাবশালী ঘরের সন্তান। সে একবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নদী এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে রানী নামের এক মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথম দেখাতেই ভালোলাগা এরপর ভালোবাসা তারপরে সেই সম্পর্কের পরিণতি হয় বিয়ে।সাগর সবার অজান্তেই রানীকে বিয়ে করে গ্রামে নিয়ে আসে। রানীর বাবাও ফেলনা না। একজন সম্মানী ব্যক্তি সরকারি চাকরিজীবী।চার মেয়েকে নিয়ে তার সুখের সংসার। না জানিয়ে বিয়ে করার ফলে সাগরের পরিবার থেকে সাগর এবং রানীকে আলাদা করে দেয় সাগরের পরিবার।
তারা দুজনেই বেকার কিভাবে সংসার চালাবে বুঝতে পারছিল না। তখন রানীর ছোট ছোট কিছু গহনা ছিল যেগুলো তার বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চলতো তাদের। তারা দুজনেই ছিল শিক্ষিত। অনেক চেষ্টার পর দুজনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়। এবং রানী তার সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ি সবার মন জয় করে। আস্তে আস্তে তার শ্বশুরবাড়ির সবাই তাদেরকে মেনে নেয় এবং বাবার যত অর্থ সম্পদ আছে সব ছেলেদের মধ্যে বন্টন করে দেয়।
এরপর থেকে রানী এবং সাগরের সুখের সংসার। দুজনেই চাকরি করে আবার বাবার জমি পেয়েছে। তাদের সংসারে কোনো কিছুর অভাব নেই। তাদের ঘরে এক ছেলে এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় । এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকটি বছর। ছেলে কলেজে পড়াশোনা করছে আর মেয়ে পড়াশোনা করছে ক্লাস ফাইভে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে রানীর জীবনে নেমে আসে অশান্তির ঝড়। রানী কিভাবে সেই ঝড় সামাল দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। আর বুঝতে পারলেও হয়তো করার কিছু নেই।
আর কি সেই ঝড় সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। চেষ্টা করব খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্বটি শেয়ার করার। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে অনেক বাবা হয়তো একা একা বিয়ে করলে মেনে নিতে চায় না। আসলে ভালো ব্যবহারের মধ্যে সবার মন জয় করা যায়। রাণী ও সাগর তো দেখছি বেশ ভালো সংসার করছে। তাদের ছেলে মেয়েরা ও বড় হয়েছে কিন্তু এর মাধ্যমে আবার কি ঝড় এলো জানার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
রানী প্রথম দিক থেকেই ভালই চেষ্টা করেছিল সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য এবং এখনো চেষ্টা করছে, তবে বাকিটুকু জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার শেয়ার করা আজকের এই গল্পের প্রথম পর্বটা পড়তে আমার কাছে তো খুব ভালোই লেগেছে। তারা দুইজন একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। আর প্রথমে ফ্যামিলি মেনে না নিলেও সাগরের ফ্যামিলি পরবর্তীতে মেনে নিয়েছে। এটা দেখে তো আরো ভালো লাগলো। আর দুজনেই দেখছি এখন অনেক ভালো চাকরি করে। তাদের অনেক সুন্দর একটা সুখের সংসার হয়েছে, আর বাচ্চা হয়েছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো দেখে। কিন্তু এই সময়টাতে আবার তার জীবনে কোন অশান্তি নেমে এসেছে, এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
জীবন বড়ই অদ্ভুত মুহূর্তে মুহূর্তে রূপ বদলায়, হয়তো তেমনটাই হয়েছে রানীর জীবনে।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা গুলো ঘটে যাচ্ছে। বিশেষ কোনো কারণ ধরেই এত সুন্দর সাজানো গোছানো সংসার গুলো ভেঙ্গে গেলে মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে দেখা যায় যে যারা পছন্দ করে বিয়ে করেন তাদের মধ্যে এমন ঘটনা হলো ঘটে যায়। সুন্দর একটি গল্প আপনি শেয়ার করলেন আপু। এমন সুন্দর শিক্ষানীয় বিষয় গুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে।
প্রথম দিকের ঘটনা বেশ ভালই ছিল, তবে শেষের ঘটনা বড্ড করুণ৷
আসলে আপু পরিবারের অমতে বিয়ে করলে প্রথম দিকে পরিবার মেনে নেবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে দেরিতে হলেও যে সাগরের পরিবার তাদের দুজনকে মেনে নিয়েছে, এটাই সব থেকে বড় কথা। তবে আপু আপনি গল্পের এমন জায়গায় সাসপেন্স রেখে দিলেন যে, পরবর্তী পর্ব না পড়া পর্যন্ত শান্তি হবে না। গল্পটা সত্যিই বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল।
দ্বিতীয় পর্ব ইতিমধ্যে শেয়ার করেছি ভাইয়া পড়ে নিবেন ভালো লাগবে।
দ্বিতীয় পর্বটি এখনও আমার সামনে পড়েনি আপু, পর্বটি সামনে পড়লে অবশ্যই পড়ে নেব।